অঙ্গীকারেই শেষ হল সুষমার প্রথম সফর
মাসুদ করিম
প্রকাশ : ২৮ জুন, ২০১৪
তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তিসহ বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্র“তি পূরণের অঙ্গীকারের মাধ্যমে শেষ হল সুষমা স্বরাজের তিন দিনের বাংলাদেশ সফর। ভারতের নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফরে তিস্তা ও সীমান্ত ইস্যুর মতো অমীমাংসিত বড় ইস্যুতে অগ্রগতি হয়নি। এসব ক্ষেত্রে প্রতিশ্র“তি পূরণের অঙ্গীকার করা হয়েছে। তবে ছোটখাটো অনেক ইস্যুতে বেশ অগ্রগতি লক্ষণীয়। প্রতিবেশী দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদলের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সুষমা স্বরাজ এককভাবে প্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশে এলেন। এই সফরে তিনি বেশ স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত তার সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়। ওই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে করণীয় দিক তুলে ধরে একটা রোডম্যাপও দিয়েছেন। নতুন এই রূপরেখায় দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শিগগিরই দিল্লিতে মিলিত হয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো সমস্যা নিরসনে ঘন ঘন বৈঠকে মিলিত হয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী।
সুষমার সফরকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার সমর্থন দেয়ায় বিএনপি হতাশ হয়েছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবার সুষমার সঙ্গে দেখা করে ‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বলে নালিশ করেছেন। সুষমা স্বরাজের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে ভারত নাক গলাবে না। বরং সম্পর্ক জোরদারে কর্মকাণ্ড চলবে দু’দেশের সরকারের মধ্যে।
তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির মতো বড় ইস্যুতে মনমোহন সরকারের দেয়া প্রতিশ্র“তি পূরণের অঙ্গীকার করেছে বিজেপি। তবে এই প্রতিশ্র“তি পূরণের কৌশল সম্পর্কে কোনও কিছুই বলা হয়নি। সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে নতুন কোনও পদক্ষেপ ঘোষণা হয়নি। ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধান উদ্বেগসমূহ নিরসনে আপত্তি উঠছে। সুষমা স্বরাজ অবশ্য ঢাকায় আসার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মমতার সুর আগের চেয়ে নরম হলেও নিজের অবস্থান থেকে খুব বেশি সরেননি। এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বাংলাদেশীদের ভিসা সুবিধা প্রদানে বাধা দিয়েছেন। ফলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ৬৫ বছরের বেশি ও ১৩ বছরের কম বয়সীদের অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেননি সুষমা স্বরাজ। রাজ্যের বাধা নিরসন মোদি সরকারের সামনে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক উন্নয়নে বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই থাকছে।
বড় ইস্যুতে অগ্রগতি না হলেও ছোটখাটো কোনো কোনো ইস্যুতে অগ্রগতি আছে। এক্ষেত্রে ৬৫ বছরের বেশি ও ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি মাল্টিপল ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত, ঢাকা-শিলং-গৌহাটি বাস চালুর সিদ্ধান্ত এবং ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি উল্লেখযোগ্য। তবে এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরই দু’দেশের জনগণের সুফল পাওয়ার বিষয়টি নির্ভরশীল। ভারত আগেই সার্কে স্বল্পোন্নত দেশকে কিছু স্পর্শকাতর পণ্য ছাড়া প্রায় সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এটার সুফল বাংলাদেশ ভোগ করছে। কিন্তু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা অপসারণে অগ্রগতি না থাকায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারসাম্য ফেরেনি।
ভারতের পক্ষে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত সুষমা স্বরাজ এ সফরে নিয়ে গেছেন। তার মধ্যে আছে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য ভারতের এক অংশ থেকে ত্রিপুরায় ট্রানশিপমেন্টের মাধ্যমে নেয়ার অনুমতি। বাংলাদেশ শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ছোট ছোট ট্রাকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারত এই পণ্য পরিবহন করতে পারবে। ভারতীয় পণ্যের এসব চালান ত্রিপুরায় নেয়ার পর ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশের অবকাঠামোর অবস্থা মূল্যায়ন করবে দু’দেশ। ফলে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত ট্রানজিট পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা এক ধাপ অগ্রগতি অর্জন করল। যদিও তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ভাগাভাগির প্রশ্নে ভারতের সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকলে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত অর্থে ট্রানজিট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষমতাসীনদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এই সফরে সুষমা স্বরাজের কাছে বাংলাদেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভারতবিরোধীরা ব্যবহার করতে পারবে না। কয়েক বছর ধরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ দু’ক্ষেত্রে সুখবর নিয়ে গেছেন সুষমা স্বরাজ।
তিনি অবশ্য তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির ইস্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটির দেয়া প্রতিশ্র“তি পূরণে নতুন সরকারের সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সফরটি ফলপ্রসূ হয়েছে এবং নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়েছে।
ভারতীয় মুখপাত্রের ব্রিফিং : শুক্রবার দুপুরের পর সুষমার ঢাকা ত্যাগ করার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই সফরের ফলাফল সন্তোষজনক। ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের চমৎকার শুভ সূচনা হয়েছে। এই সম্পর্ককে পুনরায় আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ভারতীয় মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বৃহত্তর বন্ধুত্ব ও যোগাযোগ সৃষ্টি করেই তিনি ফিরে যাচ্ছেন।’ বিশেষ বিমানে ভারতে ফিরে যাওয়ার আগে সফরের শেষ দিনে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে হোটেল সোনারগাঁয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই বৈঠকে খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেছেন। সুষমা স্বরাজ ও খালেদা জিয়া একান্তেও কিছু সময় বৈঠক করেন। ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে খালেদা জিয়া একটি জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় বিএনপির আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে। বৈঠকের পর বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ভারত বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবে।’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সরকার সর্বদা সরকারের সঙ্গে কাজ করে। তবে অপরাপর অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিরসন করবে এদেশের জনগণ’। এর আগের দিনেও ভারতের এই মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হবে না ভারত।’
কতিপয় পশ্চিমা দেশের সমালোচনা সত্ত্বেও বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছিল ভারত। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের আওয়ামী সরকারের সঙ্গে নিবিড়তম সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশী এই দেশ। বিএনপির নেতৃবৃন্দের ধারণা, বর্তমান সরকারকে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা দিয়েছে কংগ্রেস সরকার।
শেষ দিনেও ব্যস্ত সময় : খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুষমা স্বরাজ। তারা সেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। রওশনকে ভারত সফরেও আমন্ত্রণ জানান সুষমা। এছাড়াও সফরের শেষ দিনে গতকাল ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন। সোনারগাঁও হোটেলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও মসিউর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সোনারগাঁও হোটেলে গিয়ে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পারস্পরিক বোঝাপড়া : ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেন। সুষমা স্বরাজের এটা একটা শুভেচ্ছা সফর। ভারতে ক্ষমতার পালাবদলের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উচ্চমাত্রা ধরে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সুষমা সেই সংশয় দূর করেছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করে তিনি বিজেপি সরকারের প্রতিবেশীবান্ধব নীতির কথা স্পষ্ট করেছেন। তবে অমীমাংসিত ইস্যু নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এখনই কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে সব বিষয়েই পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি অনেক কিছু জেনেছেন। বিজেপি সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছেনও।
নতুন অংশীদারিত্বের প্রতিশ্র“তি : ঢাকা-দিল্লির বিদ্যমান সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। ভারতে ক্ষমতার পালাবদলে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সফরে ঢাকা এসে বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় এ প্রতিশ্র“তি দেন তিনি। সফরের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রূপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বক্তৃতা দিতে আসেন সুষমা। রূপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতার শুরুতেই নিজের ঢাকা আসার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন বিজেপি নেত্রী। ‘আমি এসেছি আমাদের পারস্পরিক বন্ধন ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও মজবুত করতে। কারণ আমাদের এ সম্পর্ক ব্যাপক সম্ভাবনাময়।’ দুই দেশকে ইতিহাস ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার একই উল্লেখ করে উভয় দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও স্মরণ করেন সুষমা। ২০ মিনিটের বক্তৃতায় তিনবার বঙ্গবন্ধুর নামও আসে তার কণ্ঠে। ‘আমাদের অংশীদারিত্ব শুধু অতীতেরই নয়, ভবিষ্যতেরও। কারণ এ অঞ্চলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই আমাদের লক্ষ্য।’ সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের দেশের উন্নয়ন পরিপূর্ণ ও টেকসই হবে না, যদি না প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে না ওঠে।’
মোদির প্রতিবেশীবান্ধব নীতি : ভারতে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো সেই নীতিরই প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুষমা জানান, নিরাপত্তা রক্ষা, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত, সবার উন্নতির জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও মজবুত করার নীতি ধরে এগোচ্ছে মোদি সরকার। অটল বিহারি বাজপেয়ি সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সুষমা অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে বলেন, এক দেশের ক্ষতি করতে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিলে তা কিন্তু বুমেরাংই হয়। ‘ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্পে’ বাংলাদেশকে ৬০ কোটি রুপি অনুদানের ঘোষণা দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ অনুদানের সমঝোতা স্মারক কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মনমোহন সিং সরকারের সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশ-ভারতের বর্তমান সম্পর্ককে অন্যদের জন্য উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের জন্য উভয়ের মধ্যে আরও নিবিড় আলোচনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন তিনি। আসছে দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা শিগগিরই মিলিত হবেন।’
No comments:
Post a Comment