জল থইথই মালদহে ডুবে মৃত্যু শিশু-নারীর
মালদহ: বর্ষার প্রথম ভারি বৃষ্টিতেই ইংরেজবাজার পুরসভার বেহাল নিকাশিব্যবস্থার জেরে ডুবল মালদহ শহর৷ আর সেই জমা জলে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশু ও এক মহিলার৷ জল-যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা অবরোধ করলেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ অবরোধ তুলতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন পুরপ্রধান তথা রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী৷
শুক্রবার মাঝরাত থেকে শুরু হওয়া লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মালদহ শহরের জনজীবন৷ জলে থই থই করতে থাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চত্বর৷ সেখানে নতুন ভবন তৈরির জন্য যে নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করা হয়েছে তাতে আটকে যায় নিকাশি নালা৷ ফলে কলেজ চত্বরে হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়৷ মেল ওয়ার্ড, ফিমেল ওয়ার্ড, ওটি জলে ভাসতে থাকে৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন ঝাঁটা হাতে জল সরাতে ব্যস্ত, সেই সময় খবর পাওয়া যায় মেডিক্যাল কলেজের বাইরের পাঁচিল ঘেঁষে তিন নম্বর গভমেন্ট কলোনির রাস্তায় জমা জলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার দেহ৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, রাস্তায় যেতে এক বাসিন্দা দেখতে পান জলের উপর একটি ছাতা ভাসছে৷ ছাতা ধরে টানতেই জলে ভেসে ওঠে মহিলার হাত৷ উদ্ধার হয় দেহ৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে জমা জলের নীচে নালার মুখে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন৷ আর উঠতে পারেননি৷
এ দিকে, মেডিক্যাল কলেজেরই আরেক পাশে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হরিজন বস্তিতে জমা জল থেকে উদ্ধার করা হয় এক শিশুর দেহ৷ নিশা সিং নামে আট মাস বয়সী ওই শিশুর বাবা গোপাল সিং জানান, রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গেই বিছানায় শুয়েছিল ছোট্ট নিশা৷ প্রবল বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকে যায়৷ শিশুটি কখন চৌকি থেকে গড়িয়ে জলে পড়ে গিয়েছে তাঁরা টের পাননি৷ যখন খেয়াল হয়েছে তখন সব শেষ৷ দু'টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ পুরপ্রধান তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী অবশ্য জমা জলে মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি৷ তাঁর দাবি, 'জলে পড়ে কারও মৃত্যু হয়নি৷ বাজ পড়ে হয়ে থাকতে পারে৷'
কিন্ত্ত ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিতেই যে ভাবে বানভাসি হয়েছে শহরের মালঞ্চপল্লি, কৃষ্ণপল্লি, রবীন্দ্রভবন, ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি, রামকৃষ্ণপল্লি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা, তাতে ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা৷ বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল আটটা থেকেই রবীন্দ্র ভবনের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা৷ মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতী গিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে৷
শুক্রবার মাঝরাত থেকে শুরু হওয়া লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মালদহ শহরের জনজীবন৷ জলে থই থই করতে থাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চত্বর৷ সেখানে নতুন ভবন তৈরির জন্য যে নির্মাণ সামগ্রী স্তূপ করা হয়েছে তাতে আটকে যায় নিকাশি নালা৷ ফলে কলেজ চত্বরে হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়৷ মেল ওয়ার্ড, ফিমেল ওয়ার্ড, ওটি জলে ভাসতে থাকে৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন ঝাঁটা হাতে জল সরাতে ব্যস্ত, সেই সময় খবর পাওয়া যায় মেডিক্যাল কলেজের বাইরের পাঁচিল ঘেঁষে তিন নম্বর গভমেন্ট কলোনির রাস্তায় জমা জলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার দেহ৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, রাস্তায় যেতে এক বাসিন্দা দেখতে পান জলের উপর একটি ছাতা ভাসছে৷ ছাতা ধরে টানতেই জলে ভেসে ওঠে মহিলার হাত৷ উদ্ধার হয় দেহ৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে জমা জলের নীচে নালার মুখে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন৷ আর উঠতে পারেননি৷
এ দিকে, মেডিক্যাল কলেজেরই আরেক পাশে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হরিজন বস্তিতে জমা জল থেকে উদ্ধার করা হয় এক শিশুর দেহ৷ নিশা সিং নামে আট মাস বয়সী ওই শিশুর বাবা গোপাল সিং জানান, রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গেই বিছানায় শুয়েছিল ছোট্ট নিশা৷ প্রবল বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকে যায়৷ শিশুটি কখন চৌকি থেকে গড়িয়ে জলে পড়ে গিয়েছে তাঁরা টের পাননি৷ যখন খেয়াল হয়েছে তখন সব শেষ৷ দু'টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ পুরপ্রধান তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী অবশ্য জমা জলে মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি৷ তাঁর দাবি, 'জলে পড়ে কারও মৃত্যু হয়নি৷ বাজ পড়ে হয়ে থাকতে পারে৷'
কিন্ত্ত ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিতেই যে ভাবে বানভাসি হয়েছে শহরের মালঞ্চপল্লি, কৃষ্ণপল্লি, রবীন্দ্রভবন, ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি, রামকৃষ্ণপল্লি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা, তাতে ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা৷ বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল আটটা থেকেই রবীন্দ্র ভবনের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা৷ মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতী গিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে৷
No comments:
Post a Comment