লালবাতির বাড়াবাড়িতে মমতার লাগাম
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন, ২০১৪
দল ও প্রশাসনের ক্ষমতাধরদের নিয়ন্ত্রণে এবার লালবাতির ব্যবহার নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছেন মমতা ব্যানার্জি। কেন্দ্রের মন্ত্রী কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির যে পদেই থাকুন না কেন কখনোই গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করেন না। তাকে অনুসরণ করে চলেছেন মদন মিত্র। পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকেন যিনি। মমতার নির্দেশে পরিবহন দফতর লালবাতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৯০ ভাগ কমিয়ে দিতে চাইছে। আইন দফতর নয়া তালিকা অনুমোদন করলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে পরিবহন দফতর। আগামী সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সোমবার সরকারি সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সুপ্রিমকোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে হাতিয়ার করলেও সরকারি সূত্রের খবর, মমতা নিজেও চাইছিলেন, লালবাতি নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ হোক। নানা পদে আসীন দলের নেতাদের একাংশ যেভাবে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে এলাকায় ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন, মমতা তাতে লাগাম টানতে চান। ক্ষমতায় থাকার সময় সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক চলাকালীন যেভাবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের চারপাশ লালবাতি লাগানো গাড়িতে ভরে যেত, এখন সেই ছবিই ফুটে ওঠে নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের সভায়।
নয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রী, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন। অফিসারদের মধ্যে এই সুবিধা পাবেন শুধু মুখ্যসচিব ও তার সমমর্যাদার পদাধিকারীরা। অর্থাৎ বিভাগীয় সচিব, কলকাতার মেয়র, পুলিশ কমিশনারও বাদ যেতে পারেন নয়া তালিকা থেকে। এখন অবশ্য সরকারি তালিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, সদস্য এমনকি জেলায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা, নিচুতলার অফিসাররা লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ছেন।
গাড়িতে লালবাতির এই বেআইনি ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। দেশের সর্বত্রই ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে গাড়ির মাথায় লালবাতি লাগিয়ে চলাফেরা করা রেওয়াজ হয়ে গেছে রাজনীতি ও প্রশাসনে যুক্ত একাংশের, সরকারিভাবে যাদের সে অধিকার নেই। এই অনিয়ম বন্ধে একাধিক হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন সময় সরকারকে সতর্ক করে রায় দিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। মাস তিনেক আগে এ রকমই একটি মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সব রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়ে লালবাতির ব্যবহারে লাগাম টানার নির্দেশ দেন। যদিও মামলাকারীদের আর্জি ছিল, লালবাতির ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক সর্বোচ্চ আদালত। কারণ, গাড়ির মাথায় লালবাতির ব্যবহার আদতে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। তাছাড়া এই ব্যাপারে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক দায়ও নেই প্রশাসনের। যদিও গাড়িতে লালবাতি জ্বললে বাড়তি সুবিধা দেয়ার কোনো বিধান পরিবহন দফতর এবং ট্রাফিক পুুলিশের নিয়মকানুনের মধ্যে বলা নেই। তবে বাস্তবে লালবাতি লাগানো গাড়ি প্রায়ই ট্রাফিক আইন ভাঙে। পুলিশ দেখেও ব্যবস্থা নেয় না।
এই পরিস্থিতিতে লালবাতির ব্যবহার জারি রেখে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালত মামলাকারীদের মূল আর্জি নিয়ে নীরব থেকে কার্যত পর্বতের মূষিক প্রসব করেছেন বলে পরিবহন মহলের একাংশ মনে করছে। তাদের বক্তব্য, ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, লাল বা বিশেষ রঙের বাতি শুধু অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, দমকলের গাড়িতে থাকতে পারে। মন্ত্রী-অফিসার-বিচারপতির গাড়ির মাথায় লালবাতির ব্যবহার আসলে ব্রিটিশ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।
পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র সোমবার বলেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশই শুধু নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লালবাতির ব্যবহারে লাগাম টানতে চান। তার নির্দেশ মেনেই নয়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন দফতরের তৈরি তালিকা প্রকাশ করার আগে আইন দফতরের মতামত নেয়া দরকার। আশা করছি, এ সপ্তাহেই নয়া তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
নয়া তালিকা অনুসরণ করলে লালবাতি নিয়ে বাড়াবাড়ি কমবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
- See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2014/06/04/107428#sthash.gZwhhhIm.dpufনয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রী, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন। অফিসারদের মধ্যে এই সুবিধা পাবেন শুধু মুখ্যসচিব ও তার সমমর্যাদার পদাধিকারীরা। অর্থাৎ বিভাগীয় সচিব, কলকাতার মেয়র, পুলিশ কমিশনারও বাদ যেতে পারেন নয়া তালিকা থেকে। এখন অবশ্য সরকারি তালিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, সদস্য এমনকি জেলায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা, নিচুতলার অফিসাররা লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ছেন।
গাড়িতে লালবাতির এই বেআইনি ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। দেশের সর্বত্রই ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে গাড়ির মাথায় লালবাতি লাগিয়ে চলাফেরা করা রেওয়াজ হয়ে গেছে রাজনীতি ও প্রশাসনে যুক্ত একাংশের, সরকারিভাবে যাদের সে অধিকার নেই। এই অনিয়ম বন্ধে একাধিক হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন সময় সরকারকে সতর্ক করে রায় দিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। মাস তিনেক আগে এ রকমই একটি মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সব রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়ে লালবাতির ব্যবহারে লাগাম টানার নির্দেশ দেন। যদিও মামলাকারীদের আর্জি ছিল, লালবাতির ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক সর্বোচ্চ আদালত। কারণ, গাড়ির মাথায় লালবাতির ব্যবহার আদতে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। তাছাড়া এই ব্যাপারে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক দায়ও নেই প্রশাসনের। যদিও গাড়িতে লালবাতি জ্বললে বাড়তি সুবিধা দেয়ার কোনো বিধান পরিবহন দফতর এবং ট্রাফিক পুুলিশের নিয়মকানুনের মধ্যে বলা নেই। তবে বাস্তবে লালবাতি লাগানো গাড়ি প্রায়ই ট্রাফিক আইন ভাঙে। পুলিশ দেখেও ব্যবস্থা নেয় না।
এই পরিস্থিতিতে লালবাতির ব্যবহার জারি রেখে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালত মামলাকারীদের মূল আর্জি নিয়ে নীরব থেকে কার্যত পর্বতের মূষিক প্রসব করেছেন বলে পরিবহন মহলের একাংশ মনে করছে। তাদের বক্তব্য, ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, লাল বা বিশেষ রঙের বাতি শুধু অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, দমকলের গাড়িতে থাকতে পারে। মন্ত্রী-অফিসার-বিচারপতির গাড়ির মাথায় লালবাতির ব্যবহার আসলে ব্রিটিশ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।
পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র সোমবার বলেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশই শুধু নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লালবাতির ব্যবহারে লাগাম টানতে চান। তার নির্দেশ মেনেই নয়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন দফতরের তৈরি তালিকা প্রকাশ করার আগে আইন দফতরের মতামত নেয়া দরকার। আশা করছি, এ সপ্তাহেই নয়া তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
নয়া তালিকা অনুসরণ করলে লালবাতি নিয়ে বাড়াবাড়ি কমবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments:
Post a Comment