সোনা চোরাচালানি দুই গডফাদার চিহ্নিত, এখন গোয়েন্দা জালে
চব্বিশ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে আটক ৯
আজাদ সুলায়মান ॥ অবশেষে সোনা চোরাচালানের দুই গডফাদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এখন গোয়েন্দা জালে। তাদের সহযোগীদের ধরার জন্য পুলিশ গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করলেও কৌশলগত কারণে স্বীকার করছে না গোয়েন্দারা। আটক দুই গডফাদারের একজনের বাসা থেকে ৮ কেজি সোনাও উদ্ধার করা হয়। তাদের নিয়ে গোপনে রাজধানীতে দিনভর অভিযান চলছে। বাকি চোরাচালানিদের যদি রাতে গ্রেফতার করা যায়,তাহলে আজ (মঙ্গলবার) তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ইমিগ্রেশন সূত্র
জানায়, রবিবার রাতে মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে ওই চোরাচালানিরা পালানোর চেষ্টা করছিল। তখন ডিবির একটি টিম ইমিগ্রেশনকে জানায়, ওই ফ্লাইটে সোনাচালানের গডফাদার রয়েছে। তাদের অফলোড করতে হবে। এ অবস্থায় ইমিগ্রেশান পুলিশ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে ওই বিমান থেকে ৯ যাত্রীকে অফলোড করে। ফ্লাইট ছাড়ার মিনিট কয়েক আগে সেখানে হানা দেয় ডিবি পুলিশ সহ অন্যরা। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ডিবিতে সোপর্দ করে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি নেয়া হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দফতরে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তারা সোনা চোরাচালানের কথা। স্বীকার করে জানায়, কিভাবে শাহজালাল দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে মণ মণ সোনা তারাই চোরাচালান করেছে, তারা তাদের দুই গডফাদারের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। গডফাদারদের একজন তাদের সঙ্গেই আটক।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, ফ্লাইট থেকে যাদের অফলোড করা হয় তারা হচ্ছে একরামুর রহমান পারভেজ, জীবন পোদ্দার, বাবুল পোদ্দার, সিনহা আনিসুর রহমান রিপন, কাদের, হাসান ও ইমন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, পুলিশ সোমবার ভোরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন টাওয়ারের বাসায় হানা দিয়ে আটক করে নজরুল ইসলাম লিটনকে। সোনা চোরাচালানের মোস্ট ওয়ান্টেড গডফাদার এই লিটনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ কেজি সোনা। তাকে নিয়ে আসা হয় গোয়েন্দা দফতরে। তার দেয়া তথ্য মতে, গোয়েন্দার সোমবার দিনভর অভিযান চালায় রাজধানীতে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইফেরত বিমানের উড়োজাহাজ অরুণ আলোতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০৬ কেজি সোনাসহ বিমানের মেকানিক আনিসকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর বিমান বন্দর থানা পুলিশ আনিসকে রিমান্ডে নিয়ে জানতে পারে- বিমানের মেকানিক কর্মকর্তা মাসুদসহ বেশক’জন প্রকৌশলৗ ও নিরাপত্তাকর্মী এতে জড়িত। এ ব্যাপারে আনিস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দেয়। এরপর বিমানবন্দর থানার পুলিশ মামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতির পর মামলা তদন্তভার গ্রহণ করেন ডিবির সহকারী কমিশনার মিনহাজ উদ্দীন। তাঁর নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস টিম নগরীতে চোরাচালানিদের সম্ভাব্য আস্তানায় হানা দেয়। এতে চোরাচালানিরা টের পেয়ে যায়। তারা দ্রুত দেশ ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। এটা নিশ্চিত হয়ে ডিবি হানা দেয় শাহজালাল বিমানবন্দরে।
ডিবি সূত্র জানায়, ১০৬ কেজি সোনার মালিক ছিলেন আটক গডফাদার নজরুল ইসলাম লিটন ও একরামুল হক পারভেজ। তারাই দুবাই থেকে এ সোনা পাঠায়। এ চালান পাঠানোর আগে বিমান হ্যাঙ্গারের তিন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও দুজন কাস্টমস কমকর্তার সঙ্গে উত্তরার একটি গেস্ট হাউসে বৈঠক করেন তাঁরা। সে সময় লিটন দুবাই থেকে সোনার চালান পাঠানোর আগেপরে ঢাকায় সর্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে দিকনির্দেশনা দেয়। সেই কলের সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা ঢাকায় তার অবস্থান ও তার সহযোগীদের তথ্য নিশ্চিত হয় এবং রবিবার রাতে মালয়েশিয়ান ফ্লাইটে অভিযান চালায়।
জানায়, রবিবার রাতে মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে ওই চোরাচালানিরা পালানোর চেষ্টা করছিল। তখন ডিবির একটি টিম ইমিগ্রেশনকে জানায়, ওই ফ্লাইটে সোনাচালানের গডফাদার রয়েছে। তাদের অফলোড করতে হবে। এ অবস্থায় ইমিগ্রেশান পুলিশ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে ওই বিমান থেকে ৯ যাত্রীকে অফলোড করে। ফ্লাইট ছাড়ার মিনিট কয়েক আগে সেখানে হানা দেয় ডিবি পুলিশ সহ অন্যরা। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ডিবিতে সোপর্দ করে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি নেয়া হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দফতরে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তারা সোনা চোরাচালানের কথা। স্বীকার করে জানায়, কিভাবে শাহজালাল দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে মণ মণ সোনা তারাই চোরাচালান করেছে, তারা তাদের দুই গডফাদারের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। গডফাদারদের একজন তাদের সঙ্গেই আটক।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, ফ্লাইট থেকে যাদের অফলোড করা হয় তারা হচ্ছে একরামুর রহমান পারভেজ, জীবন পোদ্দার, বাবুল পোদ্দার, সিনহা আনিসুর রহমান রিপন, কাদের, হাসান ও ইমন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, পুলিশ সোমবার ভোরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন টাওয়ারের বাসায় হানা দিয়ে আটক করে নজরুল ইসলাম লিটনকে। সোনা চোরাচালানের মোস্ট ওয়ান্টেড গডফাদার এই লিটনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ কেজি সোনা। তাকে নিয়ে আসা হয় গোয়েন্দা দফতরে। তার দেয়া তথ্য মতে, গোয়েন্দার সোমবার দিনভর অভিযান চালায় রাজধানীতে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইফেরত বিমানের উড়োজাহাজ অরুণ আলোতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০৬ কেজি সোনাসহ বিমানের মেকানিক আনিসকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর বিমান বন্দর থানা পুলিশ আনিসকে রিমান্ডে নিয়ে জানতে পারে- বিমানের মেকানিক কর্মকর্তা মাসুদসহ বেশক’জন প্রকৌশলৗ ও নিরাপত্তাকর্মী এতে জড়িত। এ ব্যাপারে আনিস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দেয়। এরপর বিমানবন্দর থানার পুলিশ মামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতির পর মামলা তদন্তভার গ্রহণ করেন ডিবির সহকারী কমিশনার মিনহাজ উদ্দীন। তাঁর নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস টিম নগরীতে চোরাচালানিদের সম্ভাব্য আস্তানায় হানা দেয়। এতে চোরাচালানিরা টের পেয়ে যায়। তারা দ্রুত দেশ ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। এটা নিশ্চিত হয়ে ডিবি হানা দেয় শাহজালাল বিমানবন্দরে।
ডিবি সূত্র জানায়, ১০৬ কেজি সোনার মালিক ছিলেন আটক গডফাদার নজরুল ইসলাম লিটন ও একরামুল হক পারভেজ। তারাই দুবাই থেকে এ সোনা পাঠায়। এ চালান পাঠানোর আগে বিমান হ্যাঙ্গারের তিন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও দুজন কাস্টমস কমকর্তার সঙ্গে উত্তরার একটি গেস্ট হাউসে বৈঠক করেন তাঁরা। সে সময় লিটন দুবাই থেকে সোনার চালান পাঠানোর আগেপরে ঢাকায় সর্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে দিকনির্দেশনা দেয়। সেই কলের সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা ঢাকায় তার অবস্থান ও তার সহযোগীদের তথ্য নিশ্চিত হয় এবং রবিবার রাতে মালয়েশিয়ান ফ্লাইটে অভিযান চালায়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-06-03&ni=174810
No comments:
Post a Comment