পুরুলিয়া হাসপাতালে ৩০ ঘণ্টায় ৮ শিশুর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ
এই সময়: পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে শিশু শবের সারি৷ ৩০ ঘণ্টায় অন্তত আটটি সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘটায় কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সা পরিকাঠামো৷ এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টাতেই ছ'টি এবং পরবর্তী ছ' ঘণ্টায় আর দুই নবজাতক মারা গিয়েছে দেবেন মাহাতো হাসপাতালে৷ প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত কম ওজন নিয়ে জন্মানো, অপুষ্টি এবং শ্বাসকষ্টকেই কারণ হিসেবে ঠাওরানো হলেও, বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা৷ এর মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু নিয়ে তার পরিবার সরাসরি চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তোলায় পুরুলিয়া থেকে বিতর্কের জল গড়িয়েছে কলকাতার স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত৷ রাজ্যে শিশুমৃত্যু রোধে গঠিত হাই লেভেল টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এটি ক্লাস্টার ডেথের ঘটনা৷ অর্থাত্, ঘটনাচক্রে সব ক'টি শিশুর মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শুক্রবারই ঘটেছে৷ তবে প্রতিটি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে৷'
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে শুক্রবার রাত ১১টার মধ্যে ছ'টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এর মধ্যে দু'জোড়া যমজ সন্তান, জন্মের সময় যাদের ওজন ছিল ১৩০০ গ্রামেরও কম৷ ফলে বহু চেষ্টাতেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি এই অপরিণত নবজাতকদের৷ বাকি দুই শিশু জন্মের সময় থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে জানিয়েছেন নীলাঞ্জনা দেবী৷ তিনি বলেন, 'শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও দুই রুগ্ণ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে৷ তারাও প্রবল অপুষ্টির শিকার ছিল৷' যদিও এদের মধ্যেই একটি শিশুর মৃত্যু ঘিরে উঠেছে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে দেখে বিনা বাক্যব্যয়ে এ বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গত বৃহস্পতিবার আড়শা গ্রামের সিদ্ধেশ্বর কুইরির আসন্নপ্রসবা স্ত্রী ভর্তি হয়েছিলেন দেবেন মাহাতো হাসপাতালে৷ সেই রাতেই তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন৷ শিশুটি রুগ্ণ থাকায় তাকে শুক্রবার সকালেই ভর্তি করা হয় সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয় ওই দিন৷ সিদ্ধেশ্বরবাবুর অভিযোগ, 'বাচ্চার শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পরও ডাক্তারবাবু গুরুত্ব দেননি৷ আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি৷'
শিশু মৃত্যুর লাইন এই প্রথম নয় পুরুলিয়ায়৷ গত বছর জুলাইয়েও একদিনে ন'টি শিশু মারা গিয়েছিল এই হাসপাতালেই৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'কম ওজনের অপুষ্ট শিশু জন্মানো উদ্বেগের বিষয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুমৃত্যুর মূল কারণ এটাই৷'
এই সময়: পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে শিশু শবের সারি৷ ৩০ ঘণ্টায় অন্তত আটটি সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘটায় কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সা পরিকাঠামো৷ এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টাতেই ছ'টি এবং পরবর্তী ছ' ঘণ্টায় আর দুই নবজাতক মারা গিয়েছে দেবেন মাহাতো হাসপাতালে৷ প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত কম ওজন নিয়ে জন্মানো, অপুষ্টি এবং শ্বাসকষ্টকেই কারণ হিসেবে ঠাওরানো হলেও, বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা৷ এর মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু নিয়ে তার পরিবার সরাসরি চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তোলায় পুরুলিয়া থেকে বিতর্কের জল গড়িয়েছে কলকাতার স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত৷ রাজ্যে শিশুমৃত্যু রোধে গঠিত হাই লেভেল টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এটি ক্লাস্টার ডেথের ঘটনা৷ অর্থাত্, ঘটনাচক্রে সব ক'টি শিশুর মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শুক্রবারই ঘটেছে৷ তবে প্রতিটি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে৷'
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে শুক্রবার রাত ১১টার মধ্যে ছ'টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এর মধ্যে দু'জোড়া যমজ সন্তান, জন্মের সময় যাদের ওজন ছিল ১৩০০ গ্রামেরও কম৷ ফলে বহু চেষ্টাতেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি এই অপরিণত নবজাতকদের৷ বাকি দুই শিশু জন্মের সময় থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে জানিয়েছেন নীলাঞ্জনা দেবী৷ তিনি বলেন, 'শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও দুই রুগ্ণ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে৷ তারাও প্রবল অপুষ্টির শিকার ছিল৷' যদিও এদের মধ্যেই একটি শিশুর মৃত্যু ঘিরে উঠেছে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে দেখে বিনা বাক্যব্যয়ে এ বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গত বৃহস্পতিবার আড়শা গ্রামের সিদ্ধেশ্বর কুইরির আসন্নপ্রসবা স্ত্রী ভর্তি হয়েছিলেন দেবেন মাহাতো হাসপাতালে৷ সেই রাতেই তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন৷ শিশুটি রুগ্ণ থাকায় তাকে শুক্রবার সকালেই ভর্তি করা হয় সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয় ওই দিন৷ সিদ্ধেশ্বরবাবুর অভিযোগ, 'বাচ্চার শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পরও ডাক্তারবাবু গুরুত্ব দেননি৷ আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি৷'
শিশু মৃত্যুর লাইন এই প্রথম নয় পুরুলিয়ায়৷ গত বছর জুলাইয়েও একদিনে ন'টি শিশু মারা গিয়েছিল এই হাসপাতালেই৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'কম ওজনের অপুষ্ট শিশু জন্মানো উদ্বেগের বিষয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুমৃত্যুর মূল কারণ এটাই৷'
No comments:
Post a Comment