নিউটাউনের প্রকৃতি তীর্থে তৈরি হচ্ছে অ্যাম্ফিথিয়েটার
বিশ্বজিত্ বসু
রোমের এম্ফিথিয়েটারের ধাঁচে, কেএমডিএর উদ্যোগে নিউটাউনের ইকো পার্কে জলাশয়ের উপর তৈরি হচ্ছে মুক্তমঞ্চ৷ বর্ষার আগেই তার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা উদ্যোক্তা সংস্থার৷ কেএমডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়তোষ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই তৈরি হচ্ছে গোটা এলাকা৷ ৭৫০ আসন বিশিষ্ট মঞ্চের চারপাশে থাকবে গাছের সারি৷ মঞ্চের তলায় জলে থাকবে মাছ৷ সেখানে মাছ ধরার জন্য পারে বাঁশের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে৷ মঞ্চটি দেখলে মনে হবে সেটি জলে ভাসছে৷ এর জন্য হিডকোর ইকো-ট্যুরিজম পার্কে ৪ একর জমি নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা৷ পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'সম্ভবত ১ জুলাই এই মঞ্চের উদ্বোধন হবে৷ মূলত নাটকের দলগুলির কথা ভেবেই প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া ধার্য হচ্ছে দু'হাজার টাকা৷ তবে অন্যরাও অনুষ্ঠান করতে পারবেন৷' বর্ষা ছাড়া অন্য সময় সেখানে নানা অনুষ্ঠান করা যাবে৷
বছর দুয়েক আগেই এই প্রকল্পের ভাবনা শুরু৷ তখনই ঠিক হয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে নিউটাউনে হিডকোর ইকো-ট্যুরিজম পার্কের পাশে একটি খোলা মঞ্চ তৈরি করা হবে৷ রোমের এম্ফিথিয়েটারে যেমন নাটক, ষাঁড়ের লড়াই হয়, তেমন এখানেও খোলা পরিবেশে নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে৷ প্রিয়তোষবাবুর কথায়, 'গোটা এলাকা নীচু জমি হওয়ায় কেএমডিএ কাজ শুরু করতে পারছিল না৷ কারণ সেখানে সব সময় জল জমে থাকে৷ বিশেষত বর্ষায় ওই এলাকা জলে ভেসে যেত৷ সমস্যা মেটাতে ঠিক হয়, জলের উপরেই মঞ্চ তৈরি হবে৷' সেখানে যাওয়ার রাস্তা জলের উপরেই তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য জলাশয়ের পাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হবে না৷ শুধু মুক্তমঞ্চটি থাকবে ৩৪টি কংক্রিটের পিলারের উপর৷ তার উপরেই থাকবে সাজঘর, ব্যাক স্টেজ৷ আলো ও মাইক লাগানোর জন্য মঞ্চের উপরে ছোট ছাদের ধাঁচে ছাউনি থাকবে৷ মঞ্চের দু'পাশে সেতু হচ্ছে৷ অনুষ্ঠান না থাকলে ওই ব্রিজে উঠে জলাশয়ের উপর ঘুরতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷
বাকি এলাকা ভরাট করে দর্শকাসন তৈরি হবে৷ গ্যালারির মতো আসনে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রেও গ্যালারি কংক্রিটের হবে না৷ তার পরিবর্তে ইট ব্যবহার করা হবে৷ সেখানে যাওয়ার জন্য দুটি প্রবেশ পথ থাকছে৷ এর মধ্যে একটি গেট হচ্ছে পার্কিং এলাকার পাশেই৷ গ্যালারির পরেই থাকছে ঘাসের খোলা জমি, এ ছাড়া দর্শকাসনের পিছনে মাটির উঁচু পাহাড় তৈরি হচ্ছে৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলো ও শব্দ ব্যবহারের জন্য দর্শকাসনের শেষ সারিতে থাকছে একটি মেশিন রুম ও স্পট লাইট বুথ৷ আর গ্যালারির পিছনেই ঘাসের ধাপ করা হচ্ছে৷ সেখানে গাছের পাশাপাশি খাবারের স্টল থাকবে৷ গাড়ি পার্কিং-এর জন্য নির্দিষ্ট জোন বানানো হবে৷
জলা এলাকায় কী ভাবে এই সব ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ৷ বারেবারে আলোচনার পরে ঠিক হয় ওই জল বের করে মাটি ফেলে এলাকা ভরাট করা হবে৷ সেইমতো বছর দেড়েক আগে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়৷ প্রিয়তোষবাবু বলছেন, 'ইকো পার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, প্রকৃতি নষ্ট না করে, আগামী বর্ষার আগেই রাজ্যের সবথেকে বড় মুক্তমঞ্চের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে৷' পরিবেশবিদ ধ্রুবজ্যোতি ঘোষও জানাচ্ছেন এই প্রকল্পে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে না৷ কংক্রিট বা মেটাল দিয়ে বড় কোনও ইমারত করলে সমস্যা হত৷ কিন্ত্ত এ ক্ষেত্রে যেহেতু শুধু পিলারের উপর গোটা মুক্ত
রোমের এম্ফিথিয়েটারের ধাঁচে, কেএমডিএর উদ্যোগে নিউটাউনের ইকো পার্কে জলাশয়ের উপর তৈরি হচ্ছে মুক্তমঞ্চ৷ বর্ষার আগেই তার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা উদ্যোক্তা সংস্থার৷ কেএমডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়তোষ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই তৈরি হচ্ছে গোটা এলাকা৷ ৭৫০ আসন বিশিষ্ট মঞ্চের চারপাশে থাকবে গাছের সারি৷ মঞ্চের তলায় জলে থাকবে মাছ৷ সেখানে মাছ ধরার জন্য পারে বাঁশের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে৷ মঞ্চটি দেখলে মনে হবে সেটি জলে ভাসছে৷ এর জন্য হিডকোর ইকো-ট্যুরিজম পার্কে ৪ একর জমি নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা৷ পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'সম্ভবত ১ জুলাই এই মঞ্চের উদ্বোধন হবে৷ মূলত নাটকের দলগুলির কথা ভেবেই প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া ধার্য হচ্ছে দু'হাজার টাকা৷ তবে অন্যরাও অনুষ্ঠান করতে পারবেন৷' বর্ষা ছাড়া অন্য সময় সেখানে নানা অনুষ্ঠান করা যাবে৷
বছর দুয়েক আগেই এই প্রকল্পের ভাবনা শুরু৷ তখনই ঠিক হয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে নিউটাউনে হিডকোর ইকো-ট্যুরিজম পার্কের পাশে একটি খোলা মঞ্চ তৈরি করা হবে৷ রোমের এম্ফিথিয়েটারে যেমন নাটক, ষাঁড়ের লড়াই হয়, তেমন এখানেও খোলা পরিবেশে নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে৷ প্রিয়তোষবাবুর কথায়, 'গোটা এলাকা নীচু জমি হওয়ায় কেএমডিএ কাজ শুরু করতে পারছিল না৷ কারণ সেখানে সব সময় জল জমে থাকে৷ বিশেষত বর্ষায় ওই এলাকা জলে ভেসে যেত৷ সমস্যা মেটাতে ঠিক হয়, জলের উপরেই মঞ্চ তৈরি হবে৷' সেখানে যাওয়ার রাস্তা জলের উপরেই তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য জলাশয়ের পাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হবে না৷ শুধু মুক্তমঞ্চটি থাকবে ৩৪টি কংক্রিটের পিলারের উপর৷ তার উপরেই থাকবে সাজঘর, ব্যাক স্টেজ৷ আলো ও মাইক লাগানোর জন্য মঞ্চের উপরে ছোট ছাদের ধাঁচে ছাউনি থাকবে৷ মঞ্চের দু'পাশে সেতু হচ্ছে৷ অনুষ্ঠান না থাকলে ওই ব্রিজে উঠে জলাশয়ের উপর ঘুরতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷
বাকি এলাকা ভরাট করে দর্শকাসন তৈরি হবে৷ গ্যালারির মতো আসনে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রেও গ্যালারি কংক্রিটের হবে না৷ তার পরিবর্তে ইট ব্যবহার করা হবে৷ সেখানে যাওয়ার জন্য দুটি প্রবেশ পথ থাকছে৷ এর মধ্যে একটি গেট হচ্ছে পার্কিং এলাকার পাশেই৷ গ্যালারির পরেই থাকছে ঘাসের খোলা জমি, এ ছাড়া দর্শকাসনের পিছনে মাটির উঁচু পাহাড় তৈরি হচ্ছে৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলো ও শব্দ ব্যবহারের জন্য দর্শকাসনের শেষ সারিতে থাকছে একটি মেশিন রুম ও স্পট লাইট বুথ৷ আর গ্যালারির পিছনেই ঘাসের ধাপ করা হচ্ছে৷ সেখানে গাছের পাশাপাশি খাবারের স্টল থাকবে৷ গাড়ি পার্কিং-এর জন্য নির্দিষ্ট জোন বানানো হবে৷
জলা এলাকায় কী ভাবে এই সব ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ৷ বারেবারে আলোচনার পরে ঠিক হয় ওই জল বের করে মাটি ফেলে এলাকা ভরাট করা হবে৷ সেইমতো বছর দেড়েক আগে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়৷ প্রিয়তোষবাবু বলছেন, 'ইকো পার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, প্রকৃতি নষ্ট না করে, আগামী বর্ষার আগেই রাজ্যের সবথেকে বড় মুক্তমঞ্চের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে৷' পরিবেশবিদ ধ্রুবজ্যোতি ঘোষও জানাচ্ছেন এই প্রকল্পে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে না৷ কংক্রিট বা মেটাল দিয়ে বড় কোনও ইমারত করলে সমস্যা হত৷ কিন্ত্ত এ ক্ষেত্রে যেহেতু শুধু পিলারের উপর গোটা মুক্ত
মঞ্চ তৈরি হবে, তাই জলাশয় বা জলজ প্রাণীর কোনও ক্ষতি হবে না৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/kmda-building-amphitheatre-at-eco-park-newtown-kolkata/articleshow/36617730.cms?
No comments:
Post a Comment