গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় লড়াই চলবে : ড. ইউনূস
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ জুন, ২০১৪
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গরিব মানুষের জন্যই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকার এই দরিদ্র মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে যে লক্ষ্যে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা ভেস্তে দিতে পারি না। গ্রামীণ ব্যাংকের অধিকার আদায়ের লড়াই চলবে। শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সোস্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর জাস্টিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি। তিনি বলেন, চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন বাংলাদেশ। এবারের স্লোগান আমরা চাকরি প্রার্থী নই, চাকরি দাতা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনাসহ তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য রাখেন। ৩১টি দেশের ২৭৫ জন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ড. ইউনূস বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নতুন আইন করছে। এ আইন পাস হলে বেশিরভাগ শেয়ার সরকারের হাতে চলে যাবে। এর ফলে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বেকারত্ব সব জায়গায় রয়েছে। কিন্তু একজন মানুষও বেকার থাকবে না। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে সোস্যাল বিজনেস। তিনি বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই ভুল। আমরা চাকরি প্রার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি। মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হিসেবে এটি লজ্জার।
কেরি কেনেডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বপ্ন দেখালেও আমাকে উৎসাহ দেয় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। শান্তি মিশনে তারা শীর্ষে। আগামীতে তারা আরও উন্নতি করবে। চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লংঘন, সাংবাদিক বন্দি করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নারীর ওপর যে কোনো সহিংসতা মেনে নিতে পারি না। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা ও বাল্যবিবাহ রোধ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মানুষের ওপর যখন পাকিস্তানিদের নিধন চলে তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। ওই ছোট বয়সেও এ ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি বলেন, দেশ আমাকে কি দিয়েছে তা না ভেবে আমি দেশকে কি দিয়েছি তাই ভাবা উচিত।
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের দর্শনকে আমি ভালোবাসি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়েছি। যেখানেই গিয়েছে আমি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যাজিক দেখেছি। অশিক্ষিত মানুষদের ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে দক্ষ কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন দেখেছি।
- See more at: http://www.jugantor.com/news/2014/06/29/116636#sthash.mAuyV7D7.dpufড. ইউনূস বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নতুন আইন করছে। এ আইন পাস হলে বেশিরভাগ শেয়ার সরকারের হাতে চলে যাবে। এর ফলে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বেকারত্ব সব জায়গায় রয়েছে। কিন্তু একজন মানুষও বেকার থাকবে না। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে সোস্যাল বিজনেস। তিনি বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই ভুল। আমরা চাকরি প্রার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি। মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হিসেবে এটি লজ্জার।
কেরি কেনেডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বপ্ন দেখালেও আমাকে উৎসাহ দেয় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। শান্তি মিশনে তারা শীর্ষে। আগামীতে তারা আরও উন্নতি করবে। চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লংঘন, সাংবাদিক বন্দি করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নারীর ওপর যে কোনো সহিংসতা মেনে নিতে পারি না। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা ও বাল্যবিবাহ রোধ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মানুষের ওপর যখন পাকিস্তানিদের নিধন চলে তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। ওই ছোট বয়সেও এ ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি বলেন, দেশ আমাকে কি দিয়েছে তা না ভেবে আমি দেশকে কি দিয়েছি তাই ভাবা উচিত।
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের দর্শনকে আমি ভালোবাসি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়েছি। যেখানেই গিয়েছে আমি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যাজিক দেখেছি। অশিক্ষিত মানুষদের ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে দক্ষ কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন দেখেছি।
No comments:
Post a Comment