শীর্ষ নেতৃত্ব বদলের দাবি উঠল না রাজ্য কমিটিতে
এই সময় : সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার খোলা আহ্বান জানিয়েছিলেন , তোপের মুখে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্ত্ততিও নিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত তোপের মুখে পড়া তো দূরের কথা , প্রকাশ কারাটের সামনে এ বার নেতৃত্ব বদল নিয়ে টুঁ শব্দটিও করলেন না রাজ্য সিপিএমের বিক্ষুব্ধ নেতারা৷ লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিপিএমের যে 'বিদ্রোহী ' নেতারা নেতৃত্ব বদলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন , এক মাস যেতে না -যেতেই সেই নেতারা প্রকাশ কারাটের সামনে মুখে কুলুপ আঁটলেন৷ ফলে শনিবার সিপিএমের একদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে গোপালন ভবন ফিরলেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট৷
পাশাপাশি, লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী অমিয় সাহু -সহ চার নেতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে শনিবারের বৈঠকে৷ একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের এক নেতাকে বহিষ্কার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ দলের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ জারি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের রিপোর্টিং লোকাল কমিটি স্তর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্তও রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঘোষণা করেছেন কারাট৷ এ দিনের বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক হিসেবে প্রশান্ত প্রধানের নির্বাচন এবং জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ করা ছাড়া অন্য কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়নি৷ গণসংগঠন নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা -ও হয়নি৷ উল্টে যে ভাবে রাজ্য কমিটির বিক্ষুব্ধ অংশ এ দিন ভোল বদল করে মুখে কুলুপ এঁটেছেন , তাতে প্রবল বিস্ময় তৈরি হয়েছে সিপিএমের অন্দরে৷ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর্যালোচনা ব্যাখ্যা করে রাজ্য কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে কারাট শনিবার হঠাত্ই বলেন , 'নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে৷ আত্মসমালোচনা হয়েছে৷ আপনারা যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন৷ আমি তার উত্তর দেব৷ দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করব৷ '
কারাটের এই ঘোষণায় রাজ্য কমিটিতে চাপা গুঞ্জন ওঠে৷ রাজ্য কমিটির গত বৈঠকে যেহেতু কারাটের উপস্থিতিতেই নেতৃত্ব বদলের দাবিতে অমল হালদার , মইনুল হোসেন , শমীক লাহিড়ি , মানব মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা সরব হয়েছিলেন , তাই এই নেতারা এ দিন কী বলেন , তা নিয়ে প্রবল কৌতূহল ছিল৷ কারাট লিখিত প্রশ্নও চেয়েছিলেন৷ রাজ্য কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় অর্ধ প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য নির্ধারিত হয়৷ কিন্ত্ত দ্বিতীয়ার্ধে অসীম দাশগুন্ত সহ হাতে গোনা তিন -চার জন ছাড়া আর কেউই প্রশ্ন জমা দেননি৷ যে প্রশ্নগুলি জমা পড়ে , সেগুলিতে কোনও ধারও ছিল না , নিতান্তই মামুলি প্রশ্ন৷ দলের নিচুতলা থেকে বাম মনোভাবাপন্ন জনতা যখন নেতৃত্ব বদল নিয়ে সোচ্চার তখন রাজ্য কমিটির একজন সদস্যও নেতৃত্ব বদল নিয়ে কারাটের বক্তব্য জানতে চাননি৷ এমনকি , মানববাবু কলকাতা জেলা নিয়ে রিপোর্টিং -এর সময়ও এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান৷ বরং একাধিক জেলা নেতা বিমান বসুর রাত জেগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন৷ ফলে কারাটও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী ঢঙে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিদায় নিয়েছেন৷ সাংগঠনিক স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে , জলপাইগুড়ির পরবর্তী জেলা কমিটির বৈঠকে জেলা ভেঙে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার করা হবে৷ পাশাপাশি , পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও প্রশান্ত প্রধানকে স্থায়ী জেলা সম্পাদক করা হয়েছে এ দিন৷ অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লক হাফিজ আলম সাইরানি ও উদয়ন গুহর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে৷
পাশাপাশি, লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী অমিয় সাহু -সহ চার নেতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে শনিবারের বৈঠকে৷ একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের এক নেতাকে বহিষ্কার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ দলের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ জারি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের রিপোর্টিং লোকাল কমিটি স্তর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্তও রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঘোষণা করেছেন কারাট৷ এ দিনের বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক হিসেবে প্রশান্ত প্রধানের নির্বাচন এবং জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ করা ছাড়া অন্য কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়নি৷ গণসংগঠন নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা -ও হয়নি৷ উল্টে যে ভাবে রাজ্য কমিটির বিক্ষুব্ধ অংশ এ দিন ভোল বদল করে মুখে কুলুপ এঁটেছেন , তাতে প্রবল বিস্ময় তৈরি হয়েছে সিপিএমের অন্দরে৷ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর্যালোচনা ব্যাখ্যা করে রাজ্য কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে কারাট শনিবার হঠাত্ই বলেন , 'নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে৷ আত্মসমালোচনা হয়েছে৷ আপনারা যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন৷ আমি তার উত্তর দেব৷ দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করব৷ '
কারাটের এই ঘোষণায় রাজ্য কমিটিতে চাপা গুঞ্জন ওঠে৷ রাজ্য কমিটির গত বৈঠকে যেহেতু কারাটের উপস্থিতিতেই নেতৃত্ব বদলের দাবিতে অমল হালদার , মইনুল হোসেন , শমীক লাহিড়ি , মানব মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা সরব হয়েছিলেন , তাই এই নেতারা এ দিন কী বলেন , তা নিয়ে প্রবল কৌতূহল ছিল৷ কারাট লিখিত প্রশ্নও চেয়েছিলেন৷ রাজ্য কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় অর্ধ প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য নির্ধারিত হয়৷ কিন্ত্ত দ্বিতীয়ার্ধে অসীম দাশগুন্ত সহ হাতে গোনা তিন -চার জন ছাড়া আর কেউই প্রশ্ন জমা দেননি৷ যে প্রশ্নগুলি জমা পড়ে , সেগুলিতে কোনও ধারও ছিল না , নিতান্তই মামুলি প্রশ্ন৷ দলের নিচুতলা থেকে বাম মনোভাবাপন্ন জনতা যখন নেতৃত্ব বদল নিয়ে সোচ্চার তখন রাজ্য কমিটির একজন সদস্যও নেতৃত্ব বদল নিয়ে কারাটের বক্তব্য জানতে চাননি৷ এমনকি , মানববাবু কলকাতা জেলা নিয়ে রিপোর্টিং -এর সময়ও এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান৷ বরং একাধিক জেলা নেতা বিমান বসুর রাত জেগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন৷ ফলে কারাটও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী ঢঙে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিদায় নিয়েছেন৷ সাংগঠনিক স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে , জলপাইগুড়ির পরবর্তী জেলা কমিটির বৈঠকে জেলা ভেঙে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার করা হবে৷ পাশাপাশি , পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও প্রশান্ত প্রধানকে স্থায়ী জেলা সম্পাদক করা হয়েছে এ দিন৷ অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লক হাফিজ আলম সাইরানি ও উদয়ন গুহর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে৷
No comments:
Post a Comment