কলাম্বিয়া ভোগাবে ব্রাজিলকেও
কলম্বিয়া: ২ (জেমস ২৮, ৫০) উরুগুয়ে: ০
সত্যজিত্ চট্টোপাধ্যায়
রাত দুপুরে ব্রাজিল বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ আমাকে এ ভাবে বছর তিরিশ পিছনে নিয়ে যাবে ভাবিনি৷ ভাবিনি ফুটবল জীবনের শুরুতে ইডেনে বসে দেখা এঞ্জো ফ্রান্সিসকোলির উরুগুয়ের সঙ্গে কাবানিদের উরুগুয়ের এ ভাবে মিল পেয়ে যাব!
ম্যাচটা ছিল '৮২-র নেহরু কাপে উরুগুয়ে-কোরিয়া ম্যাচ৷ সে বার উরুগুয়ে টিমে ফ্রান্সিসকোলি, রামোসদের মতো তারকা ফুটবলার৷ ম্যাচটায় ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্সিসকোলিরা৷ আর পিছিয়ে পড়ে শুরু করল টাফ ফুটবল৷ আমরা যেটাকে বলি চালিয়ে খেলা৷ যেটা শনিবার রাতে শুরু করেছিল গোদিনরা৷ সে দিন ইডেনে জিতেছিল, কিন্ত্ত ফোরলান-কাবানিরা পারল না৷
প্রশ্ন হল, কোথায় মার খেল উরুগুয়ে? সুয়ারেসের না থাকাটা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই৷ উরুগুয়ের অ্যাটাকে সুয়ারেসের মতো পাওয়ার ফুটবলার না থাকলে কী হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝল কোচ তাবারেজ৷ ফোরলানকে শুরু থেকে নামিয়ে একটা চেষ্টা করেছিল তাবারেজ৷ কিন্ত্ত আগের বিশ্বকাপের হিরো ফোরলান, চেনা ছন্দের ধারে-কাছে ছিল না৷ সব মিলিয়ে যা হওয়ার তাই হল৷
সত্যি কথা বলতে উরুগুয়ে জিতবে বলে আমার কখনওই মনে হয়নি৷ বরং কলম্বিয়া সব বিভাগেই টেক্কা দিয়ে জিতেছে৷ দু'টিমের যা ফারাক, তাতে বারবারই কলম্বিয়ার হয়ে বাজি ধরব৷ যার প্রথম কারণ যদি হয় জেমস রদরিগেস নামে দুর্দান্ত ফুটবলার, তো দ্বিতীয় কারণ ওদের কোচ পেকেরমান৷
কলম্বিয়ার কম্পোজড ফুটবল মন ভালো করে দিল৷ সব বাচ্চা ছেলে৷ অসাধারণ দৌড়ল ছেলেগুলো৷ আসলে কলম্বিয়া বলতে আমার চোখের সামনে ভাসে ভালদেরামা, রিঙ্কন, আসপ্রিয়াদের মুখ৷ বলতে কোনও দ্বিধা নেই, নয়ের দশকের ওই টিমটা এখনকার তুলনায় অনেক বেশি তারকা-নির্ভর ছিল৷ একটা বাজে গোল খাইয়ে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে টিমকে ডুবিয়ে দেওয়া বাদ দিলে হিগুয়েতাও গ্রেট গোলকিপার৷ ওদের গভীরতা অনেক বেশি ছিল৷
পেকেরমানের টিমে তেমন কেউ নেই৷ রদরিগেসের প্রথম গোলটা এখনও পর্যন্ত আমার মতে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা৷ তবু বলছি, টিমগেমই ওদের অস্ত্র৷ লাতিন আমেরিকা ঘরানার যে ফুটবল দেখতে পছন্দ করি, সেটাই খেলছে কলম্বিয়া৷
সত্যি কথা বলতে, বিশ্বকাপের একটা সেরা ম্যাচ দেখার জন্য বসে আছি৷ ঠিকই ধরেছেন, ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ৷ দুটো টিমই পাসিং ফুটবল খেলছে৷ নিজেেদের মধ্যে খেলে অ্যাটাকে যাচ্ছে৷ রদরিগেসের প্রথম গোলটা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সেরা, কিন্ত্ত পরের গোলটার সময়, কলম্বিয়ার ফুটবলারদের নিজেদের মধ্যে টাচ খেলা দেখে সেরা ফর্মের স্পেনের কথা মনে পড়ছিল৷
সোজা কথায়, এই বিশ্বকাপে দারুণ একটা প্যাকেজ ফুটবল উপহার দিল কলম্বিয়া৷ দুই সাইডব্যাক আর্মেরো আর জুনিঙ্গা ছবির মতো উঠছে৷ আসলে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে পেকেরমানের টিমে৷ এই জায়গাতেই ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াইটা জমবে৷
কলম্বিয়ার নেগেটিভ দিক কী? আমার মতে, ওদের ফিজিক৷ শরীরী লড়াইয়ে একটু হলেও এগিয়ে ফ্রেদ, হাল্করা৷ আর একটা ব্যাপার, যেটা কলম্বিয়ার ভালো লাগেনি, তা হল ওদের মানসিকতা৷
২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর যেন একটু শেকি হয়ে যাচ্ছিল৷ ফোরলানরা পারেনি, নেইমাররা কিন্ত্ত এ সব পরিস্থিতিতে ছিঁড়ে খাবে৷ এ ছাড়া কলম্বিয়া কিন্ত্ত একটা কমপ্লিট টিম৷ নিজেদের আর একটু গুছিয়ে নিয়ে ওরা বিশ্বকাপে আরও এগোলে সেটাকে কোনও মতেই অঘটন বলা যাবে না৷
সত্যজিত্ চট্টোপাধ্যায়
রাত দুপুরে ব্রাজিল বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ আমাকে এ ভাবে বছর তিরিশ পিছনে নিয়ে যাবে ভাবিনি৷ ভাবিনি ফুটবল জীবনের শুরুতে ইডেনে বসে দেখা এঞ্জো ফ্রান্সিসকোলির উরুগুয়ের সঙ্গে কাবানিদের উরুগুয়ের এ ভাবে মিল পেয়ে যাব!
ম্যাচটা ছিল '৮২-র নেহরু কাপে উরুগুয়ে-কোরিয়া ম্যাচ৷ সে বার উরুগুয়ে টিমে ফ্রান্সিসকোলি, রামোসদের মতো তারকা ফুটবলার৷ ম্যাচটায় ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্সিসকোলিরা৷ আর পিছিয়ে পড়ে শুরু করল টাফ ফুটবল৷ আমরা যেটাকে বলি চালিয়ে খেলা৷ যেটা শনিবার রাতে শুরু করেছিল গোদিনরা৷ সে দিন ইডেনে জিতেছিল, কিন্ত্ত ফোরলান-কাবানিরা পারল না৷
প্রশ্ন হল, কোথায় মার খেল উরুগুয়ে? সুয়ারেসের না থাকাটা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই৷ উরুগুয়ের অ্যাটাকে সুয়ারেসের মতো পাওয়ার ফুটবলার না থাকলে কী হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝল কোচ তাবারেজ৷ ফোরলানকে শুরু থেকে নামিয়ে একটা চেষ্টা করেছিল তাবারেজ৷ কিন্ত্ত আগের বিশ্বকাপের হিরো ফোরলান, চেনা ছন্দের ধারে-কাছে ছিল না৷ সব মিলিয়ে যা হওয়ার তাই হল৷
সত্যি কথা বলতে উরুগুয়ে জিতবে বলে আমার কখনওই মনে হয়নি৷ বরং কলম্বিয়া সব বিভাগেই টেক্কা দিয়ে জিতেছে৷ দু'টিমের যা ফারাক, তাতে বারবারই কলম্বিয়ার হয়ে বাজি ধরব৷ যার প্রথম কারণ যদি হয় জেমস রদরিগেস নামে দুর্দান্ত ফুটবলার, তো দ্বিতীয় কারণ ওদের কোচ পেকেরমান৷
কলম্বিয়ার কম্পোজড ফুটবল মন ভালো করে দিল৷ সব বাচ্চা ছেলে৷ অসাধারণ দৌড়ল ছেলেগুলো৷ আসলে কলম্বিয়া বলতে আমার চোখের সামনে ভাসে ভালদেরামা, রিঙ্কন, আসপ্রিয়াদের মুখ৷ বলতে কোনও দ্বিধা নেই, নয়ের দশকের ওই টিমটা এখনকার তুলনায় অনেক বেশি তারকা-নির্ভর ছিল৷ একটা বাজে গোল খাইয়ে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে টিমকে ডুবিয়ে দেওয়া বাদ দিলে হিগুয়েতাও গ্রেট গোলকিপার৷ ওদের গভীরতা অনেক বেশি ছিল৷
পেকেরমানের টিমে তেমন কেউ নেই৷ রদরিগেসের প্রথম গোলটা এখনও পর্যন্ত আমার মতে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা৷ তবু বলছি, টিমগেমই ওদের অস্ত্র৷ লাতিন আমেরিকা ঘরানার যে ফুটবল দেখতে পছন্দ করি, সেটাই খেলছে কলম্বিয়া৷
সত্যি কথা বলতে, বিশ্বকাপের একটা সেরা ম্যাচ দেখার জন্য বসে আছি৷ ঠিকই ধরেছেন, ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ৷ দুটো টিমই পাসিং ফুটবল খেলছে৷ নিজেেদের মধ্যে খেলে অ্যাটাকে যাচ্ছে৷ রদরিগেসের প্রথম গোলটা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সেরা, কিন্ত্ত পরের গোলটার সময়, কলম্বিয়ার ফুটবলারদের নিজেদের মধ্যে টাচ খেলা দেখে সেরা ফর্মের স্পেনের কথা মনে পড়ছিল৷
সোজা কথায়, এই বিশ্বকাপে দারুণ একটা প্যাকেজ ফুটবল উপহার দিল কলম্বিয়া৷ দুই সাইডব্যাক আর্মেরো আর জুনিঙ্গা ছবির মতো উঠছে৷ আসলে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে পেকেরমানের টিমে৷ এই জায়গাতেই ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াইটা জমবে৷
কলম্বিয়ার নেগেটিভ দিক কী? আমার মতে, ওদের ফিজিক৷ শরীরী লড়াইয়ে একটু হলেও এগিয়ে ফ্রেদ, হাল্করা৷ আর একটা ব্যাপার, যেটা কলম্বিয়ার ভালো লাগেনি, তা হল ওদের মানসিকতা৷
২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর যেন একটু শেকি হয়ে যাচ্ছিল৷ ফোরলানরা পারেনি, নেইমাররা কিন্ত্ত এ সব পরিস্থিতিতে ছিঁড়ে খাবে৷ এ ছাড়া কলম্বিয়া কিন্ত্ত একটা কমপ্লিট টিম৷ নিজেদের আর একটু গুছিয়ে নিয়ে ওরা বিশ্বকাপে আরও এগোলে সেটাকে কোনও মতেই অঘটন বলা যাবে না৷
http://eisamay.indiatimes.com/fifa-word-cup-2014/world-cup-copy-of-satyajit-chatterjee/articleshow/37507652.cms?
No comments:
Post a Comment