দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার ॥ বাজেট পাস
০ সংসদে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৪০ কোটি এক লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি
০ এটা গ্রস বাজেট। এই টাকার পুরোটা ব্যয় হবে না। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই অতিরিক্ত টাকা বাজেট বরাদ্দ দেখাতে হয়
০ এটা গ্রস বাজেট। এই টাকার পুরোটা ব্যয় হবে না। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই অতিরিক্ত টাকা বাজেট বরাদ্দ দেখাতে হয়
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতীয় সংসদে রবিবার সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। নির্দিষ্টকরণ আইন ২০১৪ পাসের মধ্য দিয়ে রবিবার দুপুরে এ বাজেট পাস হয়। আর এ বাজেট পাসের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ সরকারকে রাষ্ট্রের সংযুক্ত তহবিল থেকে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৪০ কোটি এক লাখ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রকৃত ব্যয় হচ্ছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। আগামী পহেলা জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর শুরু হবে।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গত ৫ জুন জাতীয় সংসদ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এটি হচ্ছে নীট বাজেট। এ অর্থই সরকার পরিচালনার জন্য আগামী অর্থবছরে ব্যয় হবে। আর জাতীয় সংসদ রবিবার যে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৪০ কোটি এক লাখ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি দিয়েছে তা গ্রস বাজেট। এ টাকার পুরোটা ব্যয় হবে না। ব্যয় হবে শুধু দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এ অতিরিক্ত টাকা বাজেট বরাদ্দ দেখাতে হয়। যা আবার আয় খাতে দেখিয়ে বাজেটের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
আগামী অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ৫৬টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এ দাবিগুলোর ওপর বিরোধী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা মোট ২৪৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল নীতি অনুমোদন, মিতব্যয় ছাঁটাই। যা শেষ পর্যন্ত কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায় এবং সরকারী দলের সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে এসব মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে মন্ত্রীদের চাওয়া বরাদ্দগুলো সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। মঞ্জুরি দাবিগুলোর মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ছয়টি দাবির ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক খাত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এগুলোর ওপর ঘুরে ফিরে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজি, শওকত চৌধুরী, হাজী সেলিম, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নোমান ও নুরুল ইসলাম মিলন আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে তাদের আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বাজেট পাস উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। অধিবেশনের শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা একে একে তাদের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ চেয়ে মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন। স্পীকার একে একে এসব মঞ্জুরি দাবি নিষ্পত্তি করেন। মঞ্জুরি দাবিগুলো নিষ্পত্তি শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে নির্দিষ্টকরণ আইন ২০১৪ জাতীয় সংসদ উত্থাপন করেন। এ আইনের দফাগুলো সংসদ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৫ জুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৮ম বাজেট ও মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন। বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয় গত ৮ জুন। আলোচনা চলে টানা ২৮ জুন পর্যন্ত। এ সময়ে সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও অন্য মন্ত্রীসহ সরকারী ও বিরোধী দলের ২৬৫ সদস্য ১৬ কার্যদিবসে মোট ৬৩ ঘণ্টা ৬ মিনিট মূল বাজেট ও সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর ২ কার্যদিবসে ১৪ জন সদস্য ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং মূল বাজেটের ওপর ১৪ কার্যদিবসে ২৫১ জন সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য মোট ৫৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট আলোচনা করেন। এ দীর্ঘ আলোচনার পর গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০১৪ পাস হয়। তার পর দিন রবিবার বাজেটের খাতওয়ারি বরাদ্দগুলো অনুমোদন শেষে সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৪ পাসের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ॥ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আলোচনায় সংসদ সদস্যরা বলেন, দেশের আর্থিক খাত কঠিন সময় পার করছে। নামে বেনামে ঋণ নিয়ে কিছু ব্যক্তি অর্থের পাহাড় গড়ে তুলছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটেছে ব্যাংকে। এ ধারা বন্ধের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
বেসিক ব্যাংক প্রসঙ্গে আলোচনায় বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কারণে এ ব্যাংকটি লোকসান দিচ্ছে। ভুল জায়গায় ঋণ দেয়ার দায়ে জনগণের ওপর বোঝা বাড়ছে। মূলধন ঠিক রাখতে গিয়ে সরকারকে পুনঃঅর্থায়ন করতে হয়েছে।
সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, তদারকির অভাবেই ব্যাংকিং খাতে লুটপাট হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে জঙ্গী অর্থায়ন হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একটি কমিটি করতে হবে।
অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত স্বীকার করে বলেন, ব্যাংকিং খাতে মাঝে মাঝেই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জালিয়াতি বন্ধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে অতীতে কেউ এসব কথা চিন্তাই করতে পারেনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় আমরাই প্রথম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিচারের কাঠগড়ায় এনেছি। এ খাতের জালিয়াতি বন্ধের দায়িত্ব আমি নিয়েছি।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি নিয়ে সংসদ সদস্য ও মিডিয়াগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে। তারা আমাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তাই এগুলো আমলে নিয়ে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির জন্য ওই ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে ডিসমিস করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেসিক ব্যাংকের পরিষদকে নতুন করে গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটা দেখা যাবে। সংসদ সদস্য ও সংবাদ মাধ্যমের সচেতনতার কারণে শুধু সরকারই এ বিষয়ে সাবধান হবে তা নয় বরং যারা দুর্নীতি করে তাদের জন্যও এটা সর্তকবার্তা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ॥ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর আলোচনায় সরকারী হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে বলা হয়, সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার আছে। কিন্তু বেডের সংখ্যা কম। ফলে বেশি রোগী ভর্তি হতে পারে না। আবার জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কোন যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে তা ঠিক করতে হলে ঢাকার অপেক্ষায় থাকতে হয়। স্থানীয়ভাবে কোন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা যায় না। ফলে অপারেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ থাকে।
ডাক্তারদের প্রসঙ্গে বলা হয়, ডাক্তাররা স্বাস্থ্য বাণিজ্যে নিয়োজিত। হাসপাতালে এসে স্বাক্ষর করে তারা স্বাস্থ্য বাণিজ্যে চলে যায়। এটা বন্ধ করতে না পারলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ধস নামবে।
বেসরকারী মেডিক্যাল শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করে ছাত্ররা কতটা পরিপূর্ণ ডাক্তার হচ্ছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এ চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তারদের গ্রামে পাঠানো যায় না। গ্রামে পাঠালে তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে চলে আসে। ডাক্তারদের হাসপাতালে পাওয়া যায় না।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গ্রামে ডাক্তার থাকবে, কি থাকবে না তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। এ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের। তারা নিজ এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তারাই দেখবেন ডাক্তার আছে কি নাই।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও নেই যে সরকার প্রধান বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এগুলো দেখছেন। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব আমার না, আপনাদের। কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার না থাকলে আপনারা আমার কাছে সুপারিশ পাঠান। আপনাদের সুপারিশ শতভাগ কার্যকর করা হবে।’
এমপিদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির মাসে দুটি মিটিং করার কথা আছে। আপনারা (এমপি) সিদ্ধান্ত নেবেন ডাক্তার আছে কিনা। আপনাদের কোন সুপারিশ থাকলে সেটা শতভাগ গ্রহণ করা হবে। ডাক্তার রাখার দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো। এ জন্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। বরাদ্দ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ করা উচিত। আমরা সারাদেশের মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আপনাদের আরও বেশি সেবা দিতে পারব।’
সড়ক বিভাগ ॥ সড়ক বিভাগের ওপর আলোচনায় বলা হয়, সামনে ঈদ আসছে। ঈদের আগে রাস্তাঘাট মেরামত না করলে ঘরে ফেরা মানুষরা দুর্ভোগে পড়বে। যোগাযোগমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্পটে গিয়ে দেখছেন। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলা হয়, যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নিরলস কাজ করছেন। এটা করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
সংসদ সদস্যদের আলোচনার জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজা এবং ঈদ সামনে রেখে সড়কে গাড়ি চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। এবার বর্ষা, রমজান ও ঈদে সড়কে কোন সমস্যা হবে না। এর আগেও রমজান, ঈদ ও বর্ষা এসেছে। আমরা সড়ক মেরামত করে তা ঠিক রাখতে সফল হয়েছি। ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করেছি। মানুষ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পেরেছে। এবারও করতে পারবে।
বিভিন্ন বিভাগে সমন্বয়ের অভাব ও কর্মকর্তাদের সমস্যার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। এ জন্যই যোগাযোগ সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ফোরলেনে উন্নীত করার কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এবং এ কারণে যাতে যাত্রীদেরও কোন ভোগান্তির শিকার হতে না হয় সেজন্য চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভারি বর্ষণ, সড়ক মেরামত বিষয়ে মন্ত্রণালয় মনিটরিং বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব অঙ্গের ব্যথা এক সঙ্গে উপশম করা মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কোন ঘাটতি নেই। অবিরাম চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সঙ্কটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই সঙ্কটের সময় সঠিক সুযোগ খুঁজে সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে। মাত্র আড়াই বছরে কতটা সফল তা যাচাই করার সময় এখনও আসেনি। তা জনগণ বিবেচনা করবেন।
কাজকে ভালবাসি বলে কাজ করি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ খাওয়ার জন্য, কিছু মানুষ প্রতিপত্তি আর সুনামের জন্য কাজ করেন। আমি কাজকে ভালবাসি বলে কাজ করি।
সারাদেশে ২১ হাজার পাঁচ শ’ কিলোমিটার রাস্তা সচল রাখার কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এসব সড়ক সব সময় সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব সময় সচেষ্ট বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গত ৫ জুন জাতীয় সংসদ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এটি হচ্ছে নীট বাজেট। এ অর্থই সরকার পরিচালনার জন্য আগামী অর্থবছরে ব্যয় হবে। আর জাতীয় সংসদ রবিবার যে তিন লাখ ৮২ হাজার ৩৪০ কোটি এক লাখ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি দিয়েছে তা গ্রস বাজেট। এ টাকার পুরোটা ব্যয় হবে না। ব্যয় হবে শুধু দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এ অতিরিক্ত টাকা বাজেট বরাদ্দ দেখাতে হয়। যা আবার আয় খাতে দেখিয়ে বাজেটের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
আগামী অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ৫৬টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এ দাবিগুলোর ওপর বিরোধী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা মোট ২৪৯টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল নীতি অনুমোদন, মিতব্যয় ছাঁটাই। যা শেষ পর্যন্ত কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায় এবং সরকারী দলের সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে এসব মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে মন্ত্রীদের চাওয়া বরাদ্দগুলো সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। মঞ্জুরি দাবিগুলোর মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ছয়টি দাবির ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক খাত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এগুলোর ওপর ঘুরে ফিরে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজি, শওকত চৌধুরী, হাজী সেলিম, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নোমান ও নুরুল ইসলাম মিলন আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে তাদের আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বাজেট পাস উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। অধিবেশনের শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা একে একে তাদের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ চেয়ে মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন। স্পীকার একে একে এসব মঞ্জুরি দাবি নিষ্পত্তি করেন। মঞ্জুরি দাবিগুলো নিষ্পত্তি শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে নির্দিষ্টকরণ আইন ২০১৪ জাতীয় সংসদ উত্থাপন করেন। এ আইনের দফাগুলো সংসদ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৫ জুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৮ম বাজেট ও মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন। বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয় গত ৮ জুন। আলোচনা চলে টানা ২৮ জুন পর্যন্ত। এ সময়ে সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও অন্য মন্ত্রীসহ সরকারী ও বিরোধী দলের ২৬৫ সদস্য ১৬ কার্যদিবসে মোট ৬৩ ঘণ্টা ৬ মিনিট মূল বাজেট ও সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর ২ কার্যদিবসে ১৪ জন সদস্য ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং মূল বাজেটের ওপর ১৪ কার্যদিবসে ২৫১ জন সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য মোট ৫৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট আলোচনা করেন। এ দীর্ঘ আলোচনার পর গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০১৪ পাস হয়। তার পর দিন রবিবার বাজেটের খাতওয়ারি বরাদ্দগুলো অনুমোদন শেষে সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৪ পাসের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ॥ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আলোচনায় সংসদ সদস্যরা বলেন, দেশের আর্থিক খাত কঠিন সময় পার করছে। নামে বেনামে ঋণ নিয়ে কিছু ব্যক্তি অর্থের পাহাড় গড়ে তুলছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটেছে ব্যাংকে। এ ধারা বন্ধের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
বেসিক ব্যাংক প্রসঙ্গে আলোচনায় বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কারণে এ ব্যাংকটি লোকসান দিচ্ছে। ভুল জায়গায় ঋণ দেয়ার দায়ে জনগণের ওপর বোঝা বাড়ছে। মূলধন ঠিক রাখতে গিয়ে সরকারকে পুনঃঅর্থায়ন করতে হয়েছে।
সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, তদারকির অভাবেই ব্যাংকিং খাতে লুটপাট হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে জঙ্গী অর্থায়ন হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একটি কমিটি করতে হবে।
অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত স্বীকার করে বলেন, ব্যাংকিং খাতে মাঝে মাঝেই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জালিয়াতি বন্ধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে অতীতে কেউ এসব কথা চিন্তাই করতে পারেনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় আমরাই প্রথম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিচারের কাঠগড়ায় এনেছি। এ খাতের জালিয়াতি বন্ধের দায়িত্ব আমি নিয়েছি।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি নিয়ে সংসদ সদস্য ও মিডিয়াগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে। তারা আমাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তাই এগুলো আমলে নিয়ে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির জন্য ওই ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে ডিসমিস করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেসিক ব্যাংকের পরিষদকে নতুন করে গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটা দেখা যাবে। সংসদ সদস্য ও সংবাদ মাধ্যমের সচেতনতার কারণে শুধু সরকারই এ বিষয়ে সাবধান হবে তা নয় বরং যারা দুর্নীতি করে তাদের জন্যও এটা সর্তকবার্তা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ॥ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর আলোচনায় সরকারী হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে বলা হয়, সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার আছে। কিন্তু বেডের সংখ্যা কম। ফলে বেশি রোগী ভর্তি হতে পারে না। আবার জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কোন যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে তা ঠিক করতে হলে ঢাকার অপেক্ষায় থাকতে হয়। স্থানীয়ভাবে কোন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা যায় না। ফলে অপারেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ থাকে।
ডাক্তারদের প্রসঙ্গে বলা হয়, ডাক্তাররা স্বাস্থ্য বাণিজ্যে নিয়োজিত। হাসপাতালে এসে স্বাক্ষর করে তারা স্বাস্থ্য বাণিজ্যে চলে যায়। এটা বন্ধ করতে না পারলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ধস নামবে।
বেসরকারী মেডিক্যাল শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করে ছাত্ররা কতটা পরিপূর্ণ ডাক্তার হচ্ছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এ চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তারদের গ্রামে পাঠানো যায় না। গ্রামে পাঠালে তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে চলে আসে। ডাক্তারদের হাসপাতালে পাওয়া যায় না।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গ্রামে ডাক্তার থাকবে, কি থাকবে না তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। এ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের। তারা নিজ এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তারাই দেখবেন ডাক্তার আছে কি নাই।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও নেই যে সরকার প্রধান বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এগুলো দেখছেন। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব আমার না, আপনাদের। কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার না থাকলে আপনারা আমার কাছে সুপারিশ পাঠান। আপনাদের সুপারিশ শতভাগ কার্যকর করা হবে।’
এমপিদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির মাসে দুটি মিটিং করার কথা আছে। আপনারা (এমপি) সিদ্ধান্ত নেবেন ডাক্তার আছে কিনা। আপনাদের কোন সুপারিশ থাকলে সেটা শতভাগ গ্রহণ করা হবে। ডাক্তার রাখার দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো। এ জন্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। বরাদ্দ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ করা উচিত। আমরা সারাদেশের মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আপনাদের আরও বেশি সেবা দিতে পারব।’
সড়ক বিভাগ ॥ সড়ক বিভাগের ওপর আলোচনায় বলা হয়, সামনে ঈদ আসছে। ঈদের আগে রাস্তাঘাট মেরামত না করলে ঘরে ফেরা মানুষরা দুর্ভোগে পড়বে। যোগাযোগমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্পটে গিয়ে দেখছেন। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলা হয়, যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নিরলস কাজ করছেন। এটা করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
সংসদ সদস্যদের আলোচনার জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজা এবং ঈদ সামনে রেখে সড়কে গাড়ি চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। এবার বর্ষা, রমজান ও ঈদে সড়কে কোন সমস্যা হবে না। এর আগেও রমজান, ঈদ ও বর্ষা এসেছে। আমরা সড়ক মেরামত করে তা ঠিক রাখতে সফল হয়েছি। ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করেছি। মানুষ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পেরেছে। এবারও করতে পারবে।
বিভিন্ন বিভাগে সমন্বয়ের অভাব ও কর্মকর্তাদের সমস্যার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। এ জন্যই যোগাযোগ সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ফোরলেনে উন্নীত করার কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এবং এ কারণে যাতে যাত্রীদেরও কোন ভোগান্তির শিকার হতে না হয় সেজন্য চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভারি বর্ষণ, সড়ক মেরামত বিষয়ে মন্ত্রণালয় মনিটরিং বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব অঙ্গের ব্যথা এক সঙ্গে উপশম করা মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কোন ঘাটতি নেই। অবিরাম চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সঙ্কটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই সঙ্কটের সময় সঠিক সুযোগ খুঁজে সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে। মাত্র আড়াই বছরে কতটা সফল তা যাচাই করার সময় এখনও আসেনি। তা জনগণ বিবেচনা করবেন।
কাজকে ভালবাসি বলে কাজ করি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ খাওয়ার জন্য, কিছু মানুষ প্রতিপত্তি আর সুনামের জন্য কাজ করেন। আমি কাজকে ভালবাসি বলে কাজ করি।
সারাদেশে ২১ হাজার পাঁচ শ’ কিলোমিটার রাস্তা সচল রাখার কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এসব সড়ক সব সময় সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব সময় সচেষ্ট বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment