ডিজেলে ভর্তুকি উঠতে পারে কয়েক মাসেই
ডিজেলের দাম লিটারে ৫০ পয়সা বাড়ানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে শনিবার অনুমতি দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ এই শেষ দফায় দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে বিপণন সংস্থাগুলির ক্ষতির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮০ টাকা৷ মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪.৪১ টাকা৷ উল্লেখ্য, তেল বিপণন সংস্থাগুলির এই ক্ষতি ভর্তুকি হিসাবে মিটিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং ওএনজিসি, অয়েল ইন্ডিয়া ও গ্যাস অথরীটির মতো তেল উত্পাদনকারী সংস্থাগুলি৷ লিটার প্রতি ডিজেল বিক্রিতে বিপণন সংস্থাগুলির ক্ষতির পরিমাণ এই হারে কমতে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের বাজারে ডিজেলের দাম সম্পূর্ণ বিনিয়ন্ত্রণ করা মোদী সরকারের পক্ষে অনেক সহজ হবে৷ বস্ত্তত, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে হয়ত অনেক কম অর্থ ডিজেলের ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ করতে হতে পারে৷ এটা নিসন্দেহে রাজকোষ ঘাটতিকে কমিয়ে আনার পক্ষে বেশ খানিকটা সহজ হবে জেটলির পক্ষে৷
পারিখ কমিটির সুপারিশ মেনে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই মাসে মাসে ৫০ পয়সা করে দাম বাড়িয়ে ডিজেলকে ভর্তুকি শূন্য করার পথে হাঁটছিল মনমোহন সিং সরকার৷ কিন্ত্ত, গত বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ টাকার দাম হঠাত্ অনেকটা পড়ে যাওয়ায় এবং ভোটের মুখে দু'মাস ইউপি সরকার ডিজেলের দাম না বাড়ানোয় ভর্তুকি পরিমাণও বাড়ছিল৷ এখন মোদী হাওয়ায় ডলার সাপেক্ষে টাকার বিনিময় দর এখন অনেক বেড়েছে৷ আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৮ ডলারের নীচে নেমে এসেছে৷ ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমে যাওয়ায় ডিজেল বিক্রি করে লিটারে ১৪.৫০ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল বিপণন সংস্থার৷ এখন সেই ক্ষতির পরিমাণ কমে হয়েছে ২.৮০ টাকা৷ এ বছর মার্চ মাস থেকে ডিজেলের ভর্তুকি তত দ্রুত কমেছে৷ মার্চে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল লিটারে ৮.৩৭ টাকা৷ ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ দফায় ডিজেলের দাম লিটারে ১০.১২ টাকা বেড়েছে৷
এবার অবশ্য দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সংস্কারের বিষয়টি বোঝার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ ডিজেল ছাড়াও কেরোসিনে লিটারে ৩২.৮৭ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দেয় ৪৩২.৫০ টাকা করে৷ এই হারে ভর্তুকি বজায় থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ১,০১,৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি পাওনা হবে৷ ২০১২-১৩ সালে এই পরিমাণ ছিল ১,৪০,০০০ কোটি টাকা৷
পারিখ কমিটির সুপারিশ মেনে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই মাসে মাসে ৫০ পয়সা করে দাম বাড়িয়ে ডিজেলকে ভর্তুকি শূন্য করার পথে হাঁটছিল মনমোহন সিং সরকার৷ কিন্ত্ত, গত বছর অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ টাকার দাম হঠাত্ অনেকটা পড়ে যাওয়ায় এবং ভোটের মুখে দু'মাস ইউপি সরকার ডিজেলের দাম না বাড়ানোয় ভর্তুকি পরিমাণও বাড়ছিল৷ এখন মোদী হাওয়ায় ডলার সাপেক্ষে টাকার বিনিময় দর এখন অনেক বেড়েছে৷ আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৮ ডলারের নীচে নেমে এসেছে৷ ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমে যাওয়ায় ডিজেল বিক্রি করে লিটারে ১৪.৫০ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল বিপণন সংস্থার৷ এখন সেই ক্ষতির পরিমাণ কমে হয়েছে ২.৮০ টাকা৷ এ বছর মার্চ মাস থেকে ডিজেলের ভর্তুকি তত দ্রুত কমেছে৷ মার্চে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল লিটারে ৮.৩৭ টাকা৷ ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ দফায় ডিজেলের দাম লিটারে ১০.১২ টাকা বেড়েছে৷
এবার অবশ্য দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সংস্কারের বিষয়টি বোঝার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ ডিজেল ছাড়াও কেরোসিনে লিটারে ৩২.৮৭ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দেয় ৪৩২.৫০ টাকা করে৷ এই হারে ভর্তুকি বজায় থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ১,০১,৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি পাওনা হবে৷ ২০১২-১৩ সালে এই পরিমাণ ছিল ১,৪০,০০০ কোটি টাকা৷
No comments:
Post a Comment