কোন রাজনৈতিক দল বিদেশী সাহায্য নিতে পারবে না
বৈদেশিক অনুদান আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জঙ্গীবাদে সহায়তা, শিশুপাচার ও মাদকসংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে এনজিওদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে বিচার করার বিধান রেখে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন-২০১৪ এর’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য, বিচারপতি ও সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তিরা বৈদেশিক সাহায্য নিতে পারবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে এ নীতিমালায়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নীতিমালা অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ আইন বাস্তবায়িত হলে এনজিওগুলোর বৈদেশিক অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আরও গতিশীলতা আসবে। এতে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো অংশীদারিত্বমূলক কাজ করতে পারবে। এছাড়া এনজিওগুলোর ওপর নজরদারি ও কার্যক্রম গতিশীল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সামরিক শাসনামলে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর (এনজিও) কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালে দু’টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। ওই অধ্যাদেশ দু’টি একত্রিত করে এ আইনটি বাংলায় করা হচ্ছে। অবশ্য এনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশ দু’টি সম্মিলনের কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আগে অধ্যাদেশ দু’টি বেশ সংক্ষিপ্ত ছিল, এখন বিস্তারিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে আইনটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে ২২টি ধারা আছে। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে এনজিও ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই ব্যুরোর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩০৩। এর মধ্যে দেশীয় এনজিও রয়েছে ২ হাজার ৭০টি, আর বিদেশী এনজিওর সংখ্যা ২৩৩টি। ব্যুরোর মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিদেশী অর্থ ছাড় করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এনজিওর কার্যক্রম মূলত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেখভাল করলেও বৈদেশিক সহায়তায় যেসব এনজিও কাজ করে থাকে তাদের ব্যুরোর আওতায় থাকতে হয়। কারণ বৈদেশিক অর্থ ছাড়ের বিষয়টি ব্যুরোর হাতেই রয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব এনজিও বৈদেশিক অর্থায়নে কাজ করে থাকে, তাদের ব্যুরোর নিবন্ধন লাগবে বলে আইনে বিধান রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তিবিশেষে বৈদেশিক অর্থ আনা হলে তার জন্য নিবন্ধন লাগবে না, কিন্তু অর্থ ছাড়ে ব্যুরোর অনুমোদন নিতে হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাগণ বৈদেশিক সহায়তা আনতে বা নিতে পারবে না। তিনি বলেন, ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া কোন এনজিও প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারবে না এবং কোন এনজিও বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিলে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে, এমন বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী অর্থ মাদার এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।
তিনি বলেন, কোন এনজিও আইন বা বিধান লঙ্ঘন করলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাকে সতর্ক, জরিমানা এমনকি নিবন্ধন বাতিল করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে। তবে কোন এনজিও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে অর্থায়ন বা সহায়তা করলে, নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে ফৌজদারি আইনে ওসব প্রতিষ্ঠানের বিচার হবে। এ আইনটি বাংলায় প্রবর্তনের পরে হুবহু এর ইংরেজী ভার্সন করা হবে।
মোশাররফ হেসেন ভূঁইয়া বলেন, মন্ত্রিসভায় আরও ৬ এজেন্ডাম ছিল। এর মধ্যে ‘জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪’র খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পারস্পরিক সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন ছাড়াও ৪টি অবহিতকরণ ছিল।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪’ কোন আইন নয়, এটি বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি গাইড লাইন। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি অতিক্রম বা হ্রাসের ক্ষেত্রে বীমা একটি বড় মাধ্যম। তাই সরকার এ ক্ষেত্রটির আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে এ নীতির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ নীতিমালায় মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের গ্রুপ বীমা, বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, জাতীয় বীমা দিবস চালু, বেসরকারী সেক্টরে বীমা চালু ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পারস্পরিক সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ মাসের ১৬ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। সে সময়ে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। চুক্তিটি ১০ বছরের জন্য কার্যকর হবে। তবে দুই সরকারের মধ্যে কারও আপত্তি না থাকলে তা অব্যাহত থাকবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আগে অধ্যাদেশ দু’টি বেশ সংক্ষিপ্ত ছিল, এখন বিস্তারিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে আইনটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে ২২টি ধারা আছে। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে এনজিও ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই ব্যুরোর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩০৩। এর মধ্যে দেশীয় এনজিও রয়েছে ২ হাজার ৭০টি, আর বিদেশী এনজিওর সংখ্যা ২৩৩টি। ব্যুরোর মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিদেশী অর্থ ছাড় করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এনজিওর কার্যক্রম মূলত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেখভাল করলেও বৈদেশিক সহায়তায় যেসব এনজিও কাজ করে থাকে তাদের ব্যুরোর আওতায় থাকতে হয়। কারণ বৈদেশিক অর্থ ছাড়ের বিষয়টি ব্যুরোর হাতেই রয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব এনজিও বৈদেশিক অর্থায়নে কাজ করে থাকে, তাদের ব্যুরোর নিবন্ধন লাগবে বলে আইনে বিধান রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তিবিশেষে বৈদেশিক অর্থ আনা হলে তার জন্য নিবন্ধন লাগবে না, কিন্তু অর্থ ছাড়ে ব্যুরোর অনুমোদন নিতে হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাগণ বৈদেশিক সহায়তা আনতে বা নিতে পারবে না। তিনি বলেন, ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া কোন এনজিও প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারবে না এবং কোন এনজিও বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিলে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে, এমন বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী অর্থ মাদার এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।
তিনি বলেন, কোন এনজিও আইন বা বিধান লঙ্ঘন করলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাকে সতর্ক, জরিমানা এমনকি নিবন্ধন বাতিল করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে। তবে কোন এনজিও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে অর্থায়ন বা সহায়তা করলে, নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে ফৌজদারি আইনে ওসব প্রতিষ্ঠানের বিচার হবে। এ আইনটি বাংলায় প্রবর্তনের পরে হুবহু এর ইংরেজী ভার্সন করা হবে।
মোশাররফ হেসেন ভূঁইয়া বলেন, মন্ত্রিসভায় আরও ৬ এজেন্ডাম ছিল। এর মধ্যে ‘জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪’র খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পারস্পরিক সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন ছাড়াও ৪টি অবহিতকরণ ছিল।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪’ কোন আইন নয়, এটি বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি গাইড লাইন। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি অতিক্রম বা হ্রাসের ক্ষেত্রে বীমা একটি বড় মাধ্যম। তাই সরকার এ ক্ষেত্রটির আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে এ নীতির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ নীতিমালায় মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের গ্রুপ বীমা, বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, জাতীয় বীমা দিবস চালু, বেসরকারী সেক্টরে বীমা চালু ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পারস্পরিক সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ মাসের ১৬ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। সে সময়ে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। চুক্তিটি ১০ বছরের জন্য কার্যকর হবে। তবে দুই সরকারের মধ্যে কারও আপত্তি না থাকলে তা অব্যাহত থাকবে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-06-03&ni=174808
No comments:
Post a Comment