আইনস্টাইনের তত্ত্ব ভুল!
যার খ্যাতি যত বেশি, তার সমালোচনাও তত বেশি। সমালোচকরা সব সময়ই খ্যাতিমানের ভুল ধরার চেষ্টায় মত্ত থাকেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। তিনি আপেক্ষিক তত্ত্বের জন্য খ্যাতি অর্জন করলেও পদার্থবিজ্ঞানের আরও অনেক তত্ত্ব দিয়েছিলেন। আর সেই তত্ত্বগুলোর মধ্যে ভুল খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক বিজ্ঞানীই। এই তো সম্প্রতি এক বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আলোর গতিবেগ সম্পর্কে দেয়া তত্ত্বের ভুল খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। তাঁর দাবি আইনস্টাইনের দেয়া আলোর গতিবেগের তত্ত্বের মাঝে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। আর সেটি খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করেছিলেন ভ্যাকুয়ামের মধ্য দিয়ে আলো প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার ২৮২ মাইল অর্থাৎ দুই লাখ ৯২ হাজার ৭৯২ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। এই তত্ত্ব ভুল বলে দাবি করছেন বাল্টিমোরভিত্তিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ফ্রান্সন। তিনি গবেষণা করে দেখেছেন, সুপারনোভা (বৃহৎ আকারের নক্ষত্র) এসএন ১৯৮৭-এর কণিকাগুলো ধারণা করা সময়ের তুলনায় চার দশমিক সাত ঘণ্টা পরে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, ধ্বংস হওয়া ওই নক্ষত্রটি ১৯৮৭ সালে পৃথিবী থেকে দেখা গিয়েছিল। দেরিতে পৌঁছার কারণ হিসেবে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভ্যাকুয়াম সমবর্তনের ফলে পরিভ্রমণের সময় আলোর গতিবেগ খানিকটা ধীর হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ফ্রান্সন দাবি করেন, ফোটনের গতিবেগের ওপর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে এমনটা ঘটতে পারে। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ফোটনের এক লাখ ৬৮ হাজার আলোকবর্ষ পর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরি হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রান্সন গবেষণা করে যে তত্ত্ব ’দ্য নিউ জার্নাল অব ফিজিক্সে’ তুলে ধরেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত অন্যান্য গ্যালাক্সিতে অবস্থিত নক্ষত্রের ক্ষেত্রে সব বিষয় নতুন করে আবার গণনা করতে হবে। আর ভুল প্রমাণিত হবে আইনস্টাইনের আলোর গতিবেগ সংক্রান্ত প্রদত্ত তত্ত্ব। বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন আছে। এখনও স্বতঃসিদ্ধ সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। তাই ফ্রান্সনের গবেষণার ফলাফল সঠিক, না আইনস্টাইনের প্রদত্ত তত্ত্ব সঠিক তার জন্য আমাদের আরও কিছু কাল অপেক্ষা করতে হবে। ডেইলি মেল অবলম্বনে লিখেছেন মোঃ আরিফুর রহমান।
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করেছিলেন ভ্যাকুয়ামের মধ্য দিয়ে আলো প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার ২৮২ মাইল অর্থাৎ দুই লাখ ৯২ হাজার ৭৯২ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। এই তত্ত্ব ভুল বলে দাবি করছেন বাল্টিমোরভিত্তিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ফ্রান্সন। তিনি গবেষণা করে দেখেছেন, সুপারনোভা (বৃহৎ আকারের নক্ষত্র) এসএন ১৯৮৭-এর কণিকাগুলো ধারণা করা সময়ের তুলনায় চার দশমিক সাত ঘণ্টা পরে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, ধ্বংস হওয়া ওই নক্ষত্রটি ১৯৮৭ সালে পৃথিবী থেকে দেখা গিয়েছিল। দেরিতে পৌঁছার কারণ হিসেবে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভ্যাকুয়াম সমবর্তনের ফলে পরিভ্রমণের সময় আলোর গতিবেগ খানিকটা ধীর হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ফ্রান্সন দাবি করেন, ফোটনের গতিবেগের ওপর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে এমনটা ঘটতে পারে। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ফোটনের এক লাখ ৬৮ হাজার আলোকবর্ষ পর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরি হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রান্সন গবেষণা করে যে তত্ত্ব ’দ্য নিউ জার্নাল অব ফিজিক্সে’ তুলে ধরেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত অন্যান্য গ্যালাক্সিতে অবস্থিত নক্ষত্রের ক্ষেত্রে সব বিষয় নতুন করে আবার গণনা করতে হবে। আর ভুল প্রমাণিত হবে আইনস্টাইনের আলোর গতিবেগ সংক্রান্ত প্রদত্ত তত্ত্ব। বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন আছে। এখনও স্বতঃসিদ্ধ সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। তাই ফ্রান্সনের গবেষণার ফলাফল সঠিক, না আইনস্টাইনের প্রদত্ত তত্ত্ব সঠিক তার জন্য আমাদের আরও কিছু কাল অপেক্ষা করতে হবে। ডেইলি মেল অবলম্বনে লিখেছেন মোঃ আরিফুর রহমান।
No comments:
Post a Comment