আমি ভারতের মুম্বাইতে থাকি। ৭
বছর আগে, ২০০২ ‘র মার্চে,
গুজরাটে মুসলিম
বিরোধী দাঙ্গায় আমার
বাবাকে অযৌক্তিকভাবে সন্ত্রাসের
অভিযোগে অভিযুক্ত করে আটক
করা হয়। পরে পুলিশ আমার
বাবাকে জেল থেকে এই
শর্তে ছেড়ে দিতে রাজি হয় যে,
আমার মা এবং বড় বোনকে কিছু
পলিটিশিয়ান ও
সরকারি কর্মকর্তাদের
সাথে সেক্স করতে দিতে হবে।
সেই সময় আমার বয়স মাত্র ১৪ ছিল
কিন্তু সেই দিনের
কথা আমি ভুলতে পারি না,
যেদিন পাঁচজন হিন্দু
মধ্যরাতে এসে আমার
মা এবং বোনকে জোর করে ...।
আমি কি করব কিছুই
বুঝতে পারছিলাম না। আমার
মা এবং আপার
চাপা কান্না শুনে,
আমি সন্তর্পণে সেই ঘরে ঢুকলাম।
আমি যা দেখলাম তা আমার
আজো মনে হয় যে সেটা গতকাল
ঘটেছে। পাঁচজন এসে তাদের ধর্ষণ
করে তিনঘন্টা আগেই
পালিয়ে গেছে।
সেখানেই সব শেষ হয় নি। ১৫ দিন
যাবৎ এইরকম ঘটতে লাগল।
প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ আসত। শেষ
পর্যন্ত তারা আমার
বাবাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই
ছেড়ে দিল। কিন্তু
ঘটানা এখানেই শেষ হল না, পুলিশ
যে আমার পরিবারের উপর যৌন
নির্যাতন
চালিয়েছে সেটা আমাদের
হিন্দু
প্রতিবেশীরা জেনে গেছে।
তারা আমার মা ও
আপাকে হয়রানি করা শুরু করল।
পুলিশ যা করেছে তা আমার
বাবা জানতো না, তাই আমার
মাও বাবাকে কিছু বলতে পারত
না, এবং পুলিশ যে সেই হিন্দু
প্রতিবেশীদের সাহায্য
করছে সেই ভয় তো আছেই।
আমার মা ৩৫ বছরের ছিল আর আমার
বোন ছিল ১৭ বছরের। তাদের এত কম
বয়স আর দুনিয়ার জ্ঞানের
অভাবেই তারা কাফিরদের
শয়তানি ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল।
২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত
আমি ছিলাম আমার ঘরে চলা এই
অনাচারের নিরব সাক্ষী।
আমি আমার বাবাকে এই হিন্দু
সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল থেকে মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ
লোকালয়ে যাওয়ার জন্য বললাম।
এই দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার জন্যই
তা বলেছিলাম। আমার
বাবা তখনও
জানতো না যে পিছনে কি সব
ঘটে গিয়েছে, আর
আমি বলতে পারছিলাম
না যে এতদিন কি ঘটেছে।
আল্লাহ আমাকে সঠিক
পথে পরিচালিত করুক।”
বসনিয়া চেচনিয়া, কাশ্মীর
এবং অন্যান্য জায়গায় এইরকম
অসংখ্যা কাহিনী আছে...
(ইমাম আনোয়ার আল আওলাকির র. এর ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে ভাষান্তর)
No comments:
Post a Comment