শ্লীলতাহানির নালিশ পুলিশের বিরুদ্ধেই, ধুন্ধুমার জগদ্দলে
এই সময়: রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী-নিগ্রহের আবহে এ বার এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ৷ উপরন্ত্ত, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে মার খেতে হল নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের৷ অভিযোগ নেওয়ার বদলে পুলিশ উল্টে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই গ্রেপ্তার করায় সোমবার রাতে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানা চত্বরে৷ পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগে রাত পর্যন্ত জগদ্দল থানা এবং ব্যারাকপুর-কল্যাণীর মধ্যে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে রাখেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ অন্য দিকে, উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে গুরুতর জখম হয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলও৷ তাঁকে রাতেই কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
জগদ্দলের স্থিরপাড়ার বাসিন্দা, দমদম সেন্ট্রাল জেলে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মলয় ওঁরাওয়ের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দীনেশ ওঁরাওয়ের পরিবারের গোলমাল বাধে সোমবার দুপুরে৷ হই-হট্টগোলের পর তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়৷ কিন্ত্ত সন্ধ্যায় ফের প্রতিবেশীর বাড়িতে যান মলয়৷ সে সময় ওই বাড়িতে দীনেশের দিদি ছিলেন৷ অভিযোগ, বাড়িতে অন্য কারও না থাকার সুযোগে ওই যুবতীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন মলয়৷ মহিলার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আতঙ্কিত, এলোমেলো পোশাকে তাঁকে উদ্ধার করেন৷ তার মধ্যেই সেখান থেকে সরে পড়েন মলয়৷ কিন্ত্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আগেই লোকজন তাঁকে ধরে ফেলে৷ চলে মারধর৷ প্রথমে তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কল্যাণীর হাসপাতালে পাঠানো হয়৷
ওই যুবতীর হয়ে থানায় অভিযোগ জানাতেও যান একদল প্রতিবেশী৷ আবার দাদাকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান মলয়ের ভাই পঞ্চুও৷ অভিযোগ, থানা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ এরই মধ্যে পঞ্চুর দলবলের সঙ্গে থানার মধ্যেই বচসা বেধে যায় দীনেশ-সহ অন্য প্রতিবেশীদের৷ এর পরেই পুলিশ লাঠি চালায়৷ বেশ কয়েক জন জখম হন৷ ক্ষুব্ধ জনতা এর পর থানার সামনে অবরোধ শুরু করে৷ পরে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় দু'পক্ষকে ডেকে পুলিশ অভিযোগ নিলে অবরোধ ওঠে৷ ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের ডিসি সি সুধাকর বলেন, 'দু'টি অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷'
জগদ্দলের স্থিরপাড়ার বাসিন্দা, দমদম সেন্ট্রাল জেলে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মলয় ওঁরাওয়ের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দীনেশ ওঁরাওয়ের পরিবারের গোলমাল বাধে সোমবার দুপুরে৷ হই-হট্টগোলের পর তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়৷ কিন্ত্ত সন্ধ্যায় ফের প্রতিবেশীর বাড়িতে যান মলয়৷ সে সময় ওই বাড়িতে দীনেশের দিদি ছিলেন৷ অভিযোগ, বাড়িতে অন্য কারও না থাকার সুযোগে ওই যুবতীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন মলয়৷ মহিলার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আতঙ্কিত, এলোমেলো পোশাকে তাঁকে উদ্ধার করেন৷ তার মধ্যেই সেখান থেকে সরে পড়েন মলয়৷ কিন্ত্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আগেই লোকজন তাঁকে ধরে ফেলে৷ চলে মারধর৷ প্রথমে তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কল্যাণীর হাসপাতালে পাঠানো হয়৷
ওই যুবতীর হয়ে থানায় অভিযোগ জানাতেও যান একদল প্রতিবেশী৷ আবার দাদাকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান মলয়ের ভাই পঞ্চুও৷ অভিযোগ, থানা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ এরই মধ্যে পঞ্চুর দলবলের সঙ্গে থানার মধ্যেই বচসা বেধে যায় দীনেশ-সহ অন্য প্রতিবেশীদের৷ এর পরেই পুলিশ লাঠি চালায়৷ বেশ কয়েক জন জখম হন৷ ক্ষুব্ধ জনতা এর পর থানার সামনে অবরোধ শুরু করে৷ পরে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় দু'পক্ষকে ডেকে পুলিশ অভিযোগ নিলে অবরোধ ওঠে৷ ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের ডিসি সি সুধাকর বলেন, 'দু'টি অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷'
No comments:
Post a Comment