জমি-বাড়ির ই-অকশন শুরু করল স্টেট ব্যাঙ্ক
কৌশিক প্রধান
তিলজলা এলাকায় পুরোনো ফ্ল্যাট কিনতে চান মিরাজুল হুদা৷ কিন্ত্ত ওই এলাকায় প্রতি স্ক্যোয়ার ফুট ২৫০০ টাকা দরের নীচে পুরোনো ফ্ল্যাট নেই৷ স্টেট ব্যাঙ্ক পুরোনো ফ্ল্যাট ই-অকশানিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি করছে জানতে পেরে শনিবার রাসেল স্ট্রিটে ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন মিরাজুল৷ শুধু তিনি নন, তাঁর মতো হাজির হয়েছিলেন অনেকেই৷ প্রত্যেকেরই কৌতূহল দাম নিয়ে৷ অকশন প্রক্রিয়ায় বিক্রি যখন, তখন বাজার দরের থেকে সম্পত্তির দাম বেশি এবং কম দুটোই হতে পারে৷ তবে মিরাজুলের কথায়, 'তিলজলায় ফ্ল্যাটের রিজার্ভ প্রাইস যা দেখছি, তাতে প্রতি স্ক্যোয়ার ফুট ২০০০ টাকার মতো পড়ছে৷ আমার মনে হয়, অকশনের পরেও দাম বাজারদরের থেকে কমই হবে৷' তাঁরই মতো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী তাপস চক্রবর্তী টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী এলাকায় ফ্ল্যাটের খোঁজ করছেন৷ ফ্ল্যাটের সন্ধান পেলেন? তাপসবাবুর উত্তর, 'একটুর জন্য মিস হয়ে গেল৷ একটা ছিল, কিন্ত্ত আজ বিক্রি হয়ে গেছে৷'
এরা প্রত্যেকেই শনিবার হাজির হয়েছিলেন স্টেট ব্যাঙ্কের ই-অকশনে৷ সাধারণ মানুষের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কলকাতায় শুরু করল 'ঘর বাজার'৷ ই-অকশনিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্কের থেকে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনার এই সুযোগ সারা দেশে শনিবার শুরু হল কলকাতা থেকেই৷ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা তা পরিশোধ করেন না, তাঁদের সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণের পর তা পুনরায় বিক্রির জন্যই এই ই-অকশনিং৷ ই-অকশনিংয়ে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে হোম লোন বা মর্টগেজ লোনও পাওয়া যাবে৷ আগে আদালতের মাধ্যমে এই ধরনের সম্পত্তির নিলাম করা হত৷ কিন্ত্ত, সে ভাবে প্রচার না থাকায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কাছেই সেই নিলামের খবর পেঁৗছত না৷ ফলে জমি-বাড়ির কারবারিরাই নিলামে যোগ দিয়ে তা কিনে নিতেন৷
সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সুযোগ করে দিতে ই-অকশনিংয়ের এক মাসে আগে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্পত্তির চরিত্র ও অবস্থান এবং রিজার্ভ প্রাইস জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কের তরফে৷ নিলামের দু'দিন আগে রিজার্ভ প্রাইসের ১০ শতাংশ অগ্রিম হিসাবে জমা দিলে মিলবে ই-অকশনিংয়ের আইডি এবং পাসওয়ার্ড৷ ই-অকশনিংয়ের দিন নির্দিষ্ট সময়ে যে কোনও জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণ করা যাবে৷ কেনার সাত দিনের মাথায় দামের ২৫ শতাংশ এবং এক মাসের মধ্যে পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে৷
স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল শ্রীবাস্তবের কথায়, 'এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার মাধ্যমে যে কেউ সম্পত্তি কিনতে পারবেন৷ পাশাপাশি, এর ফলে হোম লোন খাতে আমাদের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণও কমবে৷ বেঙ্গল সার্কেলে হোম লোনের ক্ষেত্রে আমাদের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে প্রথম দিনের ই-অকশনিংয়েই আমরা এক কোটি এক লক্ষ টাকা অনাদায়ী ঋণ কমিয়ে ফেলতে পেরেছি৷' প্রত্যেক মাসের শেষ শনিবার ই-অকশনিং হবে বলে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই, ই-অকশনিংয়ের মাধ্যমে পুরোনো গাড়ি বিক্রির জন্য একই রকম ভাবে 'গাড়ি বাজার' চালু করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক৷
তিলজলা এলাকায় পুরোনো ফ্ল্যাট কিনতে চান মিরাজুল হুদা৷ কিন্ত্ত ওই এলাকায় প্রতি স্ক্যোয়ার ফুট ২৫০০ টাকা দরের নীচে পুরোনো ফ্ল্যাট নেই৷ স্টেট ব্যাঙ্ক পুরোনো ফ্ল্যাট ই-অকশানিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি করছে জানতে পেরে শনিবার রাসেল স্ট্রিটে ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন মিরাজুল৷ শুধু তিনি নন, তাঁর মতো হাজির হয়েছিলেন অনেকেই৷ প্রত্যেকেরই কৌতূহল দাম নিয়ে৷ অকশন প্রক্রিয়ায় বিক্রি যখন, তখন বাজার দরের থেকে সম্পত্তির দাম বেশি এবং কম দুটোই হতে পারে৷ তবে মিরাজুলের কথায়, 'তিলজলায় ফ্ল্যাটের রিজার্ভ প্রাইস যা দেখছি, তাতে প্রতি স্ক্যোয়ার ফুট ২০০০ টাকার মতো পড়ছে৷ আমার মনে হয়, অকশনের পরেও দাম বাজারদরের থেকে কমই হবে৷' তাঁরই মতো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী তাপস চক্রবর্তী টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী এলাকায় ফ্ল্যাটের খোঁজ করছেন৷ ফ্ল্যাটের সন্ধান পেলেন? তাপসবাবুর উত্তর, 'একটুর জন্য মিস হয়ে গেল৷ একটা ছিল, কিন্ত্ত আজ বিক্রি হয়ে গেছে৷'
এরা প্রত্যেকেই শনিবার হাজির হয়েছিলেন স্টেট ব্যাঙ্কের ই-অকশনে৷ সাধারণ মানুষের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কলকাতায় শুরু করল 'ঘর বাজার'৷ ই-অকশনিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্কের থেকে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনার এই সুযোগ সারা দেশে শনিবার শুরু হল কলকাতা থেকেই৷ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা তা পরিশোধ করেন না, তাঁদের সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণের পর তা পুনরায় বিক্রির জন্যই এই ই-অকশনিং৷ ই-অকশনিংয়ে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে হোম লোন বা মর্টগেজ লোনও পাওয়া যাবে৷ আগে আদালতের মাধ্যমে এই ধরনের সম্পত্তির নিলাম করা হত৷ কিন্ত্ত, সে ভাবে প্রচার না থাকায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কাছেই সেই নিলামের খবর পেঁৗছত না৷ ফলে জমি-বাড়ির কারবারিরাই নিলামে যোগ দিয়ে তা কিনে নিতেন৷
সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সুযোগ করে দিতে ই-অকশনিংয়ের এক মাসে আগে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্পত্তির চরিত্র ও অবস্থান এবং রিজার্ভ প্রাইস জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কের তরফে৷ নিলামের দু'দিন আগে রিজার্ভ প্রাইসের ১০ শতাংশ অগ্রিম হিসাবে জমা দিলে মিলবে ই-অকশনিংয়ের আইডি এবং পাসওয়ার্ড৷ ই-অকশনিংয়ের দিন নির্দিষ্ট সময়ে যে কোনও জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণ করা যাবে৷ কেনার সাত দিনের মাথায় দামের ২৫ শতাংশ এবং এক মাসের মধ্যে পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে৷
স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল শ্রীবাস্তবের কথায়, 'এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার মাধ্যমে যে কেউ সম্পত্তি কিনতে পারবেন৷ পাশাপাশি, এর ফলে হোম লোন খাতে আমাদের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণও কমবে৷ বেঙ্গল সার্কেলে হোম লোনের ক্ষেত্রে আমাদের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে প্রথম দিনের ই-অকশনিংয়েই আমরা এক কোটি এক লক্ষ টাকা অনাদায়ী ঋণ কমিয়ে ফেলতে পেরেছি৷' প্রত্যেক মাসের শেষ শনিবার ই-অকশনিং হবে বলে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই, ই-অকশনিংয়ের মাধ্যমে পুরোনো গাড়ি বিক্রির জন্য একই রকম ভাবে 'গাড়ি বাজার' চালু করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/----/articleshow/37479329.cms
No comments:
Post a Comment