বৃহত্তর কলকাতার গতি ফেরাবে বিকল্প পথ
নিগমের এক কর্তার কথায়, 'গঙ্গার উপর দু'লেনের ঈশ্বর গুন্ত সেতুর পাশে আমরা যে ছয় লেনের নতুন সেতু তৈরি করব তা অনেকটা নিবেদিতা সেতুর আদলে হবে৷ চলতি বছরের মধ্যেই রাইটস্ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে এই সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) জমা দেবে৷ আমরা এটাকে ল্যান্ডমার্ক ব্রিজ করতে চাইছি৷'
কৌশিক প্রধান
গঙ্গার উপর নতুন সেতু তৈরি করে জুড়ে দেওয়া হবে নদিয়া ও হুগলি জেলাকে৷ আর তার ফলে কলকাতাকে পাশ কাটিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে খুব কম সময়ে সোজা গাড়ি নিয়ে পেঁৗছে যাওয়া যাবে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে৷ বৃহত্তর কলকাতাকে যানজট মুক্ত করতে এমনই পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার৷ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উত্তর ২৪ পরগনার বড় জাগুলিয়া থেকে কল্যাণী, মগরা, চন্দননগর হয়ে অত্যন্ত অল্প সময়ে পেঁৗছে যাওয়া যাবে ডানকুনিতে৷ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত দিল্লি রোডকে দু'লেন থেকে চার লেনে সম্প্রসারণ করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গঙ্গার উপর নতুন সেতু নির্মাণ সহ মগরা থেকে বড় জাগুলিয়া পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের বরাত দেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগম৷
২০১৭ -র মার্চের মধ্যে সমগ্র প্রকল্প বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে নিগম৷ এখনও বড় জাগুলিয়া থেকে গাড়ি করে ঈশ্বর চন্দ্র সেতু পেরিয়ে ডানকুনি পর্যন্ত যাওয়া যায়৷ কিন্ত্ত, সরু ভাঙাচোরা রাস্তায় এই ৫৪ কিলোমিটার পথ গাড়িতে যেতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে৷ গঙ্গার উপর নতুন সেতু সহ রাস্তা চওড়া হয়ে যাওয়ার পর খুব বেশি হলে সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যেই বড় জাগুলিয়া থেকে ডানকুনি পেঁৗছে যাওয়া যাবে৷
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনোজ আগরওয়াল বলেন, 'ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ আগামী দু'বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷ কল্যাণীতে গঙ্গার উপর যে ঈশ্বর গুন্ত সেতু রয়েছে, তার পাশে আমরা ছয় লেনের একটি নতুন সেতু নির্মাণ করব৷ আগামী মার্চের মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের জন্য বরাত দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে৷ গোটা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর বৃহত্তর কলকাতায় যানজট অনেকটাই কমে যাবে৷' তবে এই প্রকল্পের জন্য কোথাও জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না৷ কল্যাণীতে ঘন জনবসতি থাকার কারণে কিছু অংশে উড়ালপুল তৈরি করে চার লেনের রাস্তা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷
ডানকুনি থেকে বড় জাগুলিয়া পর্যন্ত গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে নিগমের প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিগম ৭০০ কোটি টাকা পেয়েছে৷ নিগম সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর টাকা না পেলেও প্রকল্প রূপায়ণে কোনও সমস্যা হবে না৷ কারণ, এই প্রকল্পের জন্য অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহজ শর্তে ঋণ দিতে রাজি৷ মনোজবাবু জানিয়েছেন, পরে টোল বসিয়ে প্রকল্প খরচ তুলে নেওয়া হবে৷
কলকাতাকে যানজট মুক্ত শহর ঘিরে রিং রোড তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল আগের বাম সরকার৷ কিন্ত্ত, সেই পরিকল্পনা দিনের আলো দেখেনি৷ ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বৃহত্তর কলকাতার যানজট দূর করতে বর্তমান সরকার যে পরিকল্পনা করেছে তা যথেষ্ট বাস্তবোচিত৷ সন্ধ্যার পর অপ্রশস্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লরি চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বিরাটি, এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট এলাকায় নিত্যদিনের যানজট লেগে থাকে৷ কখনও কখনও যানজট এত তীব্র আকার ধারণ করে যে বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মাত্র কয়েক কিলোমিটার পথ যেতেই এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়৷ বড় জাগুলিয়া থেকে ডানকুনি পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে যে সমস্ত লরি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ২ বা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে চায়, সেগুলি যেমন কল্যাণী হয়ে গঙ্গার উপর সেতু পার করে চলে যেতে পারবে, তেমনই বারাসত, মধ্যমগ্রাম এড়িয়ে অনেকে আবার এই পথেই ডানকুনি হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মূল কলকাতায় চলে আসতে পারবে৷ নিগম কর্তাদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং যশোহর রোডই নয়, গাড়ির চাপ কমবে দমদম রোড এবং বিটি রোডেও৷ ফলে, সব মিলিয়ে উত্তর শহরতলি এবং উত্তর কলকাতার সমস্ত রাস্তাতেই গাড়ি চলাচলে আরও গতি আসবে৷
গঙ্গার উপর নতুন সেতু তৈরি করে জুড়ে দেওয়া হবে নদিয়া ও হুগলি জেলাকে৷ আর তার ফলে কলকাতাকে পাশ কাটিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে খুব কম সময়ে সোজা গাড়ি নিয়ে পেঁৗছে যাওয়া যাবে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে৷ বৃহত্তর কলকাতাকে যানজট মুক্ত করতে এমনই পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার৷ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উত্তর ২৪ পরগনার বড় জাগুলিয়া থেকে কল্যাণী, মগরা, চন্দননগর হয়ে অত্যন্ত অল্প সময়ে পেঁৗছে যাওয়া যাবে ডানকুনিতে৷ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত দিল্লি রোডকে দু'লেন থেকে চার লেনে সম্প্রসারণ করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গঙ্গার উপর নতুন সেতু নির্মাণ সহ মগরা থেকে বড় জাগুলিয়া পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের বরাত দেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগম৷
২০১৭ -র মার্চের মধ্যে সমগ্র প্রকল্প বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে নিগম৷ এখনও বড় জাগুলিয়া থেকে গাড়ি করে ঈশ্বর চন্দ্র সেতু পেরিয়ে ডানকুনি পর্যন্ত যাওয়া যায়৷ কিন্ত্ত, সরু ভাঙাচোরা রাস্তায় এই ৫৪ কিলোমিটার পথ গাড়িতে যেতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে৷ গঙ্গার উপর নতুন সেতু সহ রাস্তা চওড়া হয়ে যাওয়ার পর খুব বেশি হলে সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যেই বড় জাগুলিয়া থেকে ডানকুনি পেঁৗছে যাওয়া যাবে৷
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনোজ আগরওয়াল বলেন, 'ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ আগামী দু'বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷ কল্যাণীতে গঙ্গার উপর যে ঈশ্বর গুন্ত সেতু রয়েছে, তার পাশে আমরা ছয় লেনের একটি নতুন সেতু নির্মাণ করব৷ আগামী মার্চের মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের জন্য বরাত দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে৷ গোটা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর বৃহত্তর কলকাতায় যানজট অনেকটাই কমে যাবে৷' তবে এই প্রকল্পের জন্য কোথাও জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না৷ কল্যাণীতে ঘন জনবসতি থাকার কারণে কিছু অংশে উড়ালপুল তৈরি করে চার লেনের রাস্তা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷
ডানকুনি থেকে বড় জাগুলিয়া পর্যন্ত গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে নিগমের প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিগম ৭০০ কোটি টাকা পেয়েছে৷ নিগম সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর টাকা না পেলেও প্রকল্প রূপায়ণে কোনও সমস্যা হবে না৷ কারণ, এই প্রকল্পের জন্য অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহজ শর্তে ঋণ দিতে রাজি৷ মনোজবাবু জানিয়েছেন, পরে টোল বসিয়ে প্রকল্প খরচ তুলে নেওয়া হবে৷
কলকাতাকে যানজট মুক্ত শহর ঘিরে রিং রোড তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল আগের বাম সরকার৷ কিন্ত্ত, সেই পরিকল্পনা দিনের আলো দেখেনি৷ ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বৃহত্তর কলকাতার যানজট দূর করতে বর্তমান সরকার যে পরিকল্পনা করেছে তা যথেষ্ট বাস্তবোচিত৷ সন্ধ্যার পর অপ্রশস্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লরি চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বিরাটি, এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট এলাকায় নিত্যদিনের যানজট লেগে থাকে৷ কখনও কখনও যানজট এত তীব্র আকার ধারণ করে যে বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মাত্র কয়েক কিলোমিটার পথ যেতেই এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়৷ বড় জাগুলিয়া থেকে ডানকুনি পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে যে সমস্ত লরি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ২ বা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে চায়, সেগুলি যেমন কল্যাণী হয়ে গঙ্গার উপর সেতু পার করে চলে যেতে পারবে, তেমনই বারাসত, মধ্যমগ্রাম এড়িয়ে অনেকে আবার এই পথেই ডানকুনি হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মূল কলকাতায় চলে আসতে পারবে৷ নিগম কর্তাদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং যশোহর রোডই নয়, গাড়ির চাপ কমবে দমদম রোড এবং বিটি রোডেও৷ ফলে, সব মিলিয়ে উত্তর শহরতলি এবং উত্তর কলকাতার সমস্ত রাস্তাতেই গাড়ি চলাচলে আরও গতি আসবে৷
নিগমের এক কর্তার কথায়, 'গঙ্গার উপর দু'লেনের ঈশ্বর গুন্ত সেতুর পাশে আমরা যে ছয় লেনের নতুন সেতু তৈরি করব তা অনেকটা নিবেদিতা সেতুর আদলে হবে৷ চলতি বছরের মধ্যেই রাইটস্ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে এই সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) জমা দেবে৷ আমরা এটাকে ল্যান্ডমার্ক ব্রিজ করতে চাইছি৷'
http://eisamay.indiatimes.com/state/ring-road-outside-kolkata-to-reduce-traffic-congestion/articleshow/36649717.cms
No comments:
Post a Comment