Thursday, June 26, 2014

সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডব মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি

সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডব
মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি একজন জামায়াত কর্মী। আর মামলার আসামি গ্রেফতার হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে নিতে এক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য মামলার বাদী ও তার ৩টি সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে গ্রামছাড়া করেছে মামলার আসামি জামায়াত নেতার ভাইসহ জামায়াত শিবিরকর্মী স্বজনরা। মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে এ সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তাকেসহ তার তিনটি শিশু সন্তানকে। পুনরায় মামলা করতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা দিতে একদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয় গ্রামে। নিজের ও সন্তানদের জীবন বাঁচাতে জবারানী প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ছেড়ে এখন সাতক্ষীরা শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছে এক পরিচিত মুসলিম পরিবারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনটি সন্তান নিয়ে উপস্থিত হন জবারানী। লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নির্যাতিত ও নিরাপত্তাহীন আশাশুনি উপজেলার পারশেমারি গ্রামের মানিক চন্দ্র বাছাড়ের স্ত্রী জবারাণী বাছাড়। জবারাণী অভিযোগ করে বলেন, অভাবের তাড়নায় তার স্বামী ভারতে ইটের ভাটায় কাজ করতে গেছে। সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। গত ২০ মে রাতে আশাশুনি উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামের কেরামত আলী সরদারের ছেলে জামায়াত কর্মী ইউসুফ আলী (৪৫) তাকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী চিংড়ি ঘেরের বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে কোন লাভ না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ২২ জুন আশাশুনি থানা পুলিশ কাপসন্ডা বাজার থেকে আসামি ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে। আসামি ইউসুফ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার স্বজনরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় ২৪ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আসামি ইউসুফের ছেলে শিবিরকর্মী আফিলউদ্দিন, রবিউল ইসলাম, ভাই রুহুল আমিন, রহিম, ভাগ্নে আব্দুল আলমগীর, বোন হালিমা খাতুন, সুন্দরী, সুফলাসহ কয়েকজন তার বাড়িতে ঢোকে। এ সময় তারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য একশত ও ৫০ টাকার দুটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। রাজি না হওয়ায় তারা তাকে এলোপাতাড়িভাবে লাঠিপেটা ও কিল ঘুষি মেরে জখম করে। ভাংচুর করা হয় ঘরের আসবাবপত্র ও চাল।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment