বিশ্বকাপে পর্তুগালের সেরা পাঁচ
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা শেষে আগামী সপ্তাহেই শুরু ফুটবলের মহাযজ্ঞ বিশ্বকাপ। একটি ট্রফি, লড়াই বত্রিশ দলের। কিন্তু উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে ভাসবে গোটাবিশ্ব। এবারের বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে ফেবারিট ব্রাজিল। বর্তমান চ্যাম্পিয়নের তকমাটা গায়ে মাখানো স্পেনের। তাদের সঙ্গে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে আছে জার্মানি-আর্জেন্টিনা। এই তালিকায় পর্তুগালও। আর দলটিতে রোনাল্ডো আছে বলেই। তবে সি আর সেভেন ছাড়াও পর্তুগালের জার্সিতে যাঁরা ব্রাজিল মাতাবেন তাঁদের নিয়েই আজকের সেরা পাঁচ।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ॥ আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং স্বাগতিক ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে বড় তারকার নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ২০০৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিষেক ঘটেছিল রোনাল্ডোর। এর পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দারুণ সব মুহূর্ত উপভোগ করে এখন খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ লা লীগাতেও রিয়ালের মধ্যমণি সি আর সেভেন। তাঁর সময়েই স্প্যানিশ লা লীগাসহ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু দুভার্গ্য ফুটবলের মহাযজ্ঞ বিশ্বকাপেই নিষ্প্রভ তাঁর দেশ পর্তুগাল। ১৯টি আসর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তবে এবার আশা দেখছে পর্তুগাল। আর দলে রোনাল্ডো আছেন বলেই। এ বছরেই পর্তুগালের সর্বকালের সেরা গোলদাতার খেতাব পেয়েছেন রোনাল্ডো। ছাড়িয়ে গেছেন মাদ্রিদের কিংবদন্তি ফেরেন্স পুসকাসকেও (২৪২)।
পেপে ॥ ২০০৭ সালে অভিষেক। এর পর থেকেই পর্তুগালের রক্ষণভাগের দায়িত্ব পালন করছেন পেপে। পর্তুগালের জার্সিতে ৫৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে খেললেও পেপে জন্মগ্রহণ করেন ব্রাজিলে। তাই তাঁকে বলা হয় ব্রাজিলিয়ান পর্তুগীজ। তাঁর আগে ব্রাজিলিয়ান পর্তুগীজ হিসেবে খেলেছেন ডেকো। মিডফিল্ডার হিসেবে ৭৫ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে যে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করবে পর্তুগাল তাঁদের মধ্যে অন্যতম পেপে। পর্তুগীজদের আশা পূরণে পেপেও শতভাগ প্রস্তুত। ২০০৭ সাল থেকে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ১৬৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
জোয়াও মৌথিনহো ॥ মিডফিল্ডার হিসেবে জোয়াও মৌথিনহোর ওপর ব্যাপকভাবেই নির্ভর করছে পাওলো বেন্তোর পর্তুগাল। বিশেষ করে ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার তাঁর লক্ষ্য, দক্ষ পাসিং শট এবং কঠোর পরিশ্রমই বিশ্ব ফুটবলে নিজেকে লাইম লাইটে নিয়ে এসেছেন তিনি। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকে পতুর্গালের জাতীয় দলের হয়ে ৬৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপেও তাঁর ওপর অতিরিক্ত দৃষ্টি রাখছে পর্তুগীজরা। তবে ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে তাঁর পেনাল্টি মিসের সৌজন্যেই স্পেনের কাছে পরাজয় মানে পর্তুগাল।
ন্যানি ॥ চরম দুঃসময়ের মধ্য দিয়েই গত মৌসুমটা কাটিয়েছেন ন্যানি। ফর্মহীনতার সঙ্গে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছে চোটের বিপক্ষেও। তবে এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে তাঁকে রেখেছেন পাওলো বেন্তো। আর এই বিশ্বকাপই তাঁর জন্য হতে পারে ফেরার মঞ্চ। ২০১০-১১ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সেরা দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন ন্যানি। শুরুতে আলো ছড়ালেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। এটা খুব আশ্চর্য হলেও সত্য যে ম্যানচেস্টারের ইউনাইটেডের এই তারকা ফুটবলার প্রতিপক্ষের জালে শেষবার বল জড়িয়েছিলেন ১৬ মাস আগে। গত অক্টোবরে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শেষবার বল জড়িয়েছিলেন তিনি।
উইলিয়াম কারভালহো ॥ ২২ বছর বয়স। পতুর্গালের সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে উইলিয়াম কারভালহোকে। গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিনবার পর্তুগাল লীগের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত নবেম্বরে সুইডেনের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচে অভিষেক ঘটে উইলিয়াম কারভালহোর। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই নিজের কিছু ক্যারিশমা দেখান কারভালহো। রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ন্যানির মতো উইলিয়াম কারভালহোও স্পোর্টিং লিসবনের যুব একাডেমির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের শুরু করেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ॥ আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং স্বাগতিক ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে বড় তারকার নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ২০০৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিষেক ঘটেছিল রোনাল্ডোর। এর পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দারুণ সব মুহূর্ত উপভোগ করে এখন খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ লা লীগাতেও রিয়ালের মধ্যমণি সি আর সেভেন। তাঁর সময়েই স্প্যানিশ লা লীগাসহ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু দুভার্গ্য ফুটবলের মহাযজ্ঞ বিশ্বকাপেই নিষ্প্রভ তাঁর দেশ পর্তুগাল। ১৯টি আসর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তবে এবার আশা দেখছে পর্তুগাল। আর দলে রোনাল্ডো আছেন বলেই। এ বছরেই পর্তুগালের সর্বকালের সেরা গোলদাতার খেতাব পেয়েছেন রোনাল্ডো। ছাড়িয়ে গেছেন মাদ্রিদের কিংবদন্তি ফেরেন্স পুসকাসকেও (২৪২)।
পেপে ॥ ২০০৭ সালে অভিষেক। এর পর থেকেই পর্তুগালের রক্ষণভাগের দায়িত্ব পালন করছেন পেপে। পর্তুগালের জার্সিতে ৫৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে খেললেও পেপে জন্মগ্রহণ করেন ব্রাজিলে। তাই তাঁকে বলা হয় ব্রাজিলিয়ান পর্তুগীজ। তাঁর আগে ব্রাজিলিয়ান পর্তুগীজ হিসেবে খেলেছেন ডেকো। মিডফিল্ডার হিসেবে ৭৫ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে যে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করবে পর্তুগাল তাঁদের মধ্যে অন্যতম পেপে। পর্তুগীজদের আশা পূরণে পেপেও শতভাগ প্রস্তুত। ২০০৭ সাল থেকে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ১৬৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
জোয়াও মৌথিনহো ॥ মিডফিল্ডার হিসেবে জোয়াও মৌথিনহোর ওপর ব্যাপকভাবেই নির্ভর করছে পাওলো বেন্তোর পর্তুগাল। বিশেষ করে ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার তাঁর লক্ষ্য, দক্ষ পাসিং শট এবং কঠোর পরিশ্রমই বিশ্ব ফুটবলে নিজেকে লাইম লাইটে নিয়ে এসেছেন তিনি। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকে পতুর্গালের জাতীয় দলের হয়ে ৬৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপেও তাঁর ওপর অতিরিক্ত দৃষ্টি রাখছে পর্তুগীজরা। তবে ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে তাঁর পেনাল্টি মিসের সৌজন্যেই স্পেনের কাছে পরাজয় মানে পর্তুগাল।
ন্যানি ॥ চরম দুঃসময়ের মধ্য দিয়েই গত মৌসুমটা কাটিয়েছেন ন্যানি। ফর্মহীনতার সঙ্গে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছে চোটের বিপক্ষেও। তবে এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে তাঁকে রেখেছেন পাওলো বেন্তো। আর এই বিশ্বকাপই তাঁর জন্য হতে পারে ফেরার মঞ্চ। ২০১০-১১ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সেরা দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন ন্যানি। শুরুতে আলো ছড়ালেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। এটা খুব আশ্চর্য হলেও সত্য যে ম্যানচেস্টারের ইউনাইটেডের এই তারকা ফুটবলার প্রতিপক্ষের জালে শেষবার বল জড়িয়েছিলেন ১৬ মাস আগে। গত অক্টোবরে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শেষবার বল জড়িয়েছিলেন তিনি।
উইলিয়াম কারভালহো ॥ ২২ বছর বয়স। পতুর্গালের সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে উইলিয়াম কারভালহোকে। গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিনবার পর্তুগাল লীগের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত নবেম্বরে সুইডেনের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচে অভিষেক ঘটে উইলিয়াম কারভালহোর। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই নিজের কিছু ক্যারিশমা দেখান কারভালহো। রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ন্যানির মতো উইলিয়াম কারভালহোও স্পোর্টিং লিসবনের যুব একাডেমির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের শুরু করেন।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=11&dd=2014-06-03&ni=174897
No comments:
Post a Comment