Monday, June 16, 2014

ধৃত নুরকে বন্দি প্রত্যর্পণে দেশে ফেরাতে চাইছে ঢাকা

ধৃত নুরকে বন্দি প্রত্যর্পণে দেশে ফেরাতে চাইছে ঢাকা

Bangladeshi-terrorist
এই সময়: বাগুইআটির অভিজাত আবাসন থেকে ধৃত বাংলাদেশি দুষ্কৃতী নুর হোসেনকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানাবে বাংলাদেশ সরকার৷ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নুরকে শনিবার রাতে বাগুইআটি থানার কৈখালির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা৷ একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় নুরের দুই সঙ্গী আহিদুর রহমান এবং খান সুমন নামে দুই ব্যক্তিকে৷

জানা গিয়েছে,গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের বন্দর এলাকা থেকে একজন কাউন্সিলর এবং আইনজীবী-সহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ পরে মে মাসের ১ তারিখ তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায় সীতালক্ষ্মী নদীর চরে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর,পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী নুর আওয়ামি লিগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নদী থেকে বালি তুলে তা চড়া দামে বিক্রি করা নিয়ে নিজের দলের নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিবাদ বাধে৷ তার জেরেই এই খুন৷ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে খবর আসে সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় এসেছে নুর৷ তার অবস্থান জানতে পেরে ইন্টারপোলের মারফত বাংলাদেশ পুলিশ খবর পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে৷

মে মাসের ২২ তারিখ সেই খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে কৈখালিতে ফ্ল্যাট নিয়ে রয়েছে নুর৷ শনিবার গোয়েন্দারা যখন ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন তখন সেখানে জুয়ার আসর বসানো হয়েছিল৷ ধৃতদের কাছ থেকে ভারতে থাকার কোনও নথি পাওয়া যায়নি৷ পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলাদেশে খুনের ঘটনার পর মৃতদের পরিজনেরা বাংলাদেশ পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন৷ তাদের মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ সরকার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে৷ বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়৷ এর পরই জানা যায় নিজের কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর গা-ঢাকা দিয়েছে কলকাতায়৷ শনিবার নুরকে গ্রেপ্তারের পর তার ঘর থেকে দুটি মোবাইল ফোনও মেলে৷ সেই ফোনগুলি থেকে কাদের ফোন করা হচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে৷ বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ জানান, বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাকে আটদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

No comments:

Post a Comment