নারায়ণগঞ্জে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না : সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন, ২০১৪
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) উপনির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি চাই নারায়ণগঞ্জে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না। কোনো চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি থাকবে না। রাজনীতির নামে অপরাজনীতি দূর করা হবে। তবে সেলিম ওসমানের এ বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পরাজিত প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আকরাম। তিনি বলেছেন, যারা সন্ত্রাসের লালন-পালন করে, নারায়ণগঞ্জবাসী যাদের সন্ত্রাসের জনক বলে মনে করে, তাদের মুখে সন্ত্রাসমুক্ত নারায়ণগঞ্জের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছুই নয়।
সেলিম ওসমান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, প্রমাণ হল- নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসের জনপদ না। ওসমান পরিবার সন্ত্রাস লালন করে না। এ বিজয় নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের দেয়া সম্মান আমি রক্ষা করব। আমি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব। নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের চলমান রেষারেষির অবসান ঘটাতে চাই আমি। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাইব। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজ, শ্রমিক ভাই ও নারায়ণগঞ্জের জনগণের সহযোগিতা চাই। নারায়ণগঞ্জের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য প্রাচ্যের ডান্ডি আমি ফিরিয়ে আনতে চাই। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ায় তিনি র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসএম আকরাম শুক্রবার সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এ সরকার সুষ্ঠু রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দিতে চায় না। নির্বাচন কমিশন অথর্ব প্রমাণিত হয়েছে। এ নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ ও র্যাবকে জানালেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আকরাম আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে একটি গোপন সভায় শামীম ওসমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের ২৫ হাজার বহিরাগত নেতাকর্মী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর-বন্দর এলাকায় ভোট দিয়ে তাদের পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনবেন। শামীম ওসমানরা যে ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারে তাই প্রমাণ করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং অফিসার মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানকে (লাঙ্গল) আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও ৫০ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন দাবি করে ফলাফল বর্জন ও নানা অভিযোগ করলেও পরাজিত প্রার্থী এসএম আকরাম নির্বাচন কমিশনে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে আকরামকে উপস্থিত থাকতে নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি আসেননি।
মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসএম আকরাম কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি লিখিত দেবেন। কিন্তু বিকাল ৪টা পর্যন্ত বসে থেকেছি, তিনি আসেননি। তাই ঢাকা চলে যাচ্ছি। বিপরীতে আকরাম জানান, তিনি সরকারিভাবে কোনো রেজাল্ট শিট পাননি। হাতে পেলে তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
স্বপ্নের জাল বোনা নারায়ণগঞ্জবাসীর সামনে এখন প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ মেলানোর দিন। সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনের আগে শিল্পায়নসমৃদ্ধ একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার যে স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা আর নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ সেলিম ওসমানকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন তেমনি তার কাছ থেকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আর উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা, সব দল মতের ঊর্ধ্বে ওঠে তিনি যেন শুধুই আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
শীতলক্ষ্যার দুপারের নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার চান নতুন সংসদ সদস্য তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করুন। নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ, খানপুর, জামতলা, বাবুর আইল, টানবাজার, নিতাইগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, জলাবদ্ধতার অবর্ণনীয় দুর্ভোগ যাতে আর না পোহাতে হয়। দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হোক।
- See more at: http://www.jugantor.com/last-page/2014/06/28/116310#sthash.dVF3tdvq.dpufসেলিম ওসমান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, প্রমাণ হল- নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসের জনপদ না। ওসমান পরিবার সন্ত্রাস লালন করে না। এ বিজয় নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের দেয়া সম্মান আমি রক্ষা করব। আমি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব। নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের চলমান রেষারেষির অবসান ঘটাতে চাই আমি। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাইব। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজ, শ্রমিক ভাই ও নারায়ণগঞ্জের জনগণের সহযোগিতা চাই। নারায়ণগঞ্জের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য প্রাচ্যের ডান্ডি আমি ফিরিয়ে আনতে চাই। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ায় তিনি র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসএম আকরাম শুক্রবার সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এ সরকার সুষ্ঠু রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দিতে চায় না। নির্বাচন কমিশন অথর্ব প্রমাণিত হয়েছে। এ নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ ও র্যাবকে জানালেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আকরাম আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে একটি গোপন সভায় শামীম ওসমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের ২৫ হাজার বহিরাগত নেতাকর্মী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর-বন্দর এলাকায় ভোট দিয়ে তাদের পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনবেন। শামীম ওসমানরা যে ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারে তাই প্রমাণ করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং অফিসার মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানকে (লাঙ্গল) আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও ৫০ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন দাবি করে ফলাফল বর্জন ও নানা অভিযোগ করলেও পরাজিত প্রার্থী এসএম আকরাম নির্বাচন কমিশনে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে আকরামকে উপস্থিত থাকতে নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি আসেননি।
মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসএম আকরাম কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি লিখিত দেবেন। কিন্তু বিকাল ৪টা পর্যন্ত বসে থেকেছি, তিনি আসেননি। তাই ঢাকা চলে যাচ্ছি। বিপরীতে আকরাম জানান, তিনি সরকারিভাবে কোনো রেজাল্ট শিট পাননি। হাতে পেলে তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
স্বপ্নের জাল বোনা নারায়ণগঞ্জবাসীর সামনে এখন প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ মেলানোর দিন। সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনের আগে শিল্পায়নসমৃদ্ধ একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার যে স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা আর নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ সেলিম ওসমানকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন তেমনি তার কাছ থেকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আর উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা, সব দল মতের ঊর্ধ্বে ওঠে তিনি যেন শুধুই আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
শীতলক্ষ্যার দুপারের নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার চান নতুন সংসদ সদস্য তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করুন। নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ, খানপুর, জামতলা, বাবুর আইল, টানবাজার, নিতাইগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, জলাবদ্ধতার অবর্ণনীয় দুর্ভোগ যাতে আর না পোহাতে হয়। দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হোক।
No comments:
Post a Comment