সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে সামরিক আদালত তাঁদের সাজা দিয়েছেন
সাজাপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা আটকের ২৮ মাস পর জেলে
আটকের ২৮ মাস পর অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে সেনা প্রশাসন। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে সামরিক আদালত তাঁদের সাজা দিয়েছেন৷ গত ২৩ এপ্রিল তাঁদের কারা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই দুই কর্মকর্তা হলেন লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফ ও মেজর (অব.) এ কে এম জাকির হোসেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
কারা প্রশাসনের সূত্র জানায়, দুই কর্মকর্তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৪ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এহসান ইউসুফ কাশিমপুর-২ এবং জাকির হোসেন কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন। হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আতিকুর রহমান ও কাশিমপুর-২-এর জেলার মজিবুর রহমান এঁদের অবস্থান সম্পর্কে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
কারা সূত্রটি জানায়, দুই কর্মকর্তার সঙ্গে পৃথক দুটি সোপর্দ পরোয়ানাও কারাগারে পাঠানো হয়। লগ এরিয়ার সহকারী অ্যাডজুট্যান্ট অ্যান্ড কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (এএঅ্যান্ডকিউএমজি) লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ পরোয়ানায় সই করেন। দুটি পরোয়ানায় একই ধরনের বক্তব্য রয়েছে।
এহসান ইউসুফের পরোয়ানায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ জুন গঠিত ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে এহসানকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এই আদালত ২০১৩ সালের ১০ জুলাই রায় দেন। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে এবং রায় সেনাপ্রধান দ্বারা যথাযথ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়। পরোয়ানায় আরও বলা হয়, সেনা প্রবিধানের ২৮৪ ও ২৮৫ ধারা অনুসারে এই কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা পাবেন।
জাকির হোসেনের পরোয়ানায় বলা হয়, তাঁর বিচারের জন্য ২০১৩ সালের ১৯ জুন ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয়। এই আদালত এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই তাঁকে দুই বছরের সাজা দেন। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়।
আর্মি আইনের ১৩৫ ও ১৩৬ ধারায় বলা হয়েছে, সাজার মেয়াদ তিন মাসের বেশি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেসামরিক কারাগারে পাঠাতে হবে।
দুই সাবেক কর্মকর্তার পরিবারের অভিযোগ, দুজনকেই এক বছর আটক রাখার পর বিচার শুরু হয়৷ আবার বিচারের রায় ঘোষণার এক বছর পর তাঁদের বেসামরিক কারাগারে পাঠানো হয়।
তাঁদের আটক রাখার ব্যাপারে জানতে চেয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ই-মেইল পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
এহসান ইউসুফের পারিবারিক সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মেজর পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি পেয়ে লে. কর্নেল পদে যোগ েদন। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশিত হয়। এরপর ২০০৯ সালের ৫ মার্চ আবার তাঁকে অকালীন অবসর দেওয়া হয়।
মেজর জাকিরকে ২০০৯ সালের নভেম্বরে অকালীন অবসর দেওয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত। এঁদের সংখ্যা ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এঁদের মধ্যে তিনজনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। এ তথ্যের ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনা তদন্তে ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। এরপর ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, ওই সংবাদ সম্মেলনের আগে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে সেনানিবাসের পাশে মাটিকাটা এলাকার বাসা থেকে এহসান ইউসুফকে এবং ৩১ ডিসেম্বর ইন্দিরা রোডে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দুই কর্মকর্তা বেসামরিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে তাঁদের ঢাকা মহানগর আদালতে নেওয়া হয়। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান তাঁর খাস কামরায় এহসান ইউসুফের এবং কেশব রায় চৌধুরী তাঁর খাস কামরায় জাকির হোসেনের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অবশ্য ১৯ জানুয়ারি সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে দুই কর্মকর্তার জবানবন্দির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া হয়।
পরে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, এ ঘটনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মিলে প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও ছয়টিসহ মোট ১১টি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত আদালত ৭৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করেন। আদালতের সুপারিশের পর ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এঁদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল ও একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলও ছিলেন। ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না, জানা যায়নি।
http://www.prothom-alo.com/ bangladesh/article/242662/%E0% A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6% BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0% E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0% A6%A4_%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0% A6%87_%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0% A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%95%E0% A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6% 95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4% E0%A6%BE_%E0%A6%86%E0%A6%9F% E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0_% E0%A7%A8%E0%A7%AE_%E0%A6%AE% E0%A6%BE%E0%A6%B8_%E0%A6%AA% E0%A6%B0
সাজাপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা আটকের ২৮ মাস পর জেলে
আটকের ২৮ মাস পর অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে সেনা প্রশাসন। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে সামরিক আদালত তাঁদের সাজা দিয়েছেন৷ গত ২৩ এপ্রিল তাঁদের কারা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই দুই কর্মকর্তা হলেন লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফ ও মেজর (অব.) এ কে এম জাকির হোসেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
কারা প্রশাসনের সূত্র জানায়, দুই কর্মকর্তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৪ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এহসান ইউসুফ কাশিমপুর-২ এবং জাকির হোসেন কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন। হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আতিকুর রহমান ও কাশিমপুর-২-এর জেলার মজিবুর রহমান এঁদের অবস্থান সম্পর্কে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
কারা সূত্রটি জানায়, দুই কর্মকর্তার সঙ্গে পৃথক দুটি সোপর্দ পরোয়ানাও কারাগারে পাঠানো হয়। লগ এরিয়ার সহকারী অ্যাডজুট্যান্ট অ্যান্ড কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (এএঅ্যান্ডকিউএমজি) লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ পরোয়ানায় সই করেন। দুটি পরোয়ানায় একই ধরনের বক্তব্য রয়েছে।
এহসান ইউসুফের পরোয়ানায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ জুন গঠিত ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে এহসানকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এই আদালত ২০১৩ সালের ১০ জুলাই রায় দেন। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে এবং রায় সেনাপ্রধান দ্বারা যথাযথ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়। পরোয়ানায় আরও বলা হয়, সেনা প্রবিধানের ২৮৪ ও ২৮৫ ধারা অনুসারে এই কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা পাবেন।
জাকির হোসেনের পরোয়ানায় বলা হয়, তাঁর বিচারের জন্য ২০১৩ সালের ১৯ জুন ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয়। এই আদালত এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই তাঁকে দুই বছরের সাজা দেন। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়।
আর্মি আইনের ১৩৫ ও ১৩৬ ধারায় বলা হয়েছে, সাজার মেয়াদ তিন মাসের বেশি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেসামরিক কারাগারে পাঠাতে হবে।
দুই সাবেক কর্মকর্তার পরিবারের অভিযোগ, দুজনকেই এক বছর আটক রাখার পর বিচার শুরু হয়৷ আবার বিচারের রায় ঘোষণার এক বছর পর তাঁদের বেসামরিক কারাগারে পাঠানো হয়।
তাঁদের আটক রাখার ব্যাপারে জানতে চেয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ই-মেইল পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
এহসান ইউসুফের পারিবারিক সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মেজর পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি পেয়ে লে. কর্নেল পদে যোগ েদন। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশিত হয়। এরপর ২০০৯ সালের ৫ মার্চ আবার তাঁকে অকালীন অবসর দেওয়া হয়।
মেজর জাকিরকে ২০০৯ সালের নভেম্বরে অকালীন অবসর দেওয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত। এঁদের সংখ্যা ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এঁদের মধ্যে তিনজনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। এ তথ্যের ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনা তদন্তে ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। এরপর ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, ওই সংবাদ সম্মেলনের আগে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে সেনানিবাসের পাশে মাটিকাটা এলাকার বাসা থেকে এহসান ইউসুফকে এবং ৩১ ডিসেম্বর ইন্দিরা রোডে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দুই কর্মকর্তা বেসামরিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে তাঁদের ঢাকা মহানগর আদালতে নেওয়া হয়। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান তাঁর খাস কামরায় এহসান ইউসুফের এবং কেশব রায় চৌধুরী তাঁর খাস কামরায় জাকির হোসেনের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অবশ্য ১৯ জানুয়ারি সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে দুই কর্মকর্তার জবানবন্দির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া হয়।
পরে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, এ ঘটনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মিলে প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও ছয়টিসহ মোট ১১টি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত আদালত ৭৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করেন। আদালতের সুপারিশের পর ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এঁদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল ও একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলও ছিলেন। ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না, জানা যায়নি।
http://www.prothom-alo.com/
No comments:
Post a Comment