দেবযানীকে আদালতে পেশ করে বিতর্কে রাজ্য পুলিশই
এই সময়: সিবিআইয়ের হাতে থাকা সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করল রাজ্য পুলিশ৷ এ ঘটনায় হতচকিত আইনজীবীমহল৷ যে তদন্ত সিবিআইয়ের আওতাধীন, সেই মামলায় কী করে রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তকে আদালতে তোলে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি সারদা-তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত সিটের সদস্যরা৷ বিধাননগরের কমিশনার রাজীব কুমার ফোন ধরেননি৷ এখানকার গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়ে দেন, 'কিছু বলব না৷' এই অবস্থায় দেবযানীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পুলিশের এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ এদিকে এদিনই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী শান্তনু ঘোষকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আবার থানা থেকে জানানোয় এদিন বিডিও অফিসে সারদার ক্ষতিপূরণের চেক নিতে এসে তা না-পেয়ে বিক্ষোভ দেখান উলুবেড়িয়ার হাজার খানেক ক্ষতিগ্রস্ত৷
তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীন সেমেন মিত্র যে ভাবে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সম্পর্কে সমালোচনা করেছিলেন, এ বার প্রায় সে ভাষাতেই মুখ খুললেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে রাজ্য সরকারকে বিপাকে না-ফেলে তিনি এদের বাড়বাড়ন্তের দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রের উপর৷ এদিন চণ্ডীপুরে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের শাখার নতুন ভবনের উদ্বোধনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি অনেক আগেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলাম৷ কিন্ত্ত তখন কেউ আমার কথায় কান দেয়নি৷ ইডি, সেবির উদাসীনতায় এদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে৷' নাম না-করে এদিন কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শুভেন্দু৷
প্রায় আড়াই লাখ টাকা সারদায় লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন বলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আরামবাগ থানায় অভিযোগ করেন এক এজেন্ট৷ সেই মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ, সোমনাথ দত্তকে ইতিমধ্যে আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ৷ তাঁদের দু'জন জামিন পেয়ে যান৷ সেই মামলায় এর আগে তিনবার আদালতে তোলা হয়েছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে৷ গত ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সারদা মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআই৷
সিবিআই সূত্রে খবর, আলিপুর আদালতে সারদার ৫৫টি মামলা একসঙ্গে করে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার মধ্যেও আরামবাগের এই মামলাটি যুক্ত রয়েছে৷ এই অবস্থায় সেই ঘটনার অভিযুক্তকে কী করে পুলিশ এদিন আদালতে তুলল, তা নিয়ে ধন্দে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররাও৷ তবে এখনই এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ না-খুলে কীসের ভিত্তিতে পুলিশ এটা করল, তা বোঝার চেষ্টা করছেন৷ এদিন আরামবাগের এসিজেএম শ্রীময়ী কুণ্ডুর এজলাসে তোলা হলে বিচারক দেবযানীকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ সরকারি আইনজীবী নবকুমার মজুমদার বলেন, 'এ নিয়ে চার বার দেবযানীকে এই মামলায় আরামবাগ আদালতে তুলল পুলিশ৷'
উলুবেড়িয়ার ১,২৯৭ জন সারদার ক্ষতিগ্রস্তকে থানা থেকে জানানো হয়েছিল, ৩০ জুন বিডিও অফিস থেকে চেক দেওয়া হবে৷ সেই অনুযায়ী এদিন ভোর থেকে তাঁরা ভিড় জমান বিডিও অফিসের সামনে৷ বেলা বাড়ার সঙ্গে চেক না-পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে৷ সে সময় বিডিও অফিসে ছিলেন না৷ জয়েন্ট বিডিও স্বাতী দত্ত মুখোপাধ্যায় কিছু না-বললেও বিডিও অফিস জানিয়েছে, সারদার চেক দেওয়ার ব্যাপারে তাদের কেউ কিছু জানায়নি৷ এর পরেই ক্ষোভে আমানতকারীরা বিডিও অফিসের বিদ্যুত্সংযোগ ছিন্ন করে দেন৷ উত্তেজনা বাড়তে থাকায় উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামল সামন্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় বিডিও অফিসে৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির জন্যই সমস্যা হয়েছে৷ কমিশন ৩০ জুনের মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ করতে বলেছিল৷ কিন্ত্ত ভুল করে ওই দিন চেক দেওয়া হবে বলে জানানোয় বিপত্তি৷
এই সময়: সিবিআইয়ের হাতে থাকা সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করল রাজ্য পুলিশ৷ এ ঘটনায় হতচকিত আইনজীবীমহল৷ যে তদন্ত সিবিআইয়ের আওতাধীন, সেই মামলায় কী করে রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তকে আদালতে তোলে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি সারদা-তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত সিটের সদস্যরা৷ বিধাননগরের কমিশনার রাজীব কুমার ফোন ধরেননি৷ এখানকার গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়ে দেন, 'কিছু বলব না৷' এই অবস্থায় দেবযানীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পুলিশের এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ এদিকে এদিনই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী শান্তনু ঘোষকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আবার থানা থেকে জানানোয় এদিন বিডিও অফিসে সারদার ক্ষতিপূরণের চেক নিতে এসে তা না-পেয়ে বিক্ষোভ দেখান উলুবেড়িয়ার হাজার খানেক ক্ষতিগ্রস্ত৷
তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীন সেমেন মিত্র যে ভাবে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সম্পর্কে সমালোচনা করেছিলেন, এ বার প্রায় সে ভাষাতেই মুখ খুললেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে রাজ্য সরকারকে বিপাকে না-ফেলে তিনি এদের বাড়বাড়ন্তের দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রের উপর৷ এদিন চণ্ডীপুরে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের শাখার নতুন ভবনের উদ্বোধনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি অনেক আগেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলাম৷ কিন্ত্ত তখন কেউ আমার কথায় কান দেয়নি৷ ইডি, সেবির উদাসীনতায় এদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে৷' নাম না-করে এদিন কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শুভেন্দু৷
প্রায় আড়াই লাখ টাকা সারদায় লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন বলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আরামবাগ থানায় অভিযোগ করেন এক এজেন্ট৷ সেই মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ, সোমনাথ দত্তকে ইতিমধ্যে আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ৷ তাঁদের দু'জন জামিন পেয়ে যান৷ সেই মামলায় এর আগে তিনবার আদালতে তোলা হয়েছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে৷ গত ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সারদা মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআই৷
সিবিআই সূত্রে খবর, আলিপুর আদালতে সারদার ৫৫টি মামলা একসঙ্গে করে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার মধ্যেও আরামবাগের এই মামলাটি যুক্ত রয়েছে৷ এই অবস্থায় সেই ঘটনার অভিযুক্তকে কী করে পুলিশ এদিন আদালতে তুলল, তা নিয়ে ধন্দে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররাও৷ তবে এখনই এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ না-খুলে কীসের ভিত্তিতে পুলিশ এটা করল, তা বোঝার চেষ্টা করছেন৷ এদিন আরামবাগের এসিজেএম শ্রীময়ী কুণ্ডুর এজলাসে তোলা হলে বিচারক দেবযানীকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ সরকারি আইনজীবী নবকুমার মজুমদার বলেন, 'এ নিয়ে চার বার দেবযানীকে এই মামলায় আরামবাগ আদালতে তুলল পুলিশ৷'
উলুবেড়িয়ার ১,২৯৭ জন সারদার ক্ষতিগ্রস্তকে থানা থেকে জানানো হয়েছিল, ৩০ জুন বিডিও অফিস থেকে চেক দেওয়া হবে৷ সেই অনুযায়ী এদিন ভোর থেকে তাঁরা ভিড় জমান বিডিও অফিসের সামনে৷ বেলা বাড়ার সঙ্গে চেক না-পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে৷ সে সময় বিডিও অফিসে ছিলেন না৷ জয়েন্ট বিডিও স্বাতী দত্ত মুখোপাধ্যায় কিছু না-বললেও বিডিও অফিস জানিয়েছে, সারদার চেক দেওয়ার ব্যাপারে তাদের কেউ কিছু জানায়নি৷ এর পরেই ক্ষোভে আমানতকারীরা বিডিও অফিসের বিদ্যুত্সংযোগ ছিন্ন করে দেন৷ উত্তেজনা বাড়তে থাকায় উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামল সামন্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় বিডিও অফিসে৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির জন্যই সমস্যা হয়েছে৷ কমিশন ৩০ জুনের মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ করতে বলেছিল৷ কিন্ত্ত ভুল করে ওই দিন চেক দেওয়া হবে বলে জানানোয় বিপত্তি৷
No comments:
Post a Comment