শেষ ছয় মিনিটে মানরক্ষা রবেনদের
দীপেন্দু বিশ্বাস
ম্যাচে যখন হাফ টাইম চলছে, ম্যাচ দেখতে-দেখতে আমার এক বন্ধু বলল, আজ নেদারল্যান্ডস গেল৷ বিদায় নিশ্চিত৷ আমি তখনই বলেছিলাম, ম্যাচটা ৬০ মিনিট পর্যন্ত যেতে দে৷ তারপর দ্যাখ কী হয়৷ এমন ঝড় তুলবে রবেনরা, মেক্সিকো ডান দিক, বাঁদিক খঁুজে পাবে না৷
ঠিক তাই হল৷ ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ২-১ হেরে বিদায় নিতে হল মেক্সিকোকে৷ ৮৮ থেকে ৯৪, মাত্র ছয় মিনিটে ম্যাচটা নিজেদের ঘরে নিয়ে চলে গেল রবেনরা৷ এই জন্যই ওদের বড় ফুটবলার বলে৷ বড় টিম বলে৷ তবে, খুব খারাপ লাগছে গিলেরমো ওচোয়ার জন্য৷ দুরন্ত কিছু সেভ করেও বিশ্বকাপে ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল ওকে৷ ব্রাজিলের পর নেদারল্যান্ডকেও যে ভাবে প্রায় রুখে দিয়েছিল, ওকে ভুলব না৷ আমি অন্তত ওর ফ্যান হয়ে গিয়েছি৷ রবেনের যে শটটা সেভ করল, অসম্ভব ভালো অনুমান ক্ষমতা না থাকলে, ওই মুহূর্তে এ ভাবে গোল মুখ ছোট করে দেওয়া যায় না৷ শুধু একবার নয়, অন্তত বার তিনেক ওচোয়ার দু'হাত আটকে দিল মেক্সিকোর পতন৷ তারপরেও মেক্সিকোকে হারতে হল, শেষ মুহূর্তের চাপ নিতে না পারার জন্য৷
তার আগে, দোস সান্তোসের দুরন্ত শট নেদারল্যান্ডসের জালে জড়িয়ে যেতেই, গ্যালারিতে আমি একটা মুখ খুজছিলাম৷ এমিলি, মেক্সিকোর পাগল তরুণী সমর্থকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা প্রিভিউয়ে লিখেছিলাম৷ জানি ওকে দেখতে পাব না৷ তবে মাঠে গিয়েছে, সেটা হোয়াটসঅ্যাপে সকালেই জানিয়েছিল আমায়৷ ওকে লিখেছিলাম, তোমরাই জিতবে৷ কিন্ত্ত মন ছিল রবেন-ফান পার্সিদের পাশেই৷ এখন ম্যাচ শেষের পর এমিলিকে আবার হোয়াটসঅ্যাপ করছি৷ স্বীকার করে নেব, আমি ভাবতে পারিনি, মেক্সিকো সত্যিই এত ভালো ফুটবল খেলবে৷ ১-০ জয়টা বড় কথা নয়৷ আসল হল, নেদারল্যান্ডসের মতো একটা টিমের বিরুদ্ধেও যে এই গতিতে এরকম ফুটবল খেলা যায়, দেখিয়ে দিয়ে গেল মেক্সিকো৷
ম্যাচ প্রিভিউয়ে যেটা লিখেছিলাম বা চেয়েছিলাম, সেটা ম্যাচের সত্তর মিনিট পর্যন্ত পেলাম না৷ চেয়েছিলাম, কমলা ঝড় দেখতে৷ লিখেছিলাম, মেক্সিকোর বিরুদ্ধে রবেনরা গতির ঝড় তুলে দেবে৷ সত্যি বলছি, রবেনদের খেলায় সেটা একদমই খঁুজে পাচ্ছিলাম না৷
ঠিক কোন জায়গায় আটকে যাচ্ছিল রবেন-পার্সিরা? আমার মনে হয়, ম্যাচের ৯ মিনিটেই দে জংয়ের বসে যাওয়াটাই কাল হয়ে গিয়েছিল ওদের৷ ও শুধু মাঝমাঠে নয়, ডিফেন্সেও মাঝে-মধ্যে নেমে এসে নেতৃত্ব দেয়৷ ওই জায়গাটা আর পূরণ করতে পারল না নেদারল্যান্ডস৷ ডিফেন্স এবং মাঝমাঠের বাকি অনেকেই, ক্লাব ফুটবলে খুব একটা বড় টিমে খেলে না৷ তাই অভিজ্ঞতার অভাব বড় কারণ হয়ে যাচ্ছিল৷
আর রবেনের আটকে যাওয়া নিয়ে তো বলতেই হবে৷ আটকে যাওয়া বলব না, বলব, ওকে দারুণ বুদ্ধি করে আটকে রেখেছিলেন মেক্সিকান কোচ মিগুয়েল৷ তিন জনকে দিয়ে মার্ক করাচ্ছিলেন ওকে৷ দু'জন ফেল করলে শেষ ডিফেন্সে আরও একজন৷ তিন জনের মধ্যে থেকে রবেনের পক্ষে বার বার বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না৷ আবার ফান পার্সি এ দিন অফ ফর্মে৷ ও ভালো না খেললে, রবেনের পক্ষেও নিজের সেরাটা দেওয়া সম্ভব নয়৷
সব বদলে দিল তিন মিনিট বাকি থাকতে স্নেইডারের দুরন্ত শটে গোল৷ তার আগে রবেনও খোলস ছেড়ে বেরতে পেরেছিল৷ চাপ দিচ্ছিল প্রচন্ড৷ ১-১ হয়ে যাওয়ার পর শেষ সময়ে সেটা আরও বাড়ল৷ যার ফল ওই পেনাল্টি৷ রবেনকে ওই ভাবে আটকে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না৷ ফান পার্সির জায়গায় নাম হান্টেলার গোল করতে ভুল করেনি৷
নেদারল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে৷ ভালো লাগছে৷ তবু ভুলব না ওচোয়াকে৷ ওর জন্যই কষ্ট হচ্ছে৷
ম্যাচে যখন হাফ টাইম চলছে, ম্যাচ দেখতে-দেখতে আমার এক বন্ধু বলল, আজ নেদারল্যান্ডস গেল৷ বিদায় নিশ্চিত৷ আমি তখনই বলেছিলাম, ম্যাচটা ৬০ মিনিট পর্যন্ত যেতে দে৷ তারপর দ্যাখ কী হয়৷ এমন ঝড় তুলবে রবেনরা, মেক্সিকো ডান দিক, বাঁদিক খঁুজে পাবে না৷
ঠিক তাই হল৷ ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ২-১ হেরে বিদায় নিতে হল মেক্সিকোকে৷ ৮৮ থেকে ৯৪, মাত্র ছয় মিনিটে ম্যাচটা নিজেদের ঘরে নিয়ে চলে গেল রবেনরা৷ এই জন্যই ওদের বড় ফুটবলার বলে৷ বড় টিম বলে৷ তবে, খুব খারাপ লাগছে গিলেরমো ওচোয়ার জন্য৷ দুরন্ত কিছু সেভ করেও বিশ্বকাপে ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল ওকে৷ ব্রাজিলের পর নেদারল্যান্ডকেও যে ভাবে প্রায় রুখে দিয়েছিল, ওকে ভুলব না৷ আমি অন্তত ওর ফ্যান হয়ে গিয়েছি৷ রবেনের যে শটটা সেভ করল, অসম্ভব ভালো অনুমান ক্ষমতা না থাকলে, ওই মুহূর্তে এ ভাবে গোল মুখ ছোট করে দেওয়া যায় না৷ শুধু একবার নয়, অন্তত বার তিনেক ওচোয়ার দু'হাত আটকে দিল মেক্সিকোর পতন৷ তারপরেও মেক্সিকোকে হারতে হল, শেষ মুহূর্তের চাপ নিতে না পারার জন্য৷
তার আগে, দোস সান্তোসের দুরন্ত শট নেদারল্যান্ডসের জালে জড়িয়ে যেতেই, গ্যালারিতে আমি একটা মুখ খুজছিলাম৷ এমিলি, মেক্সিকোর পাগল তরুণী সমর্থকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা প্রিভিউয়ে লিখেছিলাম৷ জানি ওকে দেখতে পাব না৷ তবে মাঠে গিয়েছে, সেটা হোয়াটসঅ্যাপে সকালেই জানিয়েছিল আমায়৷ ওকে লিখেছিলাম, তোমরাই জিতবে৷ কিন্ত্ত মন ছিল রবেন-ফান পার্সিদের পাশেই৷ এখন ম্যাচ শেষের পর এমিলিকে আবার হোয়াটসঅ্যাপ করছি৷ স্বীকার করে নেব, আমি ভাবতে পারিনি, মেক্সিকো সত্যিই এত ভালো ফুটবল খেলবে৷ ১-০ জয়টা বড় কথা নয়৷ আসল হল, নেদারল্যান্ডসের মতো একটা টিমের বিরুদ্ধেও যে এই গতিতে এরকম ফুটবল খেলা যায়, দেখিয়ে দিয়ে গেল মেক্সিকো৷
ম্যাচ প্রিভিউয়ে যেটা লিখেছিলাম বা চেয়েছিলাম, সেটা ম্যাচের সত্তর মিনিট পর্যন্ত পেলাম না৷ চেয়েছিলাম, কমলা ঝড় দেখতে৷ লিখেছিলাম, মেক্সিকোর বিরুদ্ধে রবেনরা গতির ঝড় তুলে দেবে৷ সত্যি বলছি, রবেনদের খেলায় সেটা একদমই খঁুজে পাচ্ছিলাম না৷
ঠিক কোন জায়গায় আটকে যাচ্ছিল রবেন-পার্সিরা? আমার মনে হয়, ম্যাচের ৯ মিনিটেই দে জংয়ের বসে যাওয়াটাই কাল হয়ে গিয়েছিল ওদের৷ ও শুধু মাঝমাঠে নয়, ডিফেন্সেও মাঝে-মধ্যে নেমে এসে নেতৃত্ব দেয়৷ ওই জায়গাটা আর পূরণ করতে পারল না নেদারল্যান্ডস৷ ডিফেন্স এবং মাঝমাঠের বাকি অনেকেই, ক্লাব ফুটবলে খুব একটা বড় টিমে খেলে না৷ তাই অভিজ্ঞতার অভাব বড় কারণ হয়ে যাচ্ছিল৷
আর রবেনের আটকে যাওয়া নিয়ে তো বলতেই হবে৷ আটকে যাওয়া বলব না, বলব, ওকে দারুণ বুদ্ধি করে আটকে রেখেছিলেন মেক্সিকান কোচ মিগুয়েল৷ তিন জনকে দিয়ে মার্ক করাচ্ছিলেন ওকে৷ দু'জন ফেল করলে শেষ ডিফেন্সে আরও একজন৷ তিন জনের মধ্যে থেকে রবেনের পক্ষে বার বার বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না৷ আবার ফান পার্সি এ দিন অফ ফর্মে৷ ও ভালো না খেললে, রবেনের পক্ষেও নিজের সেরাটা দেওয়া সম্ভব নয়৷
সব বদলে দিল তিন মিনিট বাকি থাকতে স্নেইডারের দুরন্ত শটে গোল৷ তার আগে রবেনও খোলস ছেড়ে বেরতে পেরেছিল৷ চাপ দিচ্ছিল প্রচন্ড৷ ১-১ হয়ে যাওয়ার পর শেষ সময়ে সেটা আরও বাড়ল৷ যার ফল ওই পেনাল্টি৷ রবেনকে ওই ভাবে আটকে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না৷ ফান পার্সির জায়গায় নাম হান্টেলার গোল করতে ভুল করেনি৷
নেদারল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে৷ ভালো লাগছে৷ তবু ভুলব না ওচোয়াকে৷ ওর জন্যই কষ্ট হচ্ছে৷
http://eisamay.indiatimes.com/fifa-word-cup-2014/World-Cup-copy-of-Dipendu-Biswas/articleshow/37504000.cms
No comments:
Post a Comment