Monday, June 2, 2014

খনিতে আগুন, বিপন্ন অণ্ডালের দুই জনপদ

খনিতে আগুন, বিপন্ন অণ্ডালের দুই জনপদ

AGUN-GOUR
আসানসোল: পরিত্যক্ত খনিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বিপন্ন বর্ধমান জেলার অণ্ডালের কাছে দু'টি জনপদ৷ পায়ের তলার মাটি ক্রমে তেতে উঠছে৷ খনির দিক থেকে ছুটে আসছে আগুনের হলকা৷

গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে ১১টি জায়গা দিয়ে৷ পরিস্থিতি স্থানীয় মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ রবিবার রাত পর্যন্ত মাত্র একটি জায়গায় গর্ত ভরাট করে আগুন বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে৷ বিপর্যয় মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের হেনস্থার শিকার হয়েছেন ইসিএলের অফিসাররা৷ খনির ভিতর এ ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য ইসিএলকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি৷

অণ্ডাল থানার হরিশপুরে পরিত্যক্ত ওই খনিতে ভূগর্ভে আগুন লাগে শনিবার৷ ওই দিন বিকালে প্রথমে ৩-৪ জায়গা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁরাই প্রথম ইসিএল কর্তাদের খবর দেন৷ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সফল সিন্হা বলেন, 'ইসিএলের কাজোড়া এরিয়া অফিসে এলাকার মানুষ খবর দিলেও তারা কোন পাত্তাই দেয়নি প্রথমে৷ সময় মতো ব্যবস্থা নিলে আগুন এত ছড়িয়ে পড়তে পারতো না৷' রবিবার ভোরে দেখা যায়, ওই এলাকার ৯টি জায়গা দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে৷ বেলা গড়াতে আরও ২টি জায়গা দিয়ে আগুনের হলকা বেরোতে দেখা যায়৷ ওই খনির কাছেই দু'টি গ্রাম ধাণ্ডাডি ও হরিশপুরের মানুষ এর ফলে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন৷

খনিটি থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দুরে ধাণ্ডাডি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন পাল বলেন, 'আগুনের তীব্রতা এমন যে গত ৮ ঘণ্টায় মাত্র একটি জায়গায় আগুন বেরোনো বন্ধ করতে পেরেছে ইসিএল৷ আমরা গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছি৷ গরম কালো ধোঁয়া যেভাবে গ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে, তাতে আমাদের সুস্থ ভাবে থাকাই অসম্ভব হয়ে উঠেছে৷ তাছাড়া গ্রামেও মাটির নীচে আগুন টের পাচ্ছি আমরা৷'

আগুন জ্বলতে থাকা খনিটির থেকে মাত্র ১০০ মিটার দুরে হরিশপুরের বাবলু চৌধুরী বলেন, 'যে কোন সময় মাটি ধসে গোটা গ্রাম ধসে যেতে পারে বলে ভয় পাচ্ছি আমরা৷' ইসিএলের কারিগরি সচিব নিলাদ্রী রায় বলেন, 'একসময় ওখানে বেআইনি খনন চলতো৷ আমরা ছাই দিয়ে পরে ভরাট করে দিই৷ কিন্ত্ত দু'দিনের বৃষ্টিতে সেই ছাই সরে যাওয়ায় বাইরে থেকে হাওয়া ঢুকে আগুন ধরে গিয়েছে৷' কিন্ত্ত সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা রামচন্দ্র সিং এবং সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী কিন্ত্ত এই ঘটনার জন্য ইসিএলকেই দায়ী করেন৷

No comments:

Post a Comment