নেতৃত্বের জন্য তৈরি নন রাহুল: দিগ্বিজয়
পানজিম: ছোটখাটো নেতারাই শুধু নয়, গান্ধী পরিবারের প্রতি অসন্তোষের ইঙ্গিত আসতে শুরু করল পরিবার-ঘনিষ্ঠ নেতাদের থেকেও৷ শনিবার এক সাক্ষাত্কারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও গান্ধী-পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মনোভাবই নেই দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর৷
কংগ্রেসের তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক দু'দিনের সফরে গোয়া এসেছিলেন রাজ্যে দলের হাল-হকিকত বুঝতে৷ সে সময়েই গোয়ার একটি কেবল টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'রাহুল ঠিক শাসন করার মতো মানুষ নন৷ তাঁর মানসিকতাটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার৷' তবে শুধু এতেই থেকে না থেকে দিগ্বিজয়ের ইঙ্গিত, দায়িত্ব এড়ানোরও চেষ্টা করেছেন রাহুল৷ তাঁর কথায়, 'যে কোনও গণতন্ত্রেই বিরোধিতার স্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ সংসদে যেহেতু কংগ্রেসই বৃহত্তম বিরোধী দল, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুলেরই উচিত ছিল বিরোধী দলনেতার পদ নেওয়া৷' দলে তিনি একাধিক বার এ দাবি তুলেছেন বলেও জানিয়েছেন দিগ্বিজয়৷ কিন্ত্ত সনিয়ার ইচ্ছায় সে পদের অধিকারী হন কর্নাটকের অভিজ্ঞ নেতা এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ রাহুলকে সনিয়া আড়াল করতে চাইছেন, সে সময় এমন জল্পনাও উঠেছিল৷
দিগ্বিজয় অবশ্য পরে এ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, 'আমি বলতে চেয়েছিলাম, ওঁর (রাহুল) লড়াইটা সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ক্ষমতা দখলের জন্য নয়৷ ওঁর আর আমাদের মধ্যে এটাই মূল তফাত৷ উনি ক্ষমতালোভী নন৷ সনিয়াজির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে৷' ওই সাক্ষাত্কারে অবশ্য একা রাহুল নয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও সমালোচনা করেছেন দিগ্বিজয়৷ বহু বিষয়ে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর 'নীরবতা' যে দলের ক্ষতি করেছে, মেনেও নিয়েছেন সে কথা৷ তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রীর (মনমোহন) আরও বেশি খোলামেলা হওয়া উচিত ছিল৷ যোগাযোগের লড়াইতেই আমরা হেরেছি, হেরেছি মানুষের কাছে পৌঁছনোর লড়াইতে৷'
এর আগে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতারা যথেষ্ট খোলাখুলি ভাবেই সমালোচনা করেছেন রাহুলের৷ কেরালার মন্ত্রী টিএইচ মুস্তাফা রাহুলকে 'জোকার' আখ্যা দিয়ে দলের রাশ বোন প্রিয়াঙ্কার হাতে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন৷ পর দিনই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে৷ রাজস্থানের বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মা আবার রাহুলকে 'জোকারের দলের এমডি' বলে কটাক্ষ করেন কিছু দিনের মধ্যেই৷ একই দশা হয় তাঁরও৷ মুস্তাফা বা শর্মার তুলনায় দিগ্বিজয়ের সমালোচনা অবশ্য অনেকটাই নরম সুরে৷ কিন্ত্ত দলে তাঁর মতো পদমর্যাদার কারও তরফে এ হেন সমালোচনা কংগ্রেসকে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলবে৷
পানজিম: ছোটখাটো নেতারাই শুধু নয়, গান্ধী পরিবারের প্রতি অসন্তোষের ইঙ্গিত আসতে শুরু করল পরিবার-ঘনিষ্ঠ নেতাদের থেকেও৷ শনিবার এক সাক্ষাত্কারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও গান্ধী-পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মনোভাবই নেই দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর৷
কংগ্রেসের তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক দু'দিনের সফরে গোয়া এসেছিলেন রাজ্যে দলের হাল-হকিকত বুঝতে৷ সে সময়েই গোয়ার একটি কেবল টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'রাহুল ঠিক শাসন করার মতো মানুষ নন৷ তাঁর মানসিকতাটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার৷' তবে শুধু এতেই থেকে না থেকে দিগ্বিজয়ের ইঙ্গিত, দায়িত্ব এড়ানোরও চেষ্টা করেছেন রাহুল৷ তাঁর কথায়, 'যে কোনও গণতন্ত্রেই বিরোধিতার স্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ সংসদে যেহেতু কংগ্রেসই বৃহত্তম বিরোধী দল, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুলেরই উচিত ছিল বিরোধী দলনেতার পদ নেওয়া৷' দলে তিনি একাধিক বার এ দাবি তুলেছেন বলেও জানিয়েছেন দিগ্বিজয়৷ কিন্ত্ত সনিয়ার ইচ্ছায় সে পদের অধিকারী হন কর্নাটকের অভিজ্ঞ নেতা এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ রাহুলকে সনিয়া আড়াল করতে চাইছেন, সে সময় এমন জল্পনাও উঠেছিল৷
দিগ্বিজয় অবশ্য পরে এ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, 'আমি বলতে চেয়েছিলাম, ওঁর (রাহুল) লড়াইটা সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ক্ষমতা দখলের জন্য নয়৷ ওঁর আর আমাদের মধ্যে এটাই মূল তফাত৷ উনি ক্ষমতালোভী নন৷ সনিয়াজির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে৷' ওই সাক্ষাত্কারে অবশ্য একা রাহুল নয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও সমালোচনা করেছেন দিগ্বিজয়৷ বহু বিষয়ে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর 'নীরবতা' যে দলের ক্ষতি করেছে, মেনেও নিয়েছেন সে কথা৷ তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রীর (মনমোহন) আরও বেশি খোলামেলা হওয়া উচিত ছিল৷ যোগাযোগের লড়াইতেই আমরা হেরেছি, হেরেছি মানুষের কাছে পৌঁছনোর লড়াইতে৷'
এর আগে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতারা যথেষ্ট খোলাখুলি ভাবেই সমালোচনা করেছেন রাহুলের৷ কেরালার মন্ত্রী টিএইচ মুস্তাফা রাহুলকে 'জোকার' আখ্যা দিয়ে দলের রাশ বোন প্রিয়াঙ্কার হাতে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন৷ পর দিনই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে৷ রাজস্থানের বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মা আবার রাহুলকে 'জোকারের দলের এমডি' বলে কটাক্ষ করেন কিছু দিনের মধ্যেই৷ একই দশা হয় তাঁরও৷ মুস্তাফা বা শর্মার তুলনায় দিগ্বিজয়ের সমালোচনা অবশ্য অনেকটাই নরম সুরে৷ কিন্ত্ত দলে তাঁর মতো পদমর্যাদার কারও তরফে এ হেন সমালোচনা কংগ্রেসকে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলবে৷
No comments:
Post a Comment