ছিটমহল বিনিময় নিয়ে মমতার সুর বদল
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন, ২০১৪
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ছিটমহল বিনিময় নিয়ে এবার সুর বদল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছেন, অন্য পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা না থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতি দেবেন তিনি। হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়। তবে অন্য পক্ষ বলতে মমতা কাদের বুঝিয়েছেন সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের নতুন সরকার এরই মধ্যে বিনাশর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতির কথা জানিয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ছিটমহল বিনিময়ের পথ সুগম করতে দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তির আলোকে নতুন করে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু স্থলসীমান্ত চুক্তি ও এর আওতায় স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনের বিল ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উত্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস, আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ও বিজেপির বিরোধিতায় তা আটকে যায়। তৃণমূল ও এজিপির বিরোধিতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভারতের পার্লামেন্টের সর্বশেষ শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন মনমোহন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ।
গত সোমবার শিলিগুড়িতে মমতা ব্যানার্জি বলেন, দুই দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের সহজে চলাচলের প্রস্তাবের বিষয়ে তার সরকারের বিরোধিতা ছিল না। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করার বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মোট ছিটমহলের সংখ্যা ১৬২টি। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। মোট ১৭ হাজার ১৫৮ একর জায়গা নিয়ে এসব ছিটমহলে বর্তমানে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশী ছিটমহল রয়েছে ৫১টি, যার সবকটিই পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায়। সাত হাজার ১১০ একর জায়গাজুড়ে ছিটমহলগুলোয় বাসিন্দা রয়েছেন ১৪ হাজার ২১৫ জন।
- See more at: http://www.jugantor.com/last-page/2014/06/04/107375#sthash.ncRITsTP.dpufগত সোমবার শিলিগুড়িতে মমতা ব্যানার্জি বলেন, দুই দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের সহজে চলাচলের প্রস্তাবের বিষয়ে তার সরকারের বিরোধিতা ছিল না। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করার বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মোট ছিটমহলের সংখ্যা ১৬২টি। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। মোট ১৭ হাজার ১৫৮ একর জায়গা নিয়ে এসব ছিটমহলে বর্তমানে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশী ছিটমহল রয়েছে ৫১টি, যার সবকটিই পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায়। সাত হাজার ১১০ একর জায়গাজুড়ে ছিটমহলগুলোয় বাসিন্দা রয়েছেন ১৪ হাজার ২১৫ জন।
No comments:
Post a Comment