যুদ্ধাপরাধী বিচার- বড় জায়গা থেকে চাপ থাকলেও ॥ ছাড় নয়
এসএসএফের দরবারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী
বিডিনিউজ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বড় জায়গা’ থেকে চাপ থাকলেও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে তার সরকার। রবিবার নিজ কার্যালয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে অন্যায়কে মেনে নেব- এটা হতে পারে না। বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। জাতির পিতা হত্যাকারীদের বিচার করে সেই কলঙ্কমুক্ত করেছি এদেশকে। এখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। এটাও কঠিন কাজ। অনেক বড় জায়গা থেকে চাপ আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের সেই গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চোখের সামনে আমরা দেখেছি। এই অপরাধীদের বিচার, এই কঠিন দায়িত্বটাও আমরা পালন করছি। ইতোমধ্যে বিচারের রায় বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি।
একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করতে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনভাবেই বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়। এরই মধ্যে ১০ জনের বিচার শেষে রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, যাদের সাতজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য তা অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। একজনের মৃত্যু হওয়ায় বিচার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি চলছে ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপীল শেষে গত ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ সময় এই জামায়াত নেতাকে ফাঁসিতে না ঝুলাতে জাতিসংঘের মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন বলে এর আগে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকার কথা তুলে ধরে এসএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওপরে আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় করি না। আল্লাহর কাছে মাথা নত করি, আর কারও কাছে করি না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- যাদের আমরা যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি তাদের অনেকেই তা চায় না। এ জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু সেগুলোই মোকাবেলা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এ বিশ্বাস আমার আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি সময় আমাদের লাগবে না। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। তার আগেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। সেভাবেই আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং সকল কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ বিদেশী অর্থের নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব অর্থের ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার একটাই দায়িত্ব। ক্ষমতা আমার কাছে কিছুই না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি আজকে একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আমাদের যে বাজেট আগে সিংহভাগই বিদেশের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, আমরা কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পেশাগত কাজে দক্ষতার পরিচয় দেয়ায় এসএসএফের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অনেক সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান এসেছেন। এসএসএফের দায়িত্ব পালনে তারা মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে যখন তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তারা এসএসএফের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দক্ষতা উন্নয়নে এসএসএফ সদস্যদের আরও মনোযোগী হতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজকে শুধু বাংলাদেশে না, সারাবিশ্বেই একটা চ্যালঞ্জের মুখে পড়েছে। সেটা মোকাবেলা করতে গেলে আমাদেরও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের অনুধাবন করতে হবে, অনুসরণ করতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে।
নিরাপত্তার জন্য নিজেকে যেন জনবিচ্ছিন্ন না করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্যও এসএসএফের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু অনুরোধ করব যে, আমি যেন একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ি সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। জনগণের জন্যই তো রাজনীতি। সে জনগণের কাছে না যেতে পারলে আমার বেঁচে থাকার সার্থকতা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের সেই গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চোখের সামনে আমরা দেখেছি। এই অপরাধীদের বিচার, এই কঠিন দায়িত্বটাও আমরা পালন করছি। ইতোমধ্যে বিচারের রায় বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি।
একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করতে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনভাবেই বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়। এরই মধ্যে ১০ জনের বিচার শেষে রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, যাদের সাতজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য তা অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। একজনের মৃত্যু হওয়ায় বিচার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি চলছে ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপীল শেষে গত ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ সময় এই জামায়াত নেতাকে ফাঁসিতে না ঝুলাতে জাতিসংঘের মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন বলে এর আগে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকার কথা তুলে ধরে এসএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওপরে আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় করি না। আল্লাহর কাছে মাথা নত করি, আর কারও কাছে করি না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- যাদের আমরা যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি তাদের অনেকেই তা চায় না। এ জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু সেগুলোই মোকাবেলা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এ বিশ্বাস আমার আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি সময় আমাদের লাগবে না। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। তার আগেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। সেভাবেই আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং সকল কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ বিদেশী অর্থের নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব অর্থের ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার একটাই দায়িত্ব। ক্ষমতা আমার কাছে কিছুই না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি আজকে একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আমাদের যে বাজেট আগে সিংহভাগই বিদেশের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, আমরা কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পেশাগত কাজে দক্ষতার পরিচয় দেয়ায় এসএসএফের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অনেক সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান এসেছেন। এসএসএফের দায়িত্ব পালনে তারা মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে যখন তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তারা এসএসএফের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দক্ষতা উন্নয়নে এসএসএফ সদস্যদের আরও মনোযোগী হতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজকে শুধু বাংলাদেশে না, সারাবিশ্বেই একটা চ্যালঞ্জের মুখে পড়েছে। সেটা মোকাবেলা করতে গেলে আমাদেরও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের অনুধাবন করতে হবে, অনুসরণ করতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে।
নিরাপত্তার জন্য নিজেকে যেন জনবিচ্ছিন্ন না করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্যও এসএসএফের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু অনুরোধ করব যে, আমি যেন একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ি সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। জনগণের জন্যই তো রাজনীতি। সে জনগণের কাছে না যেতে পারলে আমার বেঁচে থাকার সার্থকতা থাকবে না।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/
No comments:
Post a Comment