ফুটবলে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে
প্রকাশ : ৩০ জুন, ২০১৪
ফুটবল পারফর্মনির্ভর খেলা। পারফর্ম করার পাশাপাশি সুযোগ কাজে লাগানোও জরুরি। ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। কখনও কখনও পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যায় ভাগ্য। ব্রাজিল-চিলি ম্যাচ তার প্রমাণ। নকআউট পর্বে হারলেই বাদ। গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স যেখানে ধর্তব্য নয়। গ্রুপ পর্বে কে পাঁচটি কিংবা সাতটি গোল করেছে, তা মনে রাখলে চলবে না। কারণ নকআউট পর্বে ভালো মানের দলগুলোই উঠে আসে।
ব্রাজিল ও চিলির ম্যাচ দেখার পর হয়তো সেটাই ভাববে ফ্রান্স। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আজ নকআউটের প্রথম ম্যাচে খেলবে তারা। যদিও মনে হচ্ছে, এটা একটি অসম লড়াই, কাগজে-কলমে ফ্রান্সই কিন্তু এগিয়ে। কিন্তু ভাগ্য যদি নাইজেরিয়াকে সহায়তা করে, তাহলে বিদায় নিতে হতে পারে ফরাসিদেরও। ম্যাচে এগিয়ে রাখব ফ্রান্সকেই। এজন্য তাদের গোলের সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এটা ফাইনাল ম্যাচ, এটা মনে রেখেই তাদের মাঠে নামতে হবে। কারণ গ্র“পপর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নাইজেরিয়া যেভাবে খেলায় ফিরে এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে তারা। নাইজেরিয়া অঘটন ঘটাতে পারে। নিজেদের দিনে অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে আফ্রিকান এই দলটি। তারপরও গ্র“পপর্বে খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ফ্রান্সেরই জয় হবে।
দিনের অপর ম্যাচে পারফরম্যান্সের তুঙ্গে থাকা জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে আফ্রিকার আরেক দেশ আলজেরিয়া। যারা বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারের মতো এবারই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। নিঃসন্দেহে জার্মানিই ফেভারিট। একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েই খেলবে তারা। আমার মনে হয়, স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই জিতবে জার্মানরা। তাদের ভাবনায় বিশ্ব রেকর্ডের কথা থাকবে। যেমন গেল বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতা থমাস মুলারকে এবারও তা জেতানো। মুলার যদি সত্যিই তা করে দেখাতে পারেন, তাহলে বিশ্বকাপে টানা দুবার গোল্ডেন বুট জেতার বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ১৫ গোল করে ব্রাজিলের রোনালদোর সঙ্গে সহাবস্থানে রয়েছেন মিরোস্লাভ ক্লোসে। আরেকটি গোল পেলেই বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। এ দুটি বিষয় মাথায় রেখে খেললেই জার্মানি জিতবে। জার্মানরা পেশাদার। কোনো বিভাগেই তাদের ঘাটতি নেই। তারা অনেক দূর যাবে। তবে প্রথমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে আসা আলজেরিয়াও মরণ কামড় দেবে।
শনিবার রাতে ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেল দেখলেন ফুটবলমোদীরা। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। কিন্তু ভালো খেলার পাশাপাশি ভাগ্যও তাদের সহায়তা করেছে। ম্যাচের শেষ মিনিটে চিলির শট ব্রাজিলের বারে লেগে ফিরে আসে। অপরটি নির্ধারিত সময়ে ও টাইব্রেকারে গোলকিপার জুলিও সিজার চিলির বেশ কয়েকটি শট ফিরিয়ে দেন। সিজারই ব্রাজিলের ত্রাতা। হাল্কের গোলটি একদিক দিয়ে দেখলে গোলই ছিল। কারণ তিনি তো আর ইচ্ছে করে হাত দিয়ে বল ধরেননি। অথচ রেফারি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গোলটি বাতিল করে দেন। চিলি সর্বাÍক চেষ্টা করেছে। শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তাদের ভাগ্য অনুকূলে না থাকায়। ব্রাজিলের চেয়ে চিলিকেই বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তাই ম্যাচটি ১২০ মিনিট পর্যন্ত গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদিও বড় দলেরই জয় হয়েছে। ব্রাজিলের খেলায় কখনোই মনে হয়নি, এবারের টুর্নামেন্টে তারা ভালো দল কিংবা শিরোপার দাবিদার। ভাগ্যই তাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে লুইস সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়ে অনেকটাই অসহায় ছিল। বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। সুয়ারেজ না থাকায় উরুগুয়ে স্নায়ুচাপে ভুগেছে। ভালো খেলেই জিতেছে কলম্বিয়া। সঙ্গে রদ্রিগেজের অসাধারণ গোলকিক তো ছিলই। কলম্বিয়া গ্র“পপর্বে ভালো খেলেছে, সেই ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও ছিল। রদ্রিগেজ ঠিক সময়ে জ্বলে উঠেছেন। অন্যদিকে সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়ে অনেকটাই নখদন্তহীন বাঘ ছিল।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2014/06/30/116992#sthash.AEN90Bq8.dpufব্রাজিল ও চিলির ম্যাচ দেখার পর হয়তো সেটাই ভাববে ফ্রান্স। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আজ নকআউটের প্রথম ম্যাচে খেলবে তারা। যদিও মনে হচ্ছে, এটা একটি অসম লড়াই, কাগজে-কলমে ফ্রান্সই কিন্তু এগিয়ে। কিন্তু ভাগ্য যদি নাইজেরিয়াকে সহায়তা করে, তাহলে বিদায় নিতে হতে পারে ফরাসিদেরও। ম্যাচে এগিয়ে রাখব ফ্রান্সকেই। এজন্য তাদের গোলের সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এটা ফাইনাল ম্যাচ, এটা মনে রেখেই তাদের মাঠে নামতে হবে। কারণ গ্র“পপর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নাইজেরিয়া যেভাবে খেলায় ফিরে এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে তারা। নাইজেরিয়া অঘটন ঘটাতে পারে। নিজেদের দিনে অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে আফ্রিকান এই দলটি। তারপরও গ্র“পপর্বে খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ফ্রান্সেরই জয় হবে।
দিনের অপর ম্যাচে পারফরম্যান্সের তুঙ্গে থাকা জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে আফ্রিকার আরেক দেশ আলজেরিয়া। যারা বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারের মতো এবারই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। নিঃসন্দেহে জার্মানিই ফেভারিট। একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েই খেলবে তারা। আমার মনে হয়, স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই জিতবে জার্মানরা। তাদের ভাবনায় বিশ্ব রেকর্ডের কথা থাকবে। যেমন গেল বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতা থমাস মুলারকে এবারও তা জেতানো। মুলার যদি সত্যিই তা করে দেখাতে পারেন, তাহলে বিশ্বকাপে টানা দুবার গোল্ডেন বুট জেতার বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ১৫ গোল করে ব্রাজিলের রোনালদোর সঙ্গে সহাবস্থানে রয়েছেন মিরোস্লাভ ক্লোসে। আরেকটি গোল পেলেই বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। এ দুটি বিষয় মাথায় রেখে খেললেই জার্মানি জিতবে। জার্মানরা পেশাদার। কোনো বিভাগেই তাদের ঘাটতি নেই। তারা অনেক দূর যাবে। তবে প্রথমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে আসা আলজেরিয়াও মরণ কামড় দেবে।
শনিবার রাতে ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেল দেখলেন ফুটবলমোদীরা। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। কিন্তু ভালো খেলার পাশাপাশি ভাগ্যও তাদের সহায়তা করেছে। ম্যাচের শেষ মিনিটে চিলির শট ব্রাজিলের বারে লেগে ফিরে আসে। অপরটি নির্ধারিত সময়ে ও টাইব্রেকারে গোলকিপার জুলিও সিজার চিলির বেশ কয়েকটি শট ফিরিয়ে দেন। সিজারই ব্রাজিলের ত্রাতা। হাল্কের গোলটি একদিক দিয়ে দেখলে গোলই ছিল। কারণ তিনি তো আর ইচ্ছে করে হাত দিয়ে বল ধরেননি। অথচ রেফারি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গোলটি বাতিল করে দেন। চিলি সর্বাÍক চেষ্টা করেছে। শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তাদের ভাগ্য অনুকূলে না থাকায়। ব্রাজিলের চেয়ে চিলিকেই বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তাই ম্যাচটি ১২০ মিনিট পর্যন্ত গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদিও বড় দলেরই জয় হয়েছে। ব্রাজিলের খেলায় কখনোই মনে হয়নি, এবারের টুর্নামেন্টে তারা ভালো দল কিংবা শিরোপার দাবিদার। ভাগ্যই তাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে লুইস সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়ে অনেকটাই অসহায় ছিল। বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। সুয়ারেজ না থাকায় উরুগুয়ে স্নায়ুচাপে ভুগেছে। ভালো খেলেই জিতেছে কলম্বিয়া। সঙ্গে রদ্রিগেজের অসাধারণ গোলকিক তো ছিলই। কলম্বিয়া গ্র“পপর্বে ভালো খেলেছে, সেই ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও ছিল। রদ্রিগেজ ঠিক সময়ে জ্বলে উঠেছেন। অন্যদিকে সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়ে অনেকটাই নখদন্তহীন বাঘ ছিল।
No comments:
Post a Comment