অনলাইন ভর্তি নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত কলেজে
এই সময়: সপ্তাহের প্রথম দিনেও কলকাতা ও শহরতলির কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া ঘিরে ধোঁয়াশা জারি রইল৷ উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর তিন দিন কেটে গেলেও, শহরের বেশ কিছু কলেজ এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি৷ ফলে কলেজে কলেজে কী ভাবে ভর্তি হবে, বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও পাস কোর্সে যোগ্যতামানই বা কী, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও তথ্য সামনে না-আসায় বিপাকে আবেদনকারীরা৷
সোমবার মণীন্দ্র কলেজের অ্যাডমিশন কমিটি বৈঠকে বসে৷ কিন্ত্ত এদিনও সেখান থেকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত৷ তাঁর বক্তব্য, 'যারা অনলাইন অ্যাডমিশনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করে, শেষবেলায় তারা প্রচুর টাকা দাবি করছে৷ কাজেই কী ভাবে অ্যাডমিশন হবে, তা এদিনও ঠিক করা যায়নি৷' সুরেন্দ্রনাথ কলেজও এদিন কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি৷ সে ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কের সঙ্গে বনিবনা না-হওয়ায় থমকে রয়েছে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া৷ শ্যামাপ্রসাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দীপ জানা বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যাওয়ায় খুবই ধন্দের মধ্যে পড়েছি৷ ভর্তির বিষয়ে সে কারণেই সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হচ্ছে৷ আশা করছি, আগামী ৫ জুনের মধ্যে জানাতে পারব কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে৷' ফলে এই কলেজে এসেই ফর্ম তোলা এবং জমা দিতে হবে আবেদনকারীদের৷ মৌলানা আজাদ কলেজও ৫ তারিখ থেকে অনলাইনে ফর্ম দেবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মমতা রায়৷
জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে অনিশ্চয়তার সুর৷ তিনি বলেছেন, 'ধরে নেওয়া যায়, অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া অনলাইনেই হবে৷ কিন্ত্ত কবে থেকে শুরু করতে পারব তা এখনই বলতে পারছি না৷ উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বদল হওয়ায়, আমাদেরও সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হচ্ছে৷' গত বছরের পরিকাঠামো থাকায় এ বছরও ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনেই করানো হবে বলে জানিয়েছেন ক্যালকাটা গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ দত্ত৷ কিন্ত্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বদল হওয়ায় ৯ জুনের আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না এই কলেজ৷ একই হাল হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে৷ অধ্যক্ষ প্রশান্ত মাহাতো বলেছেন, 'যে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি অনলাইন অ্যাডমিশনের প্রক্রিয়াটি দেখভাল করে, কাজের চাপ থাকায় তারা ৯ জুনের আগে কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়েছে৷'
এরই মধ্যে অফলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া এদিন শুরু করে দিয়েছে কিছু কলেজ৷ বিধান সরণীর ক্ষুদিরাম বসু সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ সুবীর কুমার দত্তের কথায়, 'আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে করার ইচ্ছে ছিল৷ কিন্ত্ত কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু হবে জেনে সে কাজে হাত দিইনি৷ এখন শেষ মুহূর্তে কিছু করার নেই, তাই অনলাইনে ফর্ম পাওয়া গেলেও ভর্তির সিংহভাগ প্রক্রিয়াই হবে অফলাইনে৷' একই কথা শুনিয়েছেন নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুকোমল দত্ত৷ তাঁর বক্তব্য, 'অনলাইনে অ্যাডমিশন করানোর অর্ধেক কাজ করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়েছিল৷ তাই এখন কিছুই করার নেই৷ প্রক্রিয়াটি অফলাইনেই করতে হচ্ছে৷' নেতাজিনগর কলেজে (দিবা) ফর্ম ৪ জুন থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ সেক্ষেত্রে দূরের পড়ুয়ারাই কেবল অনলাইন আবেদন করতে পারবেন৷ এদিন থেকে অফলাইনে ফর্ম দিতে শুরু করেছে নেতাজিনগর কলেজের সান্ধ্য বিভাগও৷
সোমবার মণীন্দ্র কলেজের অ্যাডমিশন কমিটি বৈঠকে বসে৷ কিন্ত্ত এদিনও সেখান থেকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত৷ তাঁর বক্তব্য, 'যারা অনলাইন অ্যাডমিশনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করে, শেষবেলায় তারা প্রচুর টাকা দাবি করছে৷ কাজেই কী ভাবে অ্যাডমিশন হবে, তা এদিনও ঠিক করা যায়নি৷' সুরেন্দ্রনাথ কলেজও এদিন কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি৷ সে ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কের সঙ্গে বনিবনা না-হওয়ায় থমকে রয়েছে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া৷ শ্যামাপ্রসাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দীপ জানা বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যাওয়ায় খুবই ধন্দের মধ্যে পড়েছি৷ ভর্তির বিষয়ে সে কারণেই সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হচ্ছে৷ আশা করছি, আগামী ৫ জুনের মধ্যে জানাতে পারব কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে৷' ফলে এই কলেজে এসেই ফর্ম তোলা এবং জমা দিতে হবে আবেদনকারীদের৷ মৌলানা আজাদ কলেজও ৫ তারিখ থেকে অনলাইনে ফর্ম দেবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মমতা রায়৷
জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে অনিশ্চয়তার সুর৷ তিনি বলেছেন, 'ধরে নেওয়া যায়, অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া অনলাইনেই হবে৷ কিন্ত্ত কবে থেকে শুরু করতে পারব তা এখনই বলতে পারছি না৷ উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বদল হওয়ায়, আমাদেরও সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হচ্ছে৷' গত বছরের পরিকাঠামো থাকায় এ বছরও ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনেই করানো হবে বলে জানিয়েছেন ক্যালকাটা গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ দত্ত৷ কিন্ত্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বদল হওয়ায় ৯ জুনের আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না এই কলেজ৷ একই হাল হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে৷ অধ্যক্ষ প্রশান্ত মাহাতো বলেছেন, 'যে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি অনলাইন অ্যাডমিশনের প্রক্রিয়াটি দেখভাল করে, কাজের চাপ থাকায় তারা ৯ জুনের আগে কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়েছে৷'
এরই মধ্যে অফলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া এদিন শুরু করে দিয়েছে কিছু কলেজ৷ বিধান সরণীর ক্ষুদিরাম বসু সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ সুবীর কুমার দত্তের কথায়, 'আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে করার ইচ্ছে ছিল৷ কিন্ত্ত কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু হবে জেনে সে কাজে হাত দিইনি৷ এখন শেষ মুহূর্তে কিছু করার নেই, তাই অনলাইনে ফর্ম পাওয়া গেলেও ভর্তির সিংহভাগ প্রক্রিয়াই হবে অফলাইনে৷' একই কথা শুনিয়েছেন নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুকোমল দত্ত৷ তাঁর বক্তব্য, 'অনলাইনে অ্যাডমিশন করানোর অর্ধেক কাজ করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়েছিল৷ তাই এখন কিছুই করার নেই৷ প্রক্রিয়াটি অফলাইনেই করতে হচ্ছে৷' নেতাজিনগর কলেজে (দিবা) ফর্ম ৪ জুন থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ সেক্ষেত্রে দূরের পড়ুয়ারাই কেবল অনলাইন আবেদন করতে পারবেন৷ এদিন থেকে অফলাইনে ফর্ম দিতে শুরু করেছে নেতাজিনগর কলেজের সান্ধ্য বিভাগও৷
http://eisamay.indiatimes.com/state/Confusion-rules-regarding-online-admission-in-West-Bengal-colleges/articleshow/35962563.cms
No comments:
Post a Comment