প্রধানমন্ত্রীকে মোদির চিঠি
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতন্ত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র
তৌহিদুর রহমান ॥ ‘বাংলাদেশ নিছক ভারতের প্রতিবেশীই নয়, দুই দেশের মধ্যে যোগসূত্র অনেক পুরনো। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেয়া চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সম্পর্কে এমনটিই উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে ‘অগ্রাধিকারমূলক’ বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বলেও তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা সফরের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খুব দ্রুত সময়ে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বুধবার ঢাকায় আসেন। পর দিন বৃহস্পতিবার আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন সুষমা স্বরাজ। শেখ হাসিনাকে দেয়া এই আমন্ত্রণপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন- ‘আমাদের কাছে বাংলাদেশ নিছক একটি প্রতিবেশী দেশ নয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগসূত্র অনেক পুরনো। দুই দেশের মধ্যে আমরা ইতিহাস, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ভাব খুব সহজেই বিনিময় করতে পারি। এ ছাড়া দুই দেশের জনগণের মধ্যেও এ সব বিষয়ে যোগসূত্র রয়েছে।’
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনাকে দেয়া চিঠিতে মোদি উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বাংলাদেশ আর্দশ রাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন ইত্যাদির সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের খুব সামঞ্জস্য রয়েছে।’
মোদি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- ‘দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক ও উদ্বেগের বিষয়ে বোঝা ও আলোচনার লক্ষ্যে আমাদের প্রায়ই সাক্ষাত হওয়া প্রয়োজন। আশা করি ভবিষ্যতে আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠিতে মোদি লিখেছেন- ‘বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনি যে চিঠি দিয়েছেন, সেটি আমি সাদরে গ্রহণ করেছি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একইভাবে আমিও আপনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য একটি সুযোগ নিতে চাই। আমিও আপনাকে খুব দ্রুততম ও সুবিধাজনক সময়ে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিটি হস্তান্তর করেন। এর আগে ভারতের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২৭ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হয়ে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের কারণে সে সময় মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দিন ২৮ মে স্পীকার শিরীন শারমিন মোদির সঙ্গে দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠক করেন। প্রায় আধাঘণ্টার বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন বাংলাদেশের স্পীকার। সেখানে বৈঠকের শুরুতেই মোদির হাতে স্পীকার শিরীন শারমিন তুলে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা চিঠি। চিঠিতে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। সেই চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খুব শীঘ্রই বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্রুত ও সুবিধাজনক সময়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক হবে। কেননা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই পরস্পরকে দেয়া চিঠিতে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সুষমা স্বরাজের সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা সফরের পর এখন দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে বৈঠকের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকারের দিল্লী সফর ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্কের শুভসূচনা হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনাও হয়। এখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর টুইট ॥ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটারে বাংলাদেশ নিয়ে তিনটি টুইট বার্তা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দেয়া এ সব টুইটে তিনি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গভীর সর্ম্পক তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একটি টুইটে মোদি লিখেছেন- ‘আমি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ আরেকটি টুইটে মোদি লিখেছেন- ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শুভ সম্পর্কের সূচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’ অপর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন- ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আমার আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বুধবার ঢাকায় আসেন। পর দিন বৃহস্পতিবার আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন সুষমা স্বরাজ। শেখ হাসিনাকে দেয়া এই আমন্ত্রণপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন- ‘আমাদের কাছে বাংলাদেশ নিছক একটি প্রতিবেশী দেশ নয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগসূত্র অনেক পুরনো। দুই দেশের মধ্যে আমরা ইতিহাস, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ভাব খুব সহজেই বিনিময় করতে পারি। এ ছাড়া দুই দেশের জনগণের মধ্যেও এ সব বিষয়ে যোগসূত্র রয়েছে।’
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনাকে দেয়া চিঠিতে মোদি উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বাংলাদেশ আর্দশ রাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন ইত্যাদির সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের খুব সামঞ্জস্য রয়েছে।’
মোদি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- ‘দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক ও উদ্বেগের বিষয়ে বোঝা ও আলোচনার লক্ষ্যে আমাদের প্রায়ই সাক্ষাত হওয়া প্রয়োজন। আশা করি ভবিষ্যতে আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠিতে মোদি লিখেছেন- ‘বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনি যে চিঠি দিয়েছেন, সেটি আমি সাদরে গ্রহণ করেছি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একইভাবে আমিও আপনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য একটি সুযোগ নিতে চাই। আমিও আপনাকে খুব দ্রুততম ও সুবিধাজনক সময়ে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিটি হস্তান্তর করেন। এর আগে ভারতের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২৭ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হয়ে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের কারণে সে সময় মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দিন ২৮ মে স্পীকার শিরীন শারমিন মোদির সঙ্গে দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠক করেন। প্রায় আধাঘণ্টার বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন বাংলাদেশের স্পীকার। সেখানে বৈঠকের শুরুতেই মোদির হাতে স্পীকার শিরীন শারমিন তুলে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা চিঠি। চিঠিতে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। সেই চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খুব শীঘ্রই বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্রুত ও সুবিধাজনক সময়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক হবে। কেননা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই পরস্পরকে দেয়া চিঠিতে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সুষমা স্বরাজের সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা সফরের পর এখন দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে বৈঠকের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকারের দিল্লী সফর ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্কের শুভসূচনা হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনাও হয়। এখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর টুইট ॥ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটারে বাংলাদেশ নিয়ে তিনটি টুইট বার্তা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দেয়া এ সব টুইটে তিনি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গভীর সর্ম্পক তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একটি টুইটে মোদি লিখেছেন- ‘আমি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ আরেকটি টুইটে মোদি লিখেছেন- ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শুভ সম্পর্কের সূচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’ অপর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন- ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আমার আমন্ত্রণপত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছে।’
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/
No comments:
Post a Comment