রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজ ‘সাধারণ’ ওবামার
মিনিয়াপোলিস: প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি লিখেছিলেন ৩৬ বছরের হিসেবরক্ষক রেবেকা আর্লার৷ ২০০৮ সালে আমেরিকায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, এখনও তার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি রেবেকার পরিবার৷ কী ভাবে দিন কাটে দুই সন্তানের জননী রেবেকার তা জানিয়েই চিঠি দেন খোদ প্রেসিডেন্টকে৷
এমন চিঠি দিনে গড়ে দশটা করে পেয়ে থাকেন ওবামা৷ কিন্ত্ত রেবেকার চিঠিকে অবজ্ঞা করতে পারেননি তিনি৷ রেবেকার কাছে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসের একটি সাধারণ মানের রেস্তোরাঁয় দেখা করার অনুরোধ যায় হোয়াইট হাউস থেকে৷
নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে না পারলেও নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই শহরের 'ম্যাটস বার' রেস্তোরাঁয় হাজির হন রেবেকা৷ তাঁকে অবাক করে দিয়েই কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হলেন ওভাল অফিসের কর্তা৷
না, রোজকার মতো থ্রি-পিস স্যুট নেই পরণে৷ টাই রয়েছে ঠিকই, তবে ব্লেজার খোলা৷ পুরোহাতা ফর্ম্যাল শার্টের হাত দু'টো কমুই পর্যন্ত গোটানো৷ ভালো করে না দেখলে একবারও মনে হবে না স্বয়ং এই ব্যক্তিই মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট৷ বদলে মনে হবে, রাস্তার উল্টো পারের কোনও অফিসে কর্মরত, চটজলদি লাঞ্চ সেরে নিতে এসেছেন ম্যাটস বার-এ৷ পরস্পরের প্রতি সৌজন্য বিনিময়ের পর খাবারের টেবিলে বসে একেবারেই সহজ ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গল্প শুরু করেন রেবেকার সঙ্গে৷ মৃদু আলোয় আলোকিত রেস্তোরাঁয় 'জুসি লুসি' নামে পরিচিত হ্যামবার্গার আর সঙ্গে চিজ দেওয়া প্যাটি অর্ডার দিয়ে ফের রেবেকার দৈনন্দিন জীবন ও খরচ নিয়ে আলোচনায় ফিরলেন প্রেসিডেন্ট৷ রেস্তোরাঁয় রেবেকা আসার আগে থেকেই যে ক'জন শক্তপোক্ত চেহারার পুরুষ ও সতর্ক চোখের মহিলা বসে ছিলেন, তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী হলেও তাঁদের হাবভাবে একবারও তেমন কিছু টের পাননি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রায় ভিখারি হয়ে যাওয়া রেবেকা৷
স্বামী ছিলেন একটা ছোটখাটো নির্মাণ সংস্থার মালিক৷ সেই সংস্থা উঠে গিয়েছে৷ দুই সন্তান এ বার স্কুলে ভর্তি হবে৷ তাদের ভালো করে পুষ্টিকর খাবার দিতে গিয়েই দিশেহারা অবস্থা গৃহকর্ত্রীর৷ প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি এ সবের কিছুই লুকোননি৷ জবাবে ওবামা বলেছেন, 'হতাশ হবেন না৷ আপনাদের জন্যই আমি রোজ অফিসে আসি৷ মনে রাখবেন নিন্দাবাদ খুব জনপ্রিয় ঠিকই, কিন্ত্ত আশা তার চেয়েও ভালো৷' ওবামা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দেশের পরিস্তিতি যেন ারও খারাপ হয়ে পড়ছে৷ অসহায়তার জন্য নিজেকে তাঁর খাঁচায় বন্ধ ভালুকের মতো মনে হচ্ছে৷
নির্বাচনে জিতেছেন ঠিকই, কিন্ত্ত আশানুরূপ ফল হয়নি৷ বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেস রিপাবলিকানদের হাতে থাকায় রোজই নতুন নতুন বাধার মুখে পড়ছেন প্রেসিডেন্ট৷ এ দিনে সামনে অন্তবর্তী নির্বাচন৷ এমন পরিস্থিতিতে জনসংযোগ বাড়াতে নতুন কোনও উপায় খুঁজছিল ডেমোক্র্যাট শিবির৷ রেবেকা আর্লার আর্তিতে সেই পথের দিশা পেলেন ওবামা৷
দুঃস্থ মার্কিনদের মুখ হিসেবে তিনি রেবেকাকেই উদাহরণ হিসেবে খাড়া করবেন ঠিক করেছেন৷ এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই কয়েক মাস আগে দেশকে ফের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে এনে ফেলার জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করার কাজও চলতে থাকবে৷
রেবেকার সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও ওই দিন একাধিক জনসংযোগের কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট৷ - নিউ ইয়র্ক টাইমস
এমন চিঠি দিনে গড়ে দশটা করে পেয়ে থাকেন ওবামা৷ কিন্ত্ত রেবেকার চিঠিকে অবজ্ঞা করতে পারেননি তিনি৷ রেবেকার কাছে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসের একটি সাধারণ মানের রেস্তোরাঁয় দেখা করার অনুরোধ যায় হোয়াইট হাউস থেকে৷
নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে না পারলেও নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই শহরের 'ম্যাটস বার' রেস্তোরাঁয় হাজির হন রেবেকা৷ তাঁকে অবাক করে দিয়েই কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হলেন ওভাল অফিসের কর্তা৷
না, রোজকার মতো থ্রি-পিস স্যুট নেই পরণে৷ টাই রয়েছে ঠিকই, তবে ব্লেজার খোলা৷ পুরোহাতা ফর্ম্যাল শার্টের হাত দু'টো কমুই পর্যন্ত গোটানো৷ ভালো করে না দেখলে একবারও মনে হবে না স্বয়ং এই ব্যক্তিই মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট৷ বদলে মনে হবে, রাস্তার উল্টো পারের কোনও অফিসে কর্মরত, চটজলদি লাঞ্চ সেরে নিতে এসেছেন ম্যাটস বার-এ৷ পরস্পরের প্রতি সৌজন্য বিনিময়ের পর খাবারের টেবিলে বসে একেবারেই সহজ ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গল্প শুরু করেন রেবেকার সঙ্গে৷ মৃদু আলোয় আলোকিত রেস্তোরাঁয় 'জুসি লুসি' নামে পরিচিত হ্যামবার্গার আর সঙ্গে চিজ দেওয়া প্যাটি অর্ডার দিয়ে ফের রেবেকার দৈনন্দিন জীবন ও খরচ নিয়ে আলোচনায় ফিরলেন প্রেসিডেন্ট৷ রেস্তোরাঁয় রেবেকা আসার আগে থেকেই যে ক'জন শক্তপোক্ত চেহারার পুরুষ ও সতর্ক চোখের মহিলা বসে ছিলেন, তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী হলেও তাঁদের হাবভাবে একবারও তেমন কিছু টের পাননি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রায় ভিখারি হয়ে যাওয়া রেবেকা৷
স্বামী ছিলেন একটা ছোটখাটো নির্মাণ সংস্থার মালিক৷ সেই সংস্থা উঠে গিয়েছে৷ দুই সন্তান এ বার স্কুলে ভর্তি হবে৷ তাদের ভালো করে পুষ্টিকর খাবার দিতে গিয়েই দিশেহারা অবস্থা গৃহকর্ত্রীর৷ প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি এ সবের কিছুই লুকোননি৷ জবাবে ওবামা বলেছেন, 'হতাশ হবেন না৷ আপনাদের জন্যই আমি রোজ অফিসে আসি৷ মনে রাখবেন নিন্দাবাদ খুব জনপ্রিয় ঠিকই, কিন্ত্ত আশা তার চেয়েও ভালো৷' ওবামা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দেশের পরিস্তিতি যেন ারও খারাপ হয়ে পড়ছে৷ অসহায়তার জন্য নিজেকে তাঁর খাঁচায় বন্ধ ভালুকের মতো মনে হচ্ছে৷
নির্বাচনে জিতেছেন ঠিকই, কিন্ত্ত আশানুরূপ ফল হয়নি৷ বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেস রিপাবলিকানদের হাতে থাকায় রোজই নতুন নতুন বাধার মুখে পড়ছেন প্রেসিডেন্ট৷ এ দিনে সামনে অন্তবর্তী নির্বাচন৷ এমন পরিস্থিতিতে জনসংযোগ বাড়াতে নতুন কোনও উপায় খুঁজছিল ডেমোক্র্যাট শিবির৷ রেবেকা আর্লার আর্তিতে সেই পথের দিশা পেলেন ওবামা৷
দুঃস্থ মার্কিনদের মুখ হিসেবে তিনি রেবেকাকেই উদাহরণ হিসেবে খাড়া করবেন ঠিক করেছেন৷ এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই কয়েক মাস আগে দেশকে ফের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে এনে ফেলার জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করার কাজও চলতে থাকবে৷
রেবেকার সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও ওই দিন একাধিক জনসংযোগের কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট৷ - নিউ ইয়র্ক টাইমস
No comments:
Post a Comment