করছাড় মিলতে পারে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
প্রধানমন্ত্রীর পর এ বার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও দেশের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের স্বার্থে কঠোর আর্থিক সংযম ও শৃঙ্খলার কথা শোনালেন৷ সুরক্ষা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দু'দিনের সফরে কাশ্মীরে এসে অর্থমন্ত্রী তথ্য কার্যনিবাহী প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেটলি এ দিন বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করতে এই মূহূর্তে আমাদের বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এক-দু'বছর আমরা যদি আর্থিকভাবে একটু সংযমী হতে পারি তাহলে বর্তমান মন্দা দশা কাটিয়ে আমরা ফের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সুফল উপভোগ করতে পারব৷ না হতে পারলে আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে৷' কিন্তু, কোন 'সংযম' এবং 'কঠোর সিদ্ধান্তের' হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী? সামনের মাসেই বাজেট পেশ করবেন জেটলি৷ তখন কি করের বোঝা আরও বাড়ানো হবে? খাদ্য, সার, জ্বালানির উপর ভর্তুকি কমিয়ে জিনিসপত্রের দাম কি ফের বাড়ানো হবে? ব্যয় কমানো এবং আয় বাড়ানো ছাড়া রাজকোষের ঘাটতি কমানো উপায়ই বা কি? মোদী সরকারের কাছে প্রথম এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ হল অর্থনীতির বৃদ্ধির হার বাড়ানো, কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং সাধারণ মানুষের উপর মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমানো৷ ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৪.৫ শতাংশ এবং ৪.৭ শতাংশ৷ বর্তমানে বিশ্বঅর্থনীতির যা পরিস্থিতি তাতে দেশে শিল্পবিনিয়োগ বাড়াতে হলে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীন চাহিদাকেই উত্সাহিত করতে হবে অরুণ জেটলিকে, অন্যদিকে পরিকাঠামো শিল্পে (যেমন রাস্তা তৈরি) থমকে থাকা বিনিয়োগ সচল করতে হবে৷
সরকারি সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রক চাইছেন করযোগ্য আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে৷ দু'বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ চড়া থাকায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি) কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এবং আগামী ২০ জুন সিবিডিটির ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা৷
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে ব্যক্তিগত করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছিলেন অরুণ জেটলি৷ কিন্ত্ত, বর্তমানে রাজকোষের যা হাল তাতে এই সীমা দু'লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ করা বেশ কঠিন হবে জেটলির পক্ষে৷ তবে, সূত্রের খবর, করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা তিন লক্ষ টাকা করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পাশাপাশি, সরকার উচ্চবিত্ত বর্গের জন্য আয়করের হার বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করছে৷ বছরে এক কোটি টাকার বেশি আয় রয়েছে এমন করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়করের উপর ১০ শতাংশ সারচার্জ চালু করেছিলেন প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ সারচার্জ হিসাব করলে এই শ্রেণির করদাতাদের প্রান্তিক ৩৩ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয় (এডুকেশন সেস বাদ দিয়ে)৷ নতুন সরকার করদাতাদের আরেকটি শ্রেণি চালু করার কথা ভাবছে৷ বছরে ১০ কোটি টাকা বা তার বেশি যাঁদের আয় তাঁদের ৩৫ শতাংশ হারে আয়কর দেওয়ার প্রস্তাব সরকার বিবেচনা করছে৷ আয়কর ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এক ছাতার তলায় এনে খরচ কমানোর পথে হাঁটতে পারেন জেটলি৷ এতে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও অন্যুত্পাদক ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে৷
সরকারি সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রক চাইছেন করযোগ্য আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে৷ দু'বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ চড়া থাকায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি) কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এবং আগামী ২০ জুন সিবিডিটির ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা৷
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে ব্যক্তিগত করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছিলেন অরুণ জেটলি৷ কিন্ত্ত, বর্তমানে রাজকোষের যা হাল তাতে এই সীমা দু'লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ করা বেশ কঠিন হবে জেটলির পক্ষে৷ তবে, সূত্রের খবর, করযোগ্য আয়ের ন্যূনতম সীমা তিন লক্ষ টাকা করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পাশাপাশি, সরকার উচ্চবিত্ত বর্গের জন্য আয়করের হার বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করছে৷ বছরে এক কোটি টাকার বেশি আয় রয়েছে এমন করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়করের উপর ১০ শতাংশ সারচার্জ চালু করেছিলেন প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ সারচার্জ হিসাব করলে এই শ্রেণির করদাতাদের প্রান্তিক ৩৩ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয় (এডুকেশন সেস বাদ দিয়ে)৷ নতুন সরকার করদাতাদের আরেকটি শ্রেণি চালু করার কথা ভাবছে৷ বছরে ১০ কোটি টাকা বা তার বেশি যাঁদের আয় তাঁদের ৩৫ শতাংশ হারে আয়কর দেওয়ার প্রস্তাব সরকার বিবেচনা করছে৷ আয়কর ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এক ছাতার তলায় এনে খরচ কমানোর পথে হাঁটতে পারেন জেটলি৷ এতে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও অন্যুত্পাদক ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে৷
http://eisamay.indiatimes.com/business/tax-exemption-likely-upto-3-lakhs/articleshow/36650415.cms
No comments:
Post a Comment