পাঠ্যবই-বিভ্রান্তি চরমে, মুখ খুললেন কবীর সুমন
এই সময়: দ্বাদশ শ্রেণির 'বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি' বই ঘিরে রাজ্য জুড়ে চরম বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে৷ রাজ্যের দূরবর্তী জেলার অধিকাংশ এলাকায় বইটি এখনও পেঁৗছয়ইনি৷ কলকাতার অনেক স্কুল আবার বইয়ের 'বাংলা গানের বাঁকবদল (আট ও নয়ের দশক)'-এর কবীর সুমনের বিতর্কিত অংশটি বাদ দিয়েই পড়াচ্ছে৷ কোনও কোনও স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুণছে৷ যদিও সংসদ কর্তৃপক্ষ সোমবার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের আগে কোনও কথা বলতে রাজি নন৷
এদিকে যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই কবীর সুমন ফেসবুকে মুখ খুলেছেন৷ তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের একটি স্কুল পাঠ্যবইয়ে বাংলা গান বা বাংলা গানের গতিপথে আমার ভূমিকা নিয়ে কিছু কথা লেখা হয়েছিল৷ অতটা জায়গা দেওয়া হয়েছিল জেনে আমি, সত্যি বলতে, একটু হলেও চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছিলাম৷ কারণ, যে সরকার এখন এ রাজ্য শাসনক্ষমতাসীন, আমার ব্যাপারে তাঁরা উদাসীন, নীরব৷' তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের যুক্তি, 'বিষয়টা কবীর সুমন নিয়ে নয়৷ বইয়ে যাঁদের অবদানের কথা থাকা উচিত ছিল, তাঁদের কোনও উল্লেখ নেই৷'
হিন্দু স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ণ দাস বলেন, 'পাঠ্যবইটি বাতিলের ব্যাপারে সংসদের কোনও নির্দেশিকা পাইনি৷ তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা বইয়ের 'বিতর্কিত' অংশটি বাদ দিয়ে পড়াচ্ছেন৷ সংসদ বা স্কুলশিক্ষা দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় আছি৷' উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'বইটি জেলায় খুব বেশি এসে না-পেঁৗছনোয় পড়ুয়াদের ভালোই হয়েছে৷' বইটি দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তাঁর আশা৷ যদিও হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল দাসের কথায়, 'সংসদ অনেক সময়ে পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করতে পারে৷ আগেও একাধিকবার হয়েছে৷'
রাজ্য সরকারের প্রতি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমনের বক্রোক্তি, 'কেউ যদি আধুনিক বাংলা গানের ধারা নিয়ে লিখতে গিয়ে আমাকে একটু আলাদা জায়গা দিয়ে থাকেন, তাতে রাজনৈতিক আপত্তি থাকতেই পারে৷ কিন্ত্ত ইতিহাসের দিক দিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়৷ যাই হোক, রাজ্যের একটি পাঠ্যবইয়ে আমার সম্পর্কে দুটো ভালো কথা লেখার কারণেই বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সেই বইটি পাঠ্যতালিকা থেকে বাতিল করে দিয়ে থাকেন, তো সেটাও ভালো৷ দুনিয়ার সব সরকার চিরস্থায়ী হোক৷ সরকার মানেই ভালো৷ বিশেষত, সেটা যদি এই রাজ্যের বর্তমান কালে হয়৷'
এই সময়: দ্বাদশ শ্রেণির 'বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি' বই ঘিরে রাজ্য জুড়ে চরম বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে৷ রাজ্যের দূরবর্তী জেলার অধিকাংশ এলাকায় বইটি এখনও পেঁৗছয়ইনি৷ কলকাতার অনেক স্কুল আবার বইয়ের 'বাংলা গানের বাঁকবদল (আট ও নয়ের দশক)'-এর কবীর সুমনের বিতর্কিত অংশটি বাদ দিয়েই পড়াচ্ছে৷ কোনও কোনও স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুণছে৷ যদিও সংসদ কর্তৃপক্ষ সোমবার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের আগে কোনও কথা বলতে রাজি নন৷
এদিকে যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই কবীর সুমন ফেসবুকে মুখ খুলেছেন৷ তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের একটি স্কুল পাঠ্যবইয়ে বাংলা গান বা বাংলা গানের গতিপথে আমার ভূমিকা নিয়ে কিছু কথা লেখা হয়েছিল৷ অতটা জায়গা দেওয়া হয়েছিল জেনে আমি, সত্যি বলতে, একটু হলেও চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছিলাম৷ কারণ, যে সরকার এখন এ রাজ্য শাসনক্ষমতাসীন, আমার ব্যাপারে তাঁরা উদাসীন, নীরব৷' তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের যুক্তি, 'বিষয়টা কবীর সুমন নিয়ে নয়৷ বইয়ে যাঁদের অবদানের কথা থাকা উচিত ছিল, তাঁদের কোনও উল্লেখ নেই৷'
হিন্দু স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ণ দাস বলেন, 'পাঠ্যবইটি বাতিলের ব্যাপারে সংসদের কোনও নির্দেশিকা পাইনি৷ তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা বইয়ের 'বিতর্কিত' অংশটি বাদ দিয়ে পড়াচ্ছেন৷ সংসদ বা স্কুলশিক্ষা দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় আছি৷' উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'বইটি জেলায় খুব বেশি এসে না-পেঁৗছনোয় পড়ুয়াদের ভালোই হয়েছে৷' বইটি দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তাঁর আশা৷ যদিও হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল দাসের কথায়, 'সংসদ অনেক সময়ে পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করতে পারে৷ আগেও একাধিকবার হয়েছে৷'
রাজ্য সরকারের প্রতি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমনের বক্রোক্তি, 'কেউ যদি আধুনিক বাংলা গানের ধারা নিয়ে লিখতে গিয়ে আমাকে একটু আলাদা জায়গা দিয়ে থাকেন, তাতে রাজনৈতিক আপত্তি থাকতেই পারে৷ কিন্ত্ত ইতিহাসের দিক দিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়৷ যাই হোক, রাজ্যের একটি পাঠ্যবইয়ে আমার সম্পর্কে দুটো ভালো কথা লেখার কারণেই বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সেই বইটি পাঠ্যতালিকা থেকে বাতিল করে দিয়ে থাকেন, তো সেটাও ভালো৷ দুনিয়ার সব সরকার চিরস্থায়ী হোক৷ সরকার মানেই ভালো৷ বিশেষত, সেটা যদি এই রাজ্যের বর্তমান কালে হয়৷'
No comments:
Post a Comment