তাপস পালের দাদাগিরি
এই সময়: গব্বর সিংও এমন হুমকি দেননি, যা দিলেন সাংসদ তাপস পাল৷ অশালীন মন্তব্যে তিনি এক ঝটকায় পিছনে ফেলে দিলেন অনিল বসু, বিনয় কোঙার, আনিসুর রহমানদের৷ এমনকি অনুব্রত-মনিরুলদেরও তিনি অনায়াসে বলতে পারেন, 'গালিগালাজে আপনারা ভাই নিতান্তই শিশু৷'
'আমি অনেক মস্তানি করেছি' দিয়ে শুরু, চরমে পৌঁছে তাঁর উক্তি, 'বাড়ি বাড়ি ঢুকে ছেলে পাঠিয়ে রেপ করে দেব৷' গুষ্টি শেষ করে দেব বা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব গোছের হুঙ্কারও শোনা গেল তাপসের মুখে৷ বিশ্বকাপের বাজারেও গোটা দেশে আলোচ্য বিষয়, তাপসের এই সব হাড়হিম করা সুভাষিত৷ বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি তাপসকে শো-কজ করেছে তৃণমূল৷ তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি জানি না, উনি কী বলেছেন৷ যদি সত্যিই এসব বলে থাকেন, দল নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে৷'
তাপস এই মন্তব্য করেছিলেন নদিয়ার চৌমাহা গ্রামে৷ তাঁর হুমকির লক্ষ্য ছিল সিপিএম৷ রীতিমতো হাত-পা নেড়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রচুর মস্তানি করেছি৷ আমি পকেটে মাল নিয়ে ঘুরি৷ আমি নিজে রিভলভার দিয়ে গুলি করে চলে যাব৷ সিপিএমকে গুলি করে মারব৷'
এখানেই থেমে থাকেননি৷ সিনেমার সংলাপেও তিনি যা বলেননি, সেটাই বেরিয়ে এল তাঁর মুখ থেকে৷ বললেন, 'আমার মা, বোন, বাবা, বাচ্চা কারও গায়ে যদি হাত পড়ে, আমি ছেড়ে কথা বলব না৷ বাড়ি বাড়ি ঢুকে ছেলে পাঠিয়ে রেপ করে দেব৷ তৃণমূলের কারও গায়ে যদি কোনও সিপিএম হাত দেয়,তাদের গুষ্টি শেষ করে দেব৷ বাড়ি, ঘর জ্বালিয়ে দেব৷'
সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাপসের এই বক্তব্য সম্প্রচারিত হতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়৷ কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন৷ আবার কেউ চেয়েছেন তাঁর ইস্তফা৷ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'তাপস পালের যা স্ট্যান্ডার্ড, তাতে ওঁর সম্পর্কে কথা বলতেই রুচিতে বাধে৷' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, 'দিদির শিক্ষায় তাঁর ভাইরা শিক্ষিত৷ তাই দিদির সুরেই তাঁরা কথা বলে৷ ওই সাংসদ যা বলেছেন, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই৷ এরা রাজ্যটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে কে জানে৷' বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার বক্তব্য, 'তৃণমূল আমলে এই রাজ্য ধর্ষণে চ্যম্পিয়ন হয়েছে৷ এই দলের নেতাদের পক্ষে এই ধরনের কথাই মানায়৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি ধর্ষিতাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে চুপ থাকতে বলেন, মহিলা আইপিএস অফিসার ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি তাঁকে বদলি হতে হয়, তা হলে আর কী হবে৷'
শাসক দল মহাসঙ্কটে পড়ে তাপসের বিবৃতির মধ্যে নিজেদের জড়াতে চায়নি৷ তড়িঘড়ি দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, 'ওই সব মন্তব্য অত্যন্ত অবিবেচনাসুলভ৷ কয়েক সপ্তাহ আগে দলীয় সাংসদের করা ওই মন্তব্য, যা টিভি চ্যানেলগুলি সম্প্রচার করছে, তা দল অনুমোদন করে না৷' তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় দলীয় সাংসদের মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি৷ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও একান্ত আলোচনায় তাপসের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন৷ যাঁর মন্তব্য নিয়ে এত কাণ্ড, সেই তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের দাবি, তিনি গত ১২ মে ভোটের দিন চোখের সামনে একটি বাচ্চাকে সিপিএমের হার্মাদদের হাতে মার খেতে দেখেছেন, এক জন সন্তানসম্ভবা মহিলার পেটে লাথি মারতে দেখেছেন৷ তাই উত্তেজনার বশে কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন৷ সাংসদের অভিযোগ, টিভি চ্যানেলগুলি তাঁর মন্তব্য সম্পাদিত (এডিট) এবং বিকৃত করে সম্প্রচারিত করছে৷ এটা পুরোনো ভিডিও৷ তিনি বলেন, 'আমি যা বলার, মুকুল রায়কে জানিয়েছি৷ আমার বিরুদ্ধে কুত্সা প্রচারের জন্যই এ সব করা হচ্ছে৷' তাপসবাবু ওই ঘটনা ১২ মে-র বলে দাবি করলেও নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, তিনি চলতি মাসেই নাকাশিপাড়ায় দলের এক সভায় ওই সব কথা বলেন৷ লোকসভা ভোটের দিন কৃষ্ণনগরের অদূরে এক বুথের সামনে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল তাপসের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷ যদিও তাপস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন৷
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে প্রবীণ সিপিএম নেতা কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন৷ সিপিএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসও মমতা সম্পর্কে অশালীন কথা বলেছিলেন৷ তিনি অবশ্য তার পরের দিনই তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন৷ ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে তখনকার সিপিএম সাংসদ অনিল বসু মমতাকে নিয়ে খুবই কুরুচিকর কথা বলে দলের অন্দরেই সমালোচিত হন৷ পরে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্ষমা চান৷ গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে সিপিএমের প্রবীণ বিধায়ক আনিসুর রহমানও মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বাজে কথা বলে ভত্র্সিত হন৷ তাঁকেও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে দুখঃপ্রকাশ করতে হয়েছিল৷
ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে তৃণমূল নেতারা তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে নানা কুকথা কথা বলতেন৷ ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরাও বামেদের পথই ধরেন৷ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীরা সিপিএমকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন৷ গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিরোধীদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন৷ বিরোধীদের হুমকি দিয়েছেন বীরভূমেরই তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম৷ তবে তাপস বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি সকলেই ঊর্ধ্বে৷
এই সময়: গব্বর সিংও এমন হুমকি দেননি, যা দিলেন সাংসদ তাপস পাল৷ অশালীন মন্তব্যে তিনি এক ঝটকায় পিছনে ফেলে দিলেন অনিল বসু, বিনয় কোঙার, আনিসুর রহমানদের৷ এমনকি অনুব্রত-মনিরুলদেরও তিনি অনায়াসে বলতে পারেন, 'গালিগালাজে আপনারা ভাই নিতান্তই শিশু৷'
'আমি অনেক মস্তানি করেছি' দিয়ে শুরু, চরমে পৌঁছে তাঁর উক্তি, 'বাড়ি বাড়ি ঢুকে ছেলে পাঠিয়ে রেপ করে দেব৷' গুষ্টি শেষ করে দেব বা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব গোছের হুঙ্কারও শোনা গেল তাপসের মুখে৷ বিশ্বকাপের বাজারেও গোটা দেশে আলোচ্য বিষয়, তাপসের এই সব হাড়হিম করা সুভাষিত৷ বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি তাপসকে শো-কজ করেছে তৃণমূল৷ তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি জানি না, উনি কী বলেছেন৷ যদি সত্যিই এসব বলে থাকেন, দল নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে৷'
তাপস এই মন্তব্য করেছিলেন নদিয়ার চৌমাহা গ্রামে৷ তাঁর হুমকির লক্ষ্য ছিল সিপিএম৷ রীতিমতো হাত-পা নেড়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রচুর মস্তানি করেছি৷ আমি পকেটে মাল নিয়ে ঘুরি৷ আমি নিজে রিভলভার দিয়ে গুলি করে চলে যাব৷ সিপিএমকে গুলি করে মারব৷'
এখানেই থেমে থাকেননি৷ সিনেমার সংলাপেও তিনি যা বলেননি, সেটাই বেরিয়ে এল তাঁর মুখ থেকে৷ বললেন, 'আমার মা, বোন, বাবা, বাচ্চা কারও গায়ে যদি হাত পড়ে, আমি ছেড়ে কথা বলব না৷ বাড়ি বাড়ি ঢুকে ছেলে পাঠিয়ে রেপ করে দেব৷ তৃণমূলের কারও গায়ে যদি কোনও সিপিএম হাত দেয়,তাদের গুষ্টি শেষ করে দেব৷ বাড়ি, ঘর জ্বালিয়ে দেব৷'
সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাপসের এই বক্তব্য সম্প্রচারিত হতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়৷ কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন৷ আবার কেউ চেয়েছেন তাঁর ইস্তফা৷ সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'তাপস পালের যা স্ট্যান্ডার্ড, তাতে ওঁর সম্পর্কে কথা বলতেই রুচিতে বাধে৷' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, 'দিদির শিক্ষায় তাঁর ভাইরা শিক্ষিত৷ তাই দিদির সুরেই তাঁরা কথা বলে৷ ওই সাংসদ যা বলেছেন, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই৷ এরা রাজ্যটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে কে জানে৷' বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার বক্তব্য, 'তৃণমূল আমলে এই রাজ্য ধর্ষণে চ্যম্পিয়ন হয়েছে৷ এই দলের নেতাদের পক্ষে এই ধরনের কথাই মানায়৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি ধর্ষিতাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে চুপ থাকতে বলেন, মহিলা আইপিএস অফিসার ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি তাঁকে বদলি হতে হয়, তা হলে আর কী হবে৷'
শাসক দল মহাসঙ্কটে পড়ে তাপসের বিবৃতির মধ্যে নিজেদের জড়াতে চায়নি৷ তড়িঘড়ি দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, 'ওই সব মন্তব্য অত্যন্ত অবিবেচনাসুলভ৷ কয়েক সপ্তাহ আগে দলীয় সাংসদের করা ওই মন্তব্য, যা টিভি চ্যানেলগুলি সম্প্রচার করছে, তা দল অনুমোদন করে না৷' তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় দলীয় সাংসদের মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি৷ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও একান্ত আলোচনায় তাপসের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন৷ যাঁর মন্তব্য নিয়ে এত কাণ্ড, সেই তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের দাবি, তিনি গত ১২ মে ভোটের দিন চোখের সামনে একটি বাচ্চাকে সিপিএমের হার্মাদদের হাতে মার খেতে দেখেছেন, এক জন সন্তানসম্ভবা মহিলার পেটে লাথি মারতে দেখেছেন৷ তাই উত্তেজনার বশে কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন৷ সাংসদের অভিযোগ, টিভি চ্যানেলগুলি তাঁর মন্তব্য সম্পাদিত (এডিট) এবং বিকৃত করে সম্প্রচারিত করছে৷ এটা পুরোনো ভিডিও৷ তিনি বলেন, 'আমি যা বলার, মুকুল রায়কে জানিয়েছি৷ আমার বিরুদ্ধে কুত্সা প্রচারের জন্যই এ সব করা হচ্ছে৷' তাপসবাবু ওই ঘটনা ১২ মে-র বলে দাবি করলেও নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, তিনি চলতি মাসেই নাকাশিপাড়ায় দলের এক সভায় ওই সব কথা বলেন৷ লোকসভা ভোটের দিন কৃষ্ণনগরের অদূরে এক বুথের সামনে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল তাপসের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷ যদিও তাপস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন৷
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে প্রবীণ সিপিএম নেতা কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন৷ সিপিএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসও মমতা সম্পর্কে অশালীন কথা বলেছিলেন৷ তিনি অবশ্য তার পরের দিনই তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন৷ ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে তখনকার সিপিএম সাংসদ অনিল বসু মমতাকে নিয়ে খুবই কুরুচিকর কথা বলে দলের অন্দরেই সমালোচিত হন৷ পরে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্ষমা চান৷ গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে সিপিএমের প্রবীণ বিধায়ক আনিসুর রহমানও মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বাজে কথা বলে ভত্র্সিত হন৷ তাঁকেও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে দুখঃপ্রকাশ করতে হয়েছিল৷
ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে তৃণমূল নেতারা তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে নানা কুকথা কথা বলতেন৷ ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরাও বামেদের পথই ধরেন৷ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীরা সিপিএমকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন৷ গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিরোধীদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন৷ বিরোধীদের হুমকি দিয়েছেন বীরভূমেরই তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম৷ তবে তাপস বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি সকলেই ঊর্ধ্বে৷
No comments:
Post a Comment