২০ কেজি কাতলের দাম ১৪ হাজার টাকা!
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: পাঁচদিনের ব্যবধানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিশাল আকৃতির এক কাতাল মাছ বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর অভিজাত কাঁচা বাজার কাজীর দেউড়িতে বিক্রি হওয়া কাতল মাছটির ওজন ছিল ২০ কেজি।
মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই মৌসুমের এটি সবচেয়ে বড় কার্প জাতীয় মাছ। গত রোববার বিক্রি হওয়া কাতালের ওজন ছিল ১৪ কেজি।
আগের মাছটির মত শুক্রবারের বড় কাতলটিও কিনে নিয়ে যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের রেস্টুরেন্ট রোদেলা বিকেলের এক কর্মকর্তা।
টাটকা এই কাতল মাছ বাজারে আসার পর উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। অনেকে মোবাইল ফোনে মাছটির ছবিও তুলতে থাকে। বিশাল আকৃতির এই মাছটি কাটতে হয় দুইজনে মিলে।
বাজারের ৬৫ নম্বর দোকানের মালিক রুস্তম আলী জানান, এক সরবরাহকারী মাছটি সকালেই বাজারে নিয়ে এসেছে। সরবরাহকারির দাবি এটি কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া মরিয়মনগর এলাকার মাছ।৭০০ টাকা কেজি দরে কাতল মাছটি বিক্রি করা হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা।
কাজীর দেউড়ি বাজারের অন্য দোকানিরা বলছে,কাতলটি হালদা নদীর। গোপনে মাছটি ধরে বাজারে নিয়ে এসেছে শিকারীরা। সাধারণত বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ডিম ছাড়ার আগে ও পরে এ ধরনের বড় মাছ শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন মাছ ধরতে সুবিধা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, আমি নিশ্চিত এত বড় মাছ হালদা নদী ছাড়া আর কোথাও মিলবে না। সড়কে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তা পাহারা ডিঙিয়ে কাপ্তাই লেক থেকে এত বড় মাছ চট্টগ্রামে আনা সম্ভব নয়। রাতের অন্ধকারে হালদা থেকে এই মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০ কেজি ওজনের এই মাছটি বয়স ৮ থেকে ১০ বছর হবে।
সাধারণত কাতল মাছ ১৫/১৬ বছরের বেশি বাঁচে না। হালদা মাছের বৈশিষ্ট্য হল এটি খুবই সুস্বাদু ও দ্রুত বেড়ে উঠে।
মাছটির মাথার ওজন ছিল ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম। ডিম ২ কেজি ১০০ গ্রাম, পাখনা ৬০০ গ্রাম, লেজ ১ কেজি ২০০ গ্রাম, পেটি টুকরো হয়েছে ২১টি। পুরো মাছটিকে মোট ৭৯ টুকরো করা হয়। বাজারের মাছ কাটা শ্রমিক ইব্রাহিম ও রাজা মিলে মাছটির আঁশ ছেটে কাটতে সময় লেগেছে ৪০ মিনিট।
মাছটির ক্রেতা রোদেলা বিকেলের ম্যানেজার মাহবুব আলম বলেন, বড় সাইজের ও সুস্বাদু টাটকা মাছ বিক্রি করার সুনাম রয়েছে আমাদের। কাজীর দেউড়ি বাজারে আনা সেরা মাছের মধ্যে থেকে এই মাছটিও আমরা কিনে নিয়েছি। সেটি আজ বিক্রি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪
শুক্রবার নগরীর অভিজাত কাঁচা বাজার কাজীর দেউড়িতে বিক্রি হওয়া কাতল মাছটির ওজন ছিল ২০ কেজি।
মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই মৌসুমের এটি সবচেয়ে বড় কার্প জাতীয় মাছ। গত রোববার বিক্রি হওয়া কাতালের ওজন ছিল ১৪ কেজি।
আগের মাছটির মত শুক্রবারের বড় কাতলটিও কিনে নিয়ে যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের রেস্টুরেন্ট রোদেলা বিকেলের এক কর্মকর্তা।
টাটকা এই কাতল মাছ বাজারে আসার পর উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। অনেকে মোবাইল ফোনে মাছটির ছবিও তুলতে থাকে। বিশাল আকৃতির এই মাছটি কাটতে হয় দুইজনে মিলে।
বাজারের ৬৫ নম্বর দোকানের মালিক রুস্তম আলী জানান, এক সরবরাহকারী মাছটি সকালেই বাজারে নিয়ে এসেছে। সরবরাহকারির দাবি এটি কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া মরিয়মনগর এলাকার মাছ।৭০০ টাকা কেজি দরে কাতল মাছটি বিক্রি করা হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা।
কাজীর দেউড়ি বাজারের অন্য দোকানিরা বলছে,কাতলটি হালদা নদীর। গোপনে মাছটি ধরে বাজারে নিয়ে এসেছে শিকারীরা। সাধারণত বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ডিম ছাড়ার আগে ও পরে এ ধরনের বড় মাছ শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন মাছ ধরতে সুবিধা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, আমি নিশ্চিত এত বড় মাছ হালদা নদী ছাড়া আর কোথাও মিলবে না। সড়কে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তা পাহারা ডিঙিয়ে কাপ্তাই লেক থেকে এত বড় মাছ চট্টগ্রামে আনা সম্ভব নয়। রাতের অন্ধকারে হালদা থেকে এই মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০ কেজি ওজনের এই মাছটি বয়স ৮ থেকে ১০ বছর হবে।
সাধারণত কাতল মাছ ১৫/১৬ বছরের বেশি বাঁচে না। হালদা মাছের বৈশিষ্ট্য হল এটি খুবই সুস্বাদু ও দ্রুত বেড়ে উঠে।
মাছটির মাথার ওজন ছিল ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম। ডিম ২ কেজি ১০০ গ্রাম, পাখনা ৬০০ গ্রাম, লেজ ১ কেজি ২০০ গ্রাম, পেটি টুকরো হয়েছে ২১টি। পুরো মাছটিকে মোট ৭৯ টুকরো করা হয়। বাজারের মাছ কাটা শ্রমিক ইব্রাহিম ও রাজা মিলে মাছটির আঁশ ছেটে কাটতে সময় লেগেছে ৪০ মিনিট।
মাছটির ক্রেতা রোদেলা বিকেলের ম্যানেজার মাহবুব আলম বলেন, বড় সাইজের ও সুস্বাদু টাটকা মাছ বিক্রি করার সুনাম রয়েছে আমাদের। কাজীর দেউড়ি বাজারে আনা সেরা মাছের মধ্যে থেকে এই মাছটিও আমরা কিনে নিয়েছি। সেটি আজ বিক্রি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪
No comments:
Post a Comment