জার্মানদের আলোচিত ৫ তারকা
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষে আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ব্রাজিল আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সঙ্গে ফেভারিটের তালিকায় জার্মানিও। আর ২০তম আসরে জার্মানদের যে কয়েক ফুটবলার আলো ছড়াবেন তাদের মধ্যে ফিলিপ লাম, টমাস মুলার, ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, মারিও গোয়েটজে কিংবা মার্কো রিউস অন্যতম। ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
ফিলিপ লাম ॥ ২০১০ সাল থেকেই জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফিলিপ লাম। ব্রাজিল বিশ্বকাপেও দলের কা-ারি এই রক্ষণসৈনিক। এটি হবে তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ। এক দশক আগে জার্মানির জার্সি পরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেছিলেন ফিলিপ লাম। ইতোমধ্যেই শততম (১০৫) ম্যাচ খেলার মাইলফলক ও স্পর্শ করেছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতীয় দলের জার্সি পরে এখনও বড় কোন টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা। তবে ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। শুধু জাতীয় দলের জার্সি পরেই নয় ক্লাবেও ঔজ্জ্বল্য ছড়িছেন ফিলিপ লাম। এক যুগ ধরেই জার্মান বুন্দেস লীগার সেরা দল বেয়ার্ন মিউনিখের মূল ভরসা ফিলিপ লাম। গত মৌসুমেও বুন্দেস লীগা, জার্মান কাপের শিরোপা জিতাতে ফিলিপ লাম রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এবার ফিলিপ লামের সামনে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। নতুন চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ দুই যুগ পর জার্মানদের শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসানোরও সুযোগও।
ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ॥ ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে রেনে এ্যাডলার কাঁধে চোট পান। এর পরই জার্মান দলে সুযোগ মিলে ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের। কিন্তু এর পর আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি ২৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। শুধু জার্মানির জাতীয় দলেই নয়, গত কয়েক মৌসুম ধরে যে শক্তি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে বেয়ার্ন মিউনিখ তাঁর অন্যতম কারিগরও এই গোলরক্ষক। অসাধারণ পারফর্মেন্স করে জার্মান ফুটবলের আস্থার প্রতীক হয়ে গেলেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপেও জোয়াকিম লো আস্থা রাখছেন তাঁর উপর। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কাঁধের চোটের কারণে সংশয়ে ছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। কিন্তু সব সংশয়কে উড়িয়ে দিয়ে গত সপ্তাহেই জোয়াকিম লোর অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি।
থমাস মুলার ॥ মাত্র ২৪ বছর বয়স। এখনই বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে জায়গা করে নিয়েছেন থমাস মুলার। চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই তাঁর বিস্ফোরণ। সেবার পাঁচ গোল করে জার্মানির সেরা গোলদাতা হিসেবে জায়গা করেনিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে আরও তিনটি গোল করাতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরুণ উদীয়মান ফুটবলার হিসেবে সেরা পুরস্কারটা বাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। জার্মান এই তারকা ফুটবলার খেলেন বেয়ার্ন মিউনিখের হয়ে। জাতীয় দলের হয়ে এখনও কোন টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। তবে এই বয়সেই ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব পুরস্কারই জিতে নিয়েছেন থমাস মুলার। কারণ গত কয়েক মৌসুম ধরেই যে ক্লাব ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছে বেয়ার্ন মিউনিখ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এবং ক্লাব বিশ্বকাপও জয়ের স্বাদ পেয়েছেন থমাস মুলার। এখন বাকি শুধু বিশ্বকাপের ট্রফিটাকেই স্পর্শ করা।
মারিও গোয়েটজে ॥ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেই নিজের জাত ছিনিয়েছেন মারিও গোয়েটজে। তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যেই টানা দুইবার জার্মান বুন্দেস লীগার শিরোপা জিতে ডর্টমুন্ড। আর তাঁর ফুটবলীয় দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে গত মৌসুমেই দলে টেনে নেয় বেয়ার্ন মিউনিখ। এবার জার্মান ভক্তদের ধারণা ব্রাজিল বিশ্বকাপেই দ্যুতি ছড়াবেন ২১ বছর বয়সী এই এ্যাট্টাকিং মিডফিল্ডার। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে গত মৌসুমে বেয়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেও। মৌসুমের প্রথমার্ধটা কেটেছে ইনজুরিতে। যে কারণে বেশির ভাগ সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। তবে চোট কাটিয়ে বেয়ার্নের সঙ্গে যোগ দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। ২৭ ম্যাচ খেলেই প্রতিপক্ষের জালে দশ বার বল জড়িয়েছেন মারিও গোয়েটজে। কৌশলগত দক্ষতা আর ফুটবলীয় নৈপুণ্যের কারণে তাঁকে ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসির সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে।
মার্কো রিউস ॥ ২০১১-১২ মৌসুমে জার্মানির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন মার্কো রিউস। এর পরই বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ থেকে শ্বৈশবের ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে ফিরে আসেন তিনি। এর পর থেকেই দলের সেরা তারকা বনে যান মার্কো রিউস। মিডফিল্ডারের ভূমিকায় থাকলেও বল নিয়ে খুব দ্রুতই প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। তার দুই পায়েই শট এবং গোল করার দক্ষতা রয়েছে। তাঁর শট করার কৌশলও বেশ সুনিপুণ। তাঁর প্রজন্মে জার্মানির সেরা ফুটবলার হিসেবেই বিবেচিত। জার্মানির হয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৭ বার বল জড়িয়েছেন তিনি। এবার অপেক্ষা বিশ্বকাপে মেলে ধরার। দীর্ঘ দুই যুগ পর দলকে শিরোপা জেতানোর চ্যালেঞ্জও।
ফিলিপ লাম ॥ ২০১০ সাল থেকেই জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফিলিপ লাম। ব্রাজিল বিশ্বকাপেও দলের কা-ারি এই রক্ষণসৈনিক। এটি হবে তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ। এক দশক আগে জার্মানির জার্সি পরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেছিলেন ফিলিপ লাম। ইতোমধ্যেই শততম (১০৫) ম্যাচ খেলার মাইলফলক ও স্পর্শ করেছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতীয় দলের জার্সি পরে এখনও বড় কোন টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা। তবে ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। শুধু জাতীয় দলের জার্সি পরেই নয় ক্লাবেও ঔজ্জ্বল্য ছড়িছেন ফিলিপ লাম। এক যুগ ধরেই জার্মান বুন্দেস লীগার সেরা দল বেয়ার্ন মিউনিখের মূল ভরসা ফিলিপ লাম। গত মৌসুমেও বুন্দেস লীগা, জার্মান কাপের শিরোপা জিতাতে ফিলিপ লাম রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এবার ফিলিপ লামের সামনে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। নতুন চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ দুই যুগ পর জার্মানদের শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসানোরও সুযোগও।
ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ॥ ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে রেনে এ্যাডলার কাঁধে চোট পান। এর পরই জার্মান দলে সুযোগ মিলে ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের। কিন্তু এর পর আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি ২৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। শুধু জার্মানির জাতীয় দলেই নয়, গত কয়েক মৌসুম ধরে যে শক্তি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে বেয়ার্ন মিউনিখ তাঁর অন্যতম কারিগরও এই গোলরক্ষক। অসাধারণ পারফর্মেন্স করে জার্মান ফুটবলের আস্থার প্রতীক হয়ে গেলেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপেও জোয়াকিম লো আস্থা রাখছেন তাঁর উপর। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কাঁধের চোটের কারণে সংশয়ে ছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। কিন্তু সব সংশয়কে উড়িয়ে দিয়ে গত সপ্তাহেই জোয়াকিম লোর অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি।
থমাস মুলার ॥ মাত্র ২৪ বছর বয়স। এখনই বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে জায়গা করে নিয়েছেন থমাস মুলার। চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই তাঁর বিস্ফোরণ। সেবার পাঁচ গোল করে জার্মানির সেরা গোলদাতা হিসেবে জায়গা করেনিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে আরও তিনটি গোল করাতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরুণ উদীয়মান ফুটবলার হিসেবে সেরা পুরস্কারটা বাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। জার্মান এই তারকা ফুটবলার খেলেন বেয়ার্ন মিউনিখের হয়ে। জাতীয় দলের হয়ে এখনও কোন টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। তবে এই বয়সেই ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব পুরস্কারই জিতে নিয়েছেন থমাস মুলার। কারণ গত কয়েক মৌসুম ধরেই যে ক্লাব ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছে বেয়ার্ন মিউনিখ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এবং ক্লাব বিশ্বকাপও জয়ের স্বাদ পেয়েছেন থমাস মুলার। এখন বাকি শুধু বিশ্বকাপের ট্রফিটাকেই স্পর্শ করা।
মারিও গোয়েটজে ॥ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেই নিজের জাত ছিনিয়েছেন মারিও গোয়েটজে। তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যেই টানা দুইবার জার্মান বুন্দেস লীগার শিরোপা জিতে ডর্টমুন্ড। আর তাঁর ফুটবলীয় দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে গত মৌসুমেই দলে টেনে নেয় বেয়ার্ন মিউনিখ। এবার জার্মান ভক্তদের ধারণা ব্রাজিল বিশ্বকাপেই দ্যুতি ছড়াবেন ২১ বছর বয়সী এই এ্যাট্টাকিং মিডফিল্ডার। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে গত মৌসুমে বেয়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেও। মৌসুমের প্রথমার্ধটা কেটেছে ইনজুরিতে। যে কারণে বেশির ভাগ সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। তবে চোট কাটিয়ে বেয়ার্নের সঙ্গে যোগ দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। ২৭ ম্যাচ খেলেই প্রতিপক্ষের জালে দশ বার বল জড়িয়েছেন মারিও গোয়েটজে। কৌশলগত দক্ষতা আর ফুটবলীয় নৈপুণ্যের কারণে তাঁকে ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসির সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে।
মার্কো রিউস ॥ ২০১১-১২ মৌসুমে জার্মানির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন মার্কো রিউস। এর পরই বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ থেকে শ্বৈশবের ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে ফিরে আসেন তিনি। এর পর থেকেই দলের সেরা তারকা বনে যান মার্কো রিউস। মিডফিল্ডারের ভূমিকায় থাকলেও বল নিয়ে খুব দ্রুতই প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। তার দুই পায়েই শট এবং গোল করার দক্ষতা রয়েছে। তাঁর শট করার কৌশলও বেশ সুনিপুণ। তাঁর প্রজন্মে জার্মানির সেরা ফুটবলার হিসেবেই বিবেচিত। জার্মানির হয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৭ বার বল জড়িয়েছেন তিনি। এবার অপেক্ষা বিশ্বকাপে মেলে ধরার। দীর্ঘ দুই যুগ পর দলকে শিরোপা জেতানোর চ্যালেঞ্জও।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=11&dd=2014-06-02&ni=174782
No comments:
Post a Comment