হকারদের হাতে এখন বিশ্বকাপের পতাকা
ওমর ফারুক রুবেল
প্রকাশ : ০৩ জুন, ২০১৪
তমিজউদ্দিনের কাঁধে ব্যাগ। ব্যাগে প্রায় শ’পাঁচেক পতাকা। ঢাকা শহরের পাড়া-মহল্লায় ঘুরে তমিজউদ্দিন বিক্রি করেন পতাকা। আগে ফেরি করতেন কাঁচামালের। বিশ্বকাপ ফুটবল তার পেশা বদলে দিয়েছে। তমিজউদ্দিনের মতো অনেকেই ফুটপাতে পতাকার পসরা সাজিয়েছেন। কেউ পায়ে হেঁটে ফেরি করে বেড়াচ্ছেন।
চার বছর পর বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতে ওঠার অপেক্ষায় গোটা দেশ। রাত জেগে খেলা দেখে মেসি-নেইমারদের সমর্থন দেয়ার জন্য দর্শকদের অন্যতম চাহিদা জার্সি ও পতাকা। এসব পতাকা কেউ তৈরি করেন। কেউবা বিক্রি করেন। তাদেরই একজন তমিজউদ্দিন। সোমবার যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা তার সঙ্গে। তমিজ জানান, ‘বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আমি পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। ২০০২ সাল থেকে পতাকা বিক্রি করি। তবে সারা বছর নয়। বিশ্বকাপের এক মাস আগে-পরে মিলিয়ে ১৫ দিন। আয় মন্দ হয় না। জানালেন, বাংলাদেশের পতাকাও বিক্রি হয়। এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ টাকা দামের পতাকা তার ঝুলিতে। কেরানীগঞ্জের পতাকার কারিগর সুমন মিয়া। দুটি কক্ষে ১০টি সেলাই মেশিন নিয়ে তার কারবার। প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ’ পতাকা তৈরি হয় তার কারখানায়। সুমনের কথা, ‘প্রতিদিন যত অর্ডার পাই, তা সরবরাহ করতে পারি না। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসে পতাকা নিয়ে যান। আমরা খুচরা বিক্রি করি না। কমপক্ষে একশ পতাকার লট একসঙ্গে বিক্রি করি। আমি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা বানাই। অন্য দেশের পতাকার তেমন চাহিদা নেই।’ সুমন মিয়ার পাশেই শংকরের কারখানা। শংকরের পতাকা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও যায়। নেপাল ও ভারতেও যায় তার কারখানায় তৈরি পতাকা। শংকর জানান, ‘আমার কারখানায় তৈরি পতাকার মান উন্নত। দামও তুলনামূলক একটু বেশি। আমি মূলত বড় বড় শপিংমলের শোরুমগুলোতে পতাকা সরবরাহ করি।’ রংপুরের শহীদুল আগে রাস্তার ধারে টি-শার্ট ও গেঞ্জি বিক্রি করতেন। বিশ্বকাপ এলে ঢাকায় চলে এসেছেন পতাকা ফেরি করতে। তার ঝুলিতে ২০টি দেশের পতাকা। শহীদুল জানান, ‘রংপুর সদরে রাস্তার পাশে কাপড় ফেরি করতাম।
No comments:
Post a Comment