ওসমান পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার : প্রধানমন্ত্রী
সংসদ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৪ জুন, ২০১৪
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ওসমান পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার। যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তারাই এ পরিবারের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহলবিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোনো পরিবারকে হেয় করতে চায়- এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংসদে শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও শামীম ওসমান। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে। নাসিম ওসমানের বাবা প্রয়াত শামসুজ্জোহা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন, তাকে আমি কাকা বলে ডাকতাম। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গ্রেফতার হয়ে ৭৯ সালে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই ভারতের দিল্লিতে গিয়ে আমাকে সাহস যুগিয়েছিলেন তিনি। প্রয়াত শামসুজ্জোহা শুধু আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যই ছিলেন না, চরম দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতেও বিশাল অবদান রেখে গেছেন তিনি।
নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণীতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকাননি নাসিম। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওসমান পরিবার বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে। আইয়ুব খানের আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরও যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এ পরিবারের ওপর আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। আর এই স্বাধীনতার জন্য অনেক পরিবারের আÍত্যাগ রয়েছে। সেই আত্মত্যাগ করা পরিবারের একটি ওসমান পরিবার। আর কিছু পরিবারকে কেন যেন সবসময়ই একটি মহলবিশেষ টার্গেট করে আঘাত হানে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি মোশতাক ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর আÍস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক ও রশিদ বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছে, এ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের কথা তারা জিয়াকে জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জিয়ার পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার কথা ফারুক-রশিদরা নিজেরাই বলে গেছে। তিনি বলেন, সেই ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নাসিম ওসমান একজন বীর সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে নববধূকে রেখেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, দেশত্যাগ করেছিলেন। কোনো মানুষই ভুল-ত্র“টির ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অনেক কাজ করে গেছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, পুরো ওসমান পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শামসুজ্জোহা আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করে গেছেন। এখনও তার সন্ত্রানসহ পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করে যাচ্ছেন। নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টি করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধকারী ছাত্র নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাসিম ওসমান। বাংলাদেশে এখন যা চলছে তা কি ওসমান পরিবারের সঙ্গে অন্য কারোর দ্বন্দ্ব? বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য যারা লালন করেছে, ওই পরিবারের সঙ্গে যাদের সাহচার্য ছিল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান, আদর্শবান ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন নাসিম ওসমান। নাসিম ওসমানসহ আমরা ভারতে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে। আমরা পারিনি। জাতীয় পার্টি করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। রাজনীতি বড় নির্মম, বড় কঠিন। রাজনৈতিক কূটচালে অনেকেই অনেক কিছু বলে থাকে। ওসমান পরিবারও তেমনি রাজনৈতিক কূটচালের শিকার।
মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, লাখ লাখ মানুষ নাসিম ওসমানের জানাজায় অংশ নিয়েছেন, অঝোরে কেঁদেছেন। এতবড় নামাজে জানাজা অতীতে কখনও দেখিনি। এটাই প্রমাণ করে সব দলের মানুষের কাছে নাসিম ওসমান কত প্রিয় ছিলেন। চার চারবার এমপি নির্বাচিত হলেও পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ন্যূনতম একটি বাড়ি নেই। পুরো পরিবারকে নিঃস্ব রেখে চলে গেছেন নাসিম ওসমান। আমাদের সবারই উচিত তার পরিবারের সদস্যদের পাশে এসে দাঁড়ানো।
এবিএম রুহুল আমিন হাওলদার বলেন, নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি একজন সৎ, সাহসী, ত্যাগী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থাবান রাজনীতিক ছিলেন।
- See more at: http://www.jugantor.com/last-page/2014/06/04/107374#sthash.nzDwnqcW.dpufমঙ্গলবার জাতীয় সংসদের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংসদে শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও শামীম ওসমান। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে। নাসিম ওসমানের বাবা প্রয়াত শামসুজ্জোহা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন, তাকে আমি কাকা বলে ডাকতাম। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গ্রেফতার হয়ে ৭৯ সালে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই ভারতের দিল্লিতে গিয়ে আমাকে সাহস যুগিয়েছিলেন তিনি। প্রয়াত শামসুজ্জোহা শুধু আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যই ছিলেন না, চরম দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতেও বিশাল অবদান রেখে গেছেন তিনি।
নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণীতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকাননি নাসিম। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওসমান পরিবার বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে। আইয়ুব খানের আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরও যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এ পরিবারের ওপর আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। আর এই স্বাধীনতার জন্য অনেক পরিবারের আÍত্যাগ রয়েছে। সেই আত্মত্যাগ করা পরিবারের একটি ওসমান পরিবার। আর কিছু পরিবারকে কেন যেন সবসময়ই একটি মহলবিশেষ টার্গেট করে আঘাত হানে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি মোশতাক ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর আÍস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক ও রশিদ বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছে, এ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের কথা তারা জিয়াকে জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জিয়ার পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার কথা ফারুক-রশিদরা নিজেরাই বলে গেছে। তিনি বলেন, সেই ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নাসিম ওসমান একজন বীর সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে নববধূকে রেখেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, দেশত্যাগ করেছিলেন। কোনো মানুষই ভুল-ত্র“টির ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অনেক কাজ করে গেছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, পুরো ওসমান পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শামসুজ্জোহা আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করে গেছেন। এখনও তার সন্ত্রানসহ পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করে যাচ্ছেন। নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টি করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধকারী ছাত্র নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাসিম ওসমান। বাংলাদেশে এখন যা চলছে তা কি ওসমান পরিবারের সঙ্গে অন্য কারোর দ্বন্দ্ব? বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য যারা লালন করেছে, ওই পরিবারের সঙ্গে যাদের সাহচার্য ছিল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান, আদর্শবান ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন নাসিম ওসমান। নাসিম ওসমানসহ আমরা ভারতে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে। আমরা পারিনি। জাতীয় পার্টি করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। রাজনীতি বড় নির্মম, বড় কঠিন। রাজনৈতিক কূটচালে অনেকেই অনেক কিছু বলে থাকে। ওসমান পরিবারও তেমনি রাজনৈতিক কূটচালের শিকার।
মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, লাখ লাখ মানুষ নাসিম ওসমানের জানাজায় অংশ নিয়েছেন, অঝোরে কেঁদেছেন। এতবড় নামাজে জানাজা অতীতে কখনও দেখিনি। এটাই প্রমাণ করে সব দলের মানুষের কাছে নাসিম ওসমান কত প্রিয় ছিলেন। চার চারবার এমপি নির্বাচিত হলেও পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ন্যূনতম একটি বাড়ি নেই। পুরো পরিবারকে নিঃস্ব রেখে চলে গেছেন নাসিম ওসমান। আমাদের সবারই উচিত তার পরিবারের সদস্যদের পাশে এসে দাঁড়ানো।
এবিএম রুহুল আমিন হাওলদার বলেন, নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি একজন সৎ, সাহসী, ত্যাগী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থাবান রাজনীতিক ছিলেন।
No comments:
Post a Comment