মোদির নিরাপত্তা টিম জোরদার
হিন্দু জাতীয়তাবাদী নয়া প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি পাকিস্তান ও চীনের প্রতি
ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দুঃসাহসী সাবেক গোয়েন্দাকে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। পাকিস্তান সম্পর্কিত ঘটনাদি মোকাবেলায় অজিত দোভাল নামের ওই নবনিযুক্ত ব্যক্তির দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। মোদির এ পদক্ষেপ থেকে নয়াদিল্লীর চিরাচরিত শত্রু পাকিস্তানের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করারই আভাস বলে কর্মকর্তারা জানান। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
অজিত দোভালের পাশাপাশি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিংকেও উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিদায়ী সরকারের আমলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে মোদি উল্লেখ করে থাকেন। ওই দুই শীর্ষ পদে নিয়োগদানের ঘটনায় ভারতের দুটি জরুরী বহির্নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের উৎস পাকিস্তান ও চীনের মোকাবেলা করার অভিপ্রায়েরই আভাস দেয়। ভারতের মতো ওই দুটি দেশেরও পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। দোভাল বিপজ্জনক বিদ্রোহ দমন মিশনগুলোতে তাঁর অবদানের জন্য অনেক পদক লাভ করেন। তিনি জঙ্গী দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে এসেছেন। তবে তিনি যে সব অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, তাতে বাস্তববাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
১৯৮০-এর দশকে তিনি অমৃতসর শহরের স্বর্ণমন্দিরে চুপিসারে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সে সব থেকে পরে শিখ জঙ্গীদের বিতাড়িত করা হয়। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যের এক শক্তিশালী গেরিলা দলেও অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ দলটি শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তি সই করে।
১৯৯৯-এর ক্রিসমান ইভে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গীরা কাঠমাণ্ডু থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে ছিনতাই করে যখন আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে গিয়েছিল, তখন দোভাল কান্দাহারে ঘটনাস্থলে ছিলেন। জিম্মিদের বিনিময়ে শীর্ষ জঙ্গীদের মুক্তি দেয়া হলে সঙ্কটের নিরসন হয়।
কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য গোলযোগপূর্ণ এলাকায় দীর্ঘকাল চাকরি করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, দোভাল ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাভাবনার মানুষ। তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়। দোভাল (৬৯) এক সময়ে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। মোদি তাঁর পাকিস্তানী প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরীফকে সমঝোতার আগ্রহের নিদর্শন হিসেবে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি পুরস্কার ও শাস্তিদানের নীতিকেও কাজে লাগান।
প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় মোদি নওয়াজ শরীফকে বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই এর ভূখণ্ড হতে ভারতে আক্রমণ চালানো থেকে জঙ্গীদের নিবৃত্ত রাখতে হবে এবং মুম্বাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ভারত দোষারোপ করে থাকে- এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মোদির কঠোর অবস্থান তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ এজেন্ডা ভারতের প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি বা তদ্রুপ সংখ্যক মুসলিমকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, প্রতিবেশী পাকিস্তানের মুসলিমদের তো বটেই! অবশ্য দুই দেশ শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে একমত হয়। মোদির নিযুক্ত আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল সিং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্ত বরাবর ৮০ হাজার সৈন্যের এক কোর গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন করে তাগিদ দিতে পারেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা-সড়ক নির্মাণ ও বিমানবন্দরগুলোকে উন্নত করার এক পরিকল্পনা ক্ষমতা হারানো কংগ্রেস দলও নিয়েছিল কিন্তু তা থামকে যায়। বিজেপির টিকেটে এক পার্লামেন্টারি আসনে জয়ী ভি কে সিং প্রতিরক্ষা আমলাদের মধ্যেমে ওই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবেন বলে মনে হয়। সর্বক্ষমতাশালী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি রিপোর্টিং করার সুযোগ ওই কাজে সিংয়ের পক্ষে সহায়ক হবে। বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সিং সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নই আমার অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিপর্যয়।
হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশের পূর্বাঞ্চলের ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি ভূখন্ড চীন নিজের বলে দাবি করে যাচ্ছে। ভারত এ দাবির বিরোধিতা করে। ওই ভূখন্ডের মধ্যে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যে অধিকাংশই অবস্থিত। চীন একে দক্ষিণ তিব্বত বলে থাকে। কিন্তু মোদি আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমন করতে খুবই আগ্রহী বলে আরেক আভাসও দেখা যায়। তিনি বৃহস্পতিবার চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
অজিত দোভালের পাশাপাশি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিংকেও উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিদায়ী সরকারের আমলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে মোদি উল্লেখ করে থাকেন। ওই দুই শীর্ষ পদে নিয়োগদানের ঘটনায় ভারতের দুটি জরুরী বহির্নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের উৎস পাকিস্তান ও চীনের মোকাবেলা করার অভিপ্রায়েরই আভাস দেয়। ভারতের মতো ওই দুটি দেশেরও পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। দোভাল বিপজ্জনক বিদ্রোহ দমন মিশনগুলোতে তাঁর অবদানের জন্য অনেক পদক লাভ করেন। তিনি জঙ্গী দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে এসেছেন। তবে তিনি যে সব অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, তাতে বাস্তববাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
১৯৮০-এর দশকে তিনি অমৃতসর শহরের স্বর্ণমন্দিরে চুপিসারে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সে সব থেকে পরে শিখ জঙ্গীদের বিতাড়িত করা হয়। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যের এক শক্তিশালী গেরিলা দলেও অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ দলটি শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তি সই করে।
১৯৯৯-এর ক্রিসমান ইভে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গীরা কাঠমাণ্ডু থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে ছিনতাই করে যখন আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে গিয়েছিল, তখন দোভাল কান্দাহারে ঘটনাস্থলে ছিলেন। জিম্মিদের বিনিময়ে শীর্ষ জঙ্গীদের মুক্তি দেয়া হলে সঙ্কটের নিরসন হয়।
কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য গোলযোগপূর্ণ এলাকায় দীর্ঘকাল চাকরি করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, দোভাল ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাভাবনার মানুষ। তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়। দোভাল (৬৯) এক সময়ে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। মোদি তাঁর পাকিস্তানী প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরীফকে সমঝোতার আগ্রহের নিদর্শন হিসেবে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি পুরস্কার ও শাস্তিদানের নীতিকেও কাজে লাগান।
প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় মোদি নওয়াজ শরীফকে বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই এর ভূখণ্ড হতে ভারতে আক্রমণ চালানো থেকে জঙ্গীদের নিবৃত্ত রাখতে হবে এবং মুম্বাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ভারত দোষারোপ করে থাকে- এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মোদির কঠোর অবস্থান তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ এজেন্ডা ভারতের প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি বা তদ্রুপ সংখ্যক মুসলিমকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, প্রতিবেশী পাকিস্তানের মুসলিমদের তো বটেই! অবশ্য দুই দেশ শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে একমত হয়। মোদির নিযুক্ত আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল সিং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্ত বরাবর ৮০ হাজার সৈন্যের এক কোর গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন করে তাগিদ দিতে পারেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা-সড়ক নির্মাণ ও বিমানবন্দরগুলোকে উন্নত করার এক পরিকল্পনা ক্ষমতা হারানো কংগ্রেস দলও নিয়েছিল কিন্তু তা থামকে যায়। বিজেপির টিকেটে এক পার্লামেন্টারি আসনে জয়ী ভি কে সিং প্রতিরক্ষা আমলাদের মধ্যেমে ওই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবেন বলে মনে হয়। সর্বক্ষমতাশালী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি রিপোর্টিং করার সুযোগ ওই কাজে সিংয়ের পক্ষে সহায়ক হবে। বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সিং সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নই আমার অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিপর্যয়।
হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশের পূর্বাঞ্চলের ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি ভূখন্ড চীন নিজের বলে দাবি করে যাচ্ছে। ভারত এ দাবির বিরোধিতা করে। ওই ভূখন্ডের মধ্যে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যে অধিকাংশই অবস্থিত। চীন একে দক্ষিণ তিব্বত বলে থাকে। কিন্তু মোদি আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমন করতে খুবই আগ্রহী বলে আরেক আভাসও দেখা যায়। তিনি বৃহস্পতিবার চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
No comments:
Post a Comment