Sunday, June 29, 2014

বাঁকুড়ায় বিজেপি সমর্থকরা আক্রান্ত, টাঙ্গির কোপে জখম ৮, হামলা ইলামবাজারেও

এই সময়, বাঁকুড়া এবং সিউড়ি: ফের তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত বিজেপি৷ শনিবার সকাল থেকে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়া সদর থানার মুনিয়াডিহি গ্রাম৷ অভিযোগ, লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়৷ কোপানো হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে৷ গুরুতর জখম অবস্থায় আট জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ বাঁকুড়ার এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বীরভূমের ইলামবাজারে শেখ মোস্তাক মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তৃণমূল যথারীতি ওই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে৷ জেলার তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'সিপিএম-ই আসলে বিজেপি সেজে গ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে৷ তাই মানুষ প্রতিরোধ করছেন৷ এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷' জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমেছে৷ তবে রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি৷

আজ রবিবার বিজেপির নেতা শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি দল যাচ্ছে মুনিয়াডিহি গ্রামে৷ যে ভাবে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে তা বিশদে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্্হা৷ তিনি বলেন, 'বিজেপির প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে যতই আতঙ্ক বাড়ছে ততই এই হামলা আক্রমণ বাড়ছে৷' মুনিয়াডিহির ঘটনা নিয়ে আইনি পথে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুলবাবু৷ দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব বাঁকুড়াতেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর আর্জি জানাতে পারেন৷

দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় তথাগত রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি দল বাঁকুড়ায় গিয়েছিল৷ তার রেশ কাটতে না কাটতে এ দিন সকালে মুনিয়াডিহি গ্রামে সশস্ত্র তৃণমূল কর্মীদের হামলা চলে৷ কার্তিক মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথায় টাঙ্গির কোপ মারা হয়৷ তাপস মণ্ডল নামে অপর এক বিজেপি সমর্থকের হাতেও টাঙ্গির কোপ পড়ে৷ ঘটনাচক্রে তাপস মণ্ডল সিভিক পুলিশের কাজ করেন৷ তাঁর পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও ইশ্বর গরাইদের মতো জখম বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, 'আমরা বিজেপি করি বলেই তৃণমূল আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে৷' ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি সুভাষ সরকার৷ অন্যদিকে ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী শেখ মোস্তাক মণ্ডল বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হন৷ এই ঘটনায় ১৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে৷

No comments:

Post a Comment