কাতার বিশ্বকাপ কেড়ে নিতে চায় অস্ট্রেলিয়া!
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার সুযোগ পেতে ফিফা কর্তাদের ঘুষ দেন তৎকালীন কাতার ও এশিয়ান ফুটবলের প্রধান মোহাম্মদ বিন হাম্মাম- সম্প্রতি পুরনো এ অভিযোগ নতুন করে উত্থাপিত হওয়ায় ফুটবল বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। যদিও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের কথা অস্বীকার করে আসছে কাতার। বিতর্কের ঘৃতাহুতি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএ) জানিয়েছে, তারা নতুন করে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য বিডের (ভোটাভুটির আয়োজন) প্রস্তাব রাখবে! সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এফএফএ প্রধান নির্বাহী ডেভিড গ্যালোপ জানিয়েছেন, কাতারকে যদি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেয়া না হয় তবে অস্ট্রেলিয়া নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করার সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে। মেলবোর্নে বলেন তিনি।
‘এটা খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কাতারের বিপক্ষে যে ঘুষের অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিকার অর্থেই গুরুতর এবং আমরা এর ফলাফল দেখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার দিকে তাকিয়ে আছি।’ বলেন গ্যালোপ। ব্রিটেনের সানডে টাইমসের দাবি, কাতারের সাবেক ফুটবলপ্রধান মোহাম্মদ বিন হাম্মামের বিপক্ষে ঘুষ লেনদেনসংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে ই-মেইল, তথ্য ও ব্যাংক ট্রান্সফারের কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে! পত্রিকাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপের বিডে জয়ী হওযার জন্য হাম্মাম কিছু শীর্ষ ফুটবলকর্তাকে প্রচুর পরিমাণে ঘুষ দিয়েছেন। যদিও বরাবরের মতোই এসব অস্বীকার করছে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।
অস্ট্রেলিয়া বস গ্যালোপ অবশ্য অনেকটা জোড় দাবি জানিয়েই বলেছেন, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য যদি বিড পুনরায় উন্মুক্ত করে দেয়া হয় তবে অস্ট্রেলিয়া আবারও তাদের আগ্রহের বিষয়টি প্রস্তাব করবে। যদিও ফিফার তরফ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১০ সালের কাতারকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়াটি নিয়ে ফিফার বর্তমানে চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জড়িত রয়েছে। কাতারের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তবে ২০২২ সালের ভোট পুনরায় উন্মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিফার সহসভাপতি জিম বয়েস। গ্যালোপের মতে, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা কংগ্রেসে বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে। উল্লেখ্য, ২০১০-এর ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকাকে টপকে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হয় তপ্ত মরুর দেশ কাতার।
কাতারের বিপক্ষে মোট ৫ মিলিয়ন অর্থ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা প্রমাণিত হলে ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য নতুন স্বাগতিক নির্বাচন হতে পারে। সানডে টাইমসের তথ্যমতে, আয়োজক হওয়ার সমর্থন পেতে কাতার প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা) ঘুষ প্রদান করে। ফিফার এক উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহীদের মাধ্যমে বিন হাম্মাম এই অর্থ লেনদেন করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ তদন্তে ফিফার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মিশেল গার্সিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ‘যদি গার্সিয়ার রিপোর্টে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে কোন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায় তবে আমরা কাতার থেকে সরে আসব। নতুন করে আয়োজক নির্ধারণে পুনরায় ভোট নেয়া হবে।’ বলেন ফিফা সহসভাপতি।
‘এটা খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কাতারের বিপক্ষে যে ঘুষের অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিকার অর্থেই গুরুতর এবং আমরা এর ফলাফল দেখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার দিকে তাকিয়ে আছি।’ বলেন গ্যালোপ। ব্রিটেনের সানডে টাইমসের দাবি, কাতারের সাবেক ফুটবলপ্রধান মোহাম্মদ বিন হাম্মামের বিপক্ষে ঘুষ লেনদেনসংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে ই-মেইল, তথ্য ও ব্যাংক ট্রান্সফারের কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে! পত্রিকাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপের বিডে জয়ী হওযার জন্য হাম্মাম কিছু শীর্ষ ফুটবলকর্তাকে প্রচুর পরিমাণে ঘুষ দিয়েছেন। যদিও বরাবরের মতোই এসব অস্বীকার করছে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।
অস্ট্রেলিয়া বস গ্যালোপ অবশ্য অনেকটা জোড় দাবি জানিয়েই বলেছেন, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য যদি বিড পুনরায় উন্মুক্ত করে দেয়া হয় তবে অস্ট্রেলিয়া আবারও তাদের আগ্রহের বিষয়টি প্রস্তাব করবে। যদিও ফিফার তরফ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১০ সালের কাতারকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়াটি নিয়ে ফিফার বর্তমানে চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জড়িত রয়েছে। কাতারের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তবে ২০২২ সালের ভোট পুনরায় উন্মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিফার সহসভাপতি জিম বয়েস। গ্যালোপের মতে, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা কংগ্রেসে বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে। উল্লেখ্য, ২০১০-এর ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকাকে টপকে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হয় তপ্ত মরুর দেশ কাতার।
কাতারের বিপক্ষে মোট ৫ মিলিয়ন অর্থ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা প্রমাণিত হলে ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য নতুন স্বাগতিক নির্বাচন হতে পারে। সানডে টাইমসের তথ্যমতে, আয়োজক হওয়ার সমর্থন পেতে কাতার প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা) ঘুষ প্রদান করে। ফিফার এক উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহীদের মাধ্যমে বিন হাম্মাম এই অর্থ লেনদেন করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ তদন্তে ফিফার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মিশেল গার্সিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ‘যদি গার্সিয়ার রিপোর্টে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে কোন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায় তবে আমরা কাতার থেকে সরে আসব। নতুন করে আয়োজক নির্ধারণে পুনরায় ভোট নেয়া হবে।’ বলেন ফিফা সহসভাপতি।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=11&dd=2014-06-03&ni=174900
No comments:
Post a Comment