Friday, June 27, 2014

সুইস ব্যাংকে কার কার টাকা আছে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে

সুইস ব্যাংকে কার কার টাকা আছে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না এসে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন বিদেশী প্রভুদের পা ধরে কান্নাকাটি করছেন। দেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তিনি গুম-খুন বন্ধ করে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে কান্নাকাটি করে দেশের বদনাম বন্ধ করার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) নিজে খুনী, তাঁর স্বামী খুনী, ছেলে খুনী- পুরো পরিবারই খুনী।
শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত সকল অর্থ ফেরত আনার ঘোষণা দিয়ে বলেন, সুইস ব্যাংকে কার কার টাকা আছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। কার কার টাকা আছে তালিকা আনব। টাকাও ফেরত আনব। তিনি বলেন, শুধু সুইস ব্যাংক কেন, বিশ্বের যেখানেই অর্থ পাচার করা হয়েছে সব তথ্যই আমরা যোগাড় করার চেষ্টা করছি। উনার ছেলের পাচারকৃত অর্থ আমরা ফেরত এনেছি। সুইস ব্যাংকেও আছে কিনা জানার চেষ্টা করছি। এখানে উনারও (খালেদা জিয়া) টাকা আছে, উনিও ধরা খাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। যেমন উনার ছেলে ধরা খেয়েছে। সব পাচারকৃত অর্থ আমরা ফেরত আনব ইনশাল্লাহ।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হলেও মানুষের ঢলে আলোচনাসভাটি রীতিমত বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। দুপুরের পর থেকেই ঢাকা মহানগরের শতাধিক ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন থেকে শত শত মিছিল আসতে থাকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোয়া চারটায় জনসভাসস্থলে আসার আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় ভরে উঠে। বৈরী আবহাওয়ায় মানুষের স্রোত ছিল লক্ষ্যণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সাহরা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, এম এ আজিজ ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাসভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও বিদেশী প্রভুদের পা ধরে না। এদেশের মানুষের ওপর ভরসা করে আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারা সরকারের কর্মকা- নিয়ে আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছে তাদের বুকের ব্যথা বুঝি। রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসেননি, নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি তারা দেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে বিদেশী প্রভুদের পা ধরে কান্নাকাটি করছেন। গুম-খুন বন্ধ করে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে কান্নাকাটি করে দেশের বদনাম করা বন্ধ করার জন্য তিনি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে খুনী, তাঁর স্বামী খুনী, ছেলে খুনী- পুরো পরিবার খুনী। খুন করাই তাঁর অভ্যাস ও পরদর্শী। বাংলাদেশের মানুষ তা জানে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে নির্বিচারে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস কার নির্দেশে হয়েছে? খালেদা জিয়ার নির্দেশেই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা তো চেষ্টা করেছি। আলাপ-আলোচনা টেলিফোন সবই করেছি। টেলিফোন ধরতেই কয়েক ঘণ্টা লাগে। টেলিফোনে তাঁর (খালেদা জিয়া) কথা ও ঝাড়িমারা দেশবাসী শুনেছে। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সুরক্ষায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় একাত্তরের কায়দায় বিএনপি-জামায়াত যেভাবে মানুষ হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক একই কায়দায় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলনের নামে তারা মানুষ হত্যা, নির্যাতন করেছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিতদের দোসর হিসেবে খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করতে কাজ করেছেন। একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে বানাতে চেয়েছিলেন। এর কারণ তিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। তার মনে পেয়ারে পাকিস্তান। স্বাধীন বাংলাদেশকে মানতে পারেননি বলেই দেশকে তিনি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
জিয়া হত্যাকাণ্ডে তাঁকে জড়িয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন পর উনি (খালেদা জিয়া) আবিষ্কার করলেন তাঁর স্বামী হত্যার সঙ্গে নাকি আমরা জড়িত! খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনি জিয়া হত্যার পর কী করেছিলেন? জিয়া হত্যার পর একটি বাক্স আনা হলো। সেই বাক্সে কী ছিল? সেই বাক্সে লাশ আছে কিনা সেটাও আপনি দেখলেন না কেন? তার ছেলের বয়স তো তখন ১৪-১৫ হবে। ছেলেও কেন তার মৃত বাবার মুখ দেখতে চাইল না? এর পেছনে রহস্যটা কী?
তিনি বলেন, জিয়া হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর খালেদা জিয়া ’৯০ সালে গুলিস্তানের একটি সমাবেশ থেকে দাবি করলেন তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নাকি জেনারেল এরশাদ! এতদিন পর তার এটি মনে হলো? স্বামীর খুনীর কাছ থেকে দুটি আলিশান বাড়ি, গাড়ি, সুযোগ-সুবিধা সবই নিয়েছেন খালেদা জিয়া। এরশাদ সাহেবও ভাবির যত-আত্তি করতে এতটুকুও কার্পণ্য করেননি। এর পেছনের রহস্যটা কী? তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর একমাত্র আমিই প্রথম বিবৃতি দিয়ে সাংবিদানিক ক্ষমতা যাতে ব্যাহত না করা হয় সেই আহ্বান করেছিলাম। অন্য কেউ মুখ খোলারও সাহস পায়নি। এর পর দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করে সবরকম চেষ্টা করেছি যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত না হয়, সামরিক শাসন জারি করা না হয়। তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জেনারেল এরশাদও ক্ষমতা গ্রহণ করে। খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন- আপনি মদদ না দিলে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা নেয়ার সাহস পেল কোথায় থেকে?
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেনারেল জিয়াও জড়িত ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বন্দুকের নল ধরে ক্ষমতা দখল করেছিল জেনারেল জিয়া। তার যে নালে আগমন ঘটেছিল সেই নালেই গমন হয়েছে। এই জেনারেল জিয়া নির্বাচিত নন ঘোষিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণাকারী খুনী মোশতাক সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াকেই বেছে নিয়েছিলেন। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার দোসর কে ছিল এতেই পরিষ্কার হয়। বঙ্গবন্ধুই এই জিয়াকে তাঁর পরিবার রক্ষার স্বার্থে উপ-সেনা প্রধান করে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনেছিলেন। অথচ মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জিয়াও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গাদ্দারি করে। আর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল ফারুকও বিবিসিতে সাক্ষাতকার দিয়ে জিয়া যে জড়িত ছিল তা স্বীকার করেছে। ফারুক বলেছে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার আগে জেনারেল জিয়ার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে, জিয়া তাদের সফলতা কামনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই জিয়াই খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। এর অর্থ কী দাঁড়ায়?
তিনি বলেন, বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে ১৮-১৯টি ক্যু হয়। আর প্রতিটি ক্যুর পর জেনারেল জিয়া হাজার হাজার সেনা অফিসার ও সৈনিককে নির্বিচারে হত্যা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ যাতে স্বাধীনতার সুফল পেতে না পারে সেজন্য জিয়া একে একে সকল প্রতিষ্ঠানকে ও চেতনাকে ধ্বংস করেছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ও ভাঙ্গতে জেনারেল জিয়াও অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। আওয়ামী লীগ হীরের টুকরোর মতো। যতই কাটবে ততই উজ্জ্বল আলোকরশ্মি বের হবে, বাঙালীর জাতি উদ্ভাসিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাঙালী জাতি দ্বারা গঠিত সংগঠন। সেই সংগঠনকে বার আঘাত করেও কেউ দমাতে পারেনি। শত ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, জনগণের জন্য কাজ করেছে।
অসংখ্যবার তাঁকে হত্যার করতে পরিচালিত বিভিন্ন হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে হত্যা করতে বার বার হামলা চালানো হয়েছে। চট্টগ্রামে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য পরিচালিত হামলায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া সেই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত পুলিশ অফিসার হুদাকে পদোন্নতি দিয়েছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন খালেদা জিয়া। উনি অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিনসহ শত শত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন। আসলে খালেদা জিয়ার হত্যা করাই অভ্যাস, খুন করতেই উনি পারদর্শী। তার পুরো পরিবারই খুনী। তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে খালেদা জিয়া একাত্তরের কায়দায় দেশের মানুষকে নির্যাতন করেছেন, নির্মম-নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছেন।
ওয়ান ইলেভেনের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তাঁর দুঃশাসন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বিদেশে অর্থ পাচার, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাই সৃষ্টি, ৫শ’ স্থানে বোমা হামলা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা- এ সব কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। সেনা সমর্থিত সেই সরকারের দুই বছরে দেশের সকল মানুষকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেননি বলেই দেশের মানুষকে হত্যা করতে, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণ করতে তার দ্বিধাদ্বন্দ্ব হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কিছু পায়। আর যারা ক্ষমতা দখলকারী, উড়ে এসে জুড়ে বসে- তারা ক্ষমতায় আসলে শুধু নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে। জিয়া হত্যার পর রেখে যাওয়া ভাঙ্গা-স্যুটকেস ছেঁড়াগেঞ্জি যাদুর বাক্স হয়ে গিয়েছিল। সেই যাদুর বাক্স থেকে শুধু সম্পদ বের হয়, জিয়া পরিবার অসংখ্য ব্যাংক-প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছে, বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। বিএনপি নেত্রী ২-৩ লাখ টাকার দামি শিফন শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ান। এতো অর্থ তিনি কোথায় পেলেন? দুর্নীতি করেই তারা এত সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণকে দেয় আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগণের অর্থ-সম্পদ লুটে নিয়ে যায়।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু করছি। আমরা কারোর কাছে মাথানত করব না ইনশাল্লাহ। কয়েকদিনের মধ্যেই এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি আজ খুবই শক্তিশালী। রিজার্ভ আজ ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বিশ্বের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ইনশাল্লাহ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলব।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে যে নূর হোসেন আন্দোলন করেছিল ছিল সেই নূর হোসেনকে যারা হত্যা করেছিল, দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল সেসব ব্যক্তিরাই গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment