কাপ জিততে নরকের পথেও যেতে রাজি ব্রাজিল অধিনায়ক
সাও পাওলো: বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাঁচটি দেশকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ধরছেন ব্রাজিল অধিনায়ক তিয়াগো সিলভা৷ ব্রাজিল ছাড়া আগে রাখছেন জার্মানি, আর্জেন্তিনা এবং স্পেনকে৷ তার পরেই রাখতে চান ইতালি, উরুগুয়েকে৷ বিশ্বের এক নম্বর স্টপারের ভাবনা দাঁড়াচ্ছে এ রকম৷
প্রশ্ন: আপনাদের দল কি নেইমার কেন্দ্রিক? তিয়াগো: নেইমার নিশ্চয়ই দলের বড় শক্তি৷ ও প্রমাণ করেছে, দলকে ভরসা দেওয়ার ক্ষমতা ওর আছে৷ কিন্ত্ত আমাদের ব্রাজিল দলের শক্তি সকলের একাত্মতা, সংহতিই৷
প্রশ্ন: ইউরোপে খেলায় নেইমারের কতটা উন্নতি হয়েছে? ওর এই খেলার স্টাইল বদল কি আপনাদের দলের খেলায় কতটা প্রভাব ফেলবে? তিয়াগো: ও এখন অনেক পরিণত৷ শিখেছেও অনেক৷ ও ম্যাচের জন্য এখন অনেক বেশি টেকটিক্যাল হয়ে উঠেছে৷ ওর এ সব উন্নতি অবশ্যই আমাদের খেলায় কাজে লাগবে৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে কে সেরা হবে? মেসি, রোনাল্দো, নেইমার... তিয়াগো: আর নাম করার দরকার নেই৷ নেইমারই সেরা হবে৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ জয়ে ফেভারিট কারা? তিয়াগো: অবশ্যই ব্রাজিল৷ তার পাশাপাশি জার্মানি, আর্জেন্তিনা, স্পেনকে রাখতে হবে৷ ইতালি ও উরুগুয়েও চমক দিতে পারে৷
প্রশ্ন: গ্রুপ পর্যায়ের খেলা নিয়ে অপনার ভাবনা কী? কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্পেন না নেদারল্যান্ডস, কাকে চাইছেন? তিয়াগো: শক্ত গ্রুপে রয়েছি আমরা৷ তাই কিছু বাধার সামনে তো পড়তেই হবে৷ আমরা তার জন্য তৈরিও৷ আমরা ম্যাচ ধরে ধরে ভাবছি৷ কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন,আমরা তাকে সমীহ করলেও জেতার জন্যই ঝাঁপাব৷
প্রশ্ন:আগের বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন৷ এ বার অধিনায়কের দায়িত্বে৷ কতটা বাড়তি চাপ রয়েছে? তিয়াগো: ভিতরে ভিতরে অবশ্যই একটা উত্তেজনাবোধ করছি৷ যে কোনও ফুটবলারের জীবনেই বিশ্বকাপ সবথেকে বড় মঞ্চ৷ সেখানে দেশের জার্সি গায়ে খেলাটাই স্বপ্নের৷ আমিও তার ব্যতিক্রম নই৷ তবে আমি এই চাপ নেওয়ার জন্য তৈরি৷ শুধু প্রত্যাশাপূরণ নয়, নিজের সেরাটাই এ বার উজাড় করে দিতে চাই৷
প্রশ্ন: দেশের মাঠে বিশ্বকাপ৷ আবার আপনিই সেখানে দলের নেতা৷ কেমন অনুভূতি? তিয়াগো: দা-রু-ণ৷ বোঝানো যাবে না৷ পেশাগত জীবনের সেরা প্রাপ্তি৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ হাতে আপনি? এমন ভাবনা কি মনে আসছে? তিয়াগো: অবশ্যই৷ সারাক্ষণই তো এই একটা স্বপ্নই দেখছি৷ যদি সেটা পারি তা হলে জীবনে কিছু বিশেষ কাজ করতে পারলাম বলে মনে করব৷
প্রশ্ন: সকলেই বলছেন আপনি আর দাবিদ লুইস এইমুহূর্তে বিশ্বের সেরা ডিফেন্স লাইন৷ এত দিন ব্রাজিল বলতে শুধু আক্রমণভাগই সমীহ পেত৷ এখন ডিফেন্সও পাচ্ছে৷ এটা কেমনভাবে দেখছেন? তিয়াগো: ব্রাজিল বরাবরই তাদের ফুটবলারদের সেরা গুণগত মানের জন্য সমীহ পেয়ে এসেছে৷ আমাদের দলে গ্রেট গোলকিপার আছে৷ আছে গোল করার ও করানোর জন্য বিশ্বের সেরা তারকারা৷ সব পজিশনই তাই সমীহ পাচ্ছে৷
প্রশ্ন: কোচ স্কোলারি বলেছেন, দলের জন্য নরকেও যেতে হবে৷ আপনিও কি তাঁর সঙ্গে এক মত? তিয়াগো: কোচ যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন৷ দলের স্বার্থে আমাদের সকলেরই একসঙ্গে একই পথে হাঁটতে হবে৷ আমরা তার জন্য প্রস্ত্তত৷
প্রশ্ন: প্যারিস সাঁ জাঁয় মরসুমটা কেমন কেটেছে? ইউরোপের এই ক্লাবে খেলে আপনি কতটা ফিট রয়েছেন? তিয়াগো: অবশ্যই একটা ভালো মরসুম কেটেছে৷ দুর্ভাগ্যের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেশিদূর এগোতে পারিনি৷ তবে এ দিয়ে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার কোনও তুলনা করা যায় না৷ আমি ফিট৷ দেশের জন্য ঝাঁপানোর জন্য পুরো তৈরি৷
প্রশ্ন: আপনার চিবুকের চোটটা কেমন আছে? বিশ্বকাপের সময় কি মুখোশ পরে নামবেন? তিয়াগো: না, না, এখন কোনও চোট নেই৷ ওই ধাক্কা সামলে নিয়েছি৷ তবে হ্যাঁ মুখোশটা কাছে রাখব৷ প্রয়োজনে পরতেও পারি৷
প্রশ্ন: ২০০৫ সালে রাশিয়ায় আপনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন টিবিতে আক্রান্ত হয়ে৷ এটা আপনার খেলোয়াড়ি জীবনের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা জাগিয়েছিল৷ সেই খারাপ সময়টার কথা মনে পড়ে? তিয়াগো: ওহ্, বড্ড ভয়াবহ ছিল সে সব দিন৷ মানুষের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া ফিরে আসা কঠিন ছিল৷ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ উনি আবার আমায় মাঠে ফিরিয়ে এনেছেন৷
প্রশ্ন: ২০০৬ সালে ফ্লুমিনেসে খেলার সময়ই দেশের জার্সি পরেছিলেন৷ আজ আপনি দেশের অধিনায়ক৷ মনে পড়ছে পুরোনো ক্লাবের কথা? তিয়াগো: ফ্লুমিনেসের কথা ভোলার নয়৷ ওদের মঞ্চটা না পেলে আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না৷ কে বলতে পারে আমি এই ক্লাবে আর ফিরব না৷
http://eisamay.indiatimes.com/sports/football/Brazil-captain-can-even-visit-Hell-to-win-WC2014/articleshow/35911173.cms
সাও পাওলো: বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাঁচটি দেশকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ধরছেন ব্রাজিল অধিনায়ক তিয়াগো সিলভা৷ ব্রাজিল ছাড়া আগে রাখছেন জার্মানি, আর্জেন্তিনা এবং স্পেনকে৷ তার পরেই রাখতে চান ইতালি, উরুগুয়েকে৷ বিশ্বের এক নম্বর স্টপারের ভাবনা দাঁড়াচ্ছে এ রকম৷
প্রশ্ন: আপনাদের দল কি নেইমার কেন্দ্রিক? তিয়াগো: নেইমার নিশ্চয়ই দলের বড় শক্তি৷ ও প্রমাণ করেছে, দলকে ভরসা দেওয়ার ক্ষমতা ওর আছে৷ কিন্ত্ত আমাদের ব্রাজিল দলের শক্তি সকলের একাত্মতা, সংহতিই৷
প্রশ্ন: ইউরোপে খেলায় নেইমারের কতটা উন্নতি হয়েছে? ওর এই খেলার স্টাইল বদল কি আপনাদের দলের খেলায় কতটা প্রভাব ফেলবে? তিয়াগো: ও এখন অনেক পরিণত৷ শিখেছেও অনেক৷ ও ম্যাচের জন্য এখন অনেক বেশি টেকটিক্যাল হয়ে উঠেছে৷ ওর এ সব উন্নতি অবশ্যই আমাদের খেলায় কাজে লাগবে৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে কে সেরা হবে? মেসি, রোনাল্দো, নেইমার... তিয়াগো: আর নাম করার দরকার নেই৷ নেইমারই সেরা হবে৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ জয়ে ফেভারিট কারা? তিয়াগো: অবশ্যই ব্রাজিল৷ তার পাশাপাশি জার্মানি, আর্জেন্তিনা, স্পেনকে রাখতে হবে৷ ইতালি ও উরুগুয়েও চমক দিতে পারে৷
প্রশ্ন: গ্রুপ পর্যায়ের খেলা নিয়ে অপনার ভাবনা কী? কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্পেন না নেদারল্যান্ডস, কাকে চাইছেন? তিয়াগো: শক্ত গ্রুপে রয়েছি আমরা৷ তাই কিছু বাধার সামনে তো পড়তেই হবে৷ আমরা তার জন্য তৈরিও৷ আমরা ম্যাচ ধরে ধরে ভাবছি৷ কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন,আমরা তাকে সমীহ করলেও জেতার জন্যই ঝাঁপাব৷
প্রশ্ন:আগের বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন৷ এ বার অধিনায়কের দায়িত্বে৷ কতটা বাড়তি চাপ রয়েছে? তিয়াগো: ভিতরে ভিতরে অবশ্যই একটা উত্তেজনাবোধ করছি৷ যে কোনও ফুটবলারের জীবনেই বিশ্বকাপ সবথেকে বড় মঞ্চ৷ সেখানে দেশের জার্সি গায়ে খেলাটাই স্বপ্নের৷ আমিও তার ব্যতিক্রম নই৷ তবে আমি এই চাপ নেওয়ার জন্য তৈরি৷ শুধু প্রত্যাশাপূরণ নয়, নিজের সেরাটাই এ বার উজাড় করে দিতে চাই৷
প্রশ্ন: দেশের মাঠে বিশ্বকাপ৷ আবার আপনিই সেখানে দলের নেতা৷ কেমন অনুভূতি? তিয়াগো: দা-রু-ণ৷ বোঝানো যাবে না৷ পেশাগত জীবনের সেরা প্রাপ্তি৷
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ হাতে আপনি? এমন ভাবনা কি মনে আসছে? তিয়াগো: অবশ্যই৷ সারাক্ষণই তো এই একটা স্বপ্নই দেখছি৷ যদি সেটা পারি তা হলে জীবনে কিছু বিশেষ কাজ করতে পারলাম বলে মনে করব৷
প্রশ্ন: সকলেই বলছেন আপনি আর দাবিদ লুইস এইমুহূর্তে বিশ্বের সেরা ডিফেন্স লাইন৷ এত দিন ব্রাজিল বলতে শুধু আক্রমণভাগই সমীহ পেত৷ এখন ডিফেন্সও পাচ্ছে৷ এটা কেমনভাবে দেখছেন? তিয়াগো: ব্রাজিল বরাবরই তাদের ফুটবলারদের সেরা গুণগত মানের জন্য সমীহ পেয়ে এসেছে৷ আমাদের দলে গ্রেট গোলকিপার আছে৷ আছে গোল করার ও করানোর জন্য বিশ্বের সেরা তারকারা৷ সব পজিশনই তাই সমীহ পাচ্ছে৷
প্রশ্ন: কোচ স্কোলারি বলেছেন, দলের জন্য নরকেও যেতে হবে৷ আপনিও কি তাঁর সঙ্গে এক মত? তিয়াগো: কোচ যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন৷ দলের স্বার্থে আমাদের সকলেরই একসঙ্গে একই পথে হাঁটতে হবে৷ আমরা তার জন্য প্রস্ত্তত৷
প্রশ্ন: প্যারিস সাঁ জাঁয় মরসুমটা কেমন কেটেছে? ইউরোপের এই ক্লাবে খেলে আপনি কতটা ফিট রয়েছেন? তিয়াগো: অবশ্যই একটা ভালো মরসুম কেটেছে৷ দুর্ভাগ্যের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেশিদূর এগোতে পারিনি৷ তবে এ দিয়ে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার কোনও তুলনা করা যায় না৷ আমি ফিট৷ দেশের জন্য ঝাঁপানোর জন্য পুরো তৈরি৷
প্রশ্ন: আপনার চিবুকের চোটটা কেমন আছে? বিশ্বকাপের সময় কি মুখোশ পরে নামবেন? তিয়াগো: না, না, এখন কোনও চোট নেই৷ ওই ধাক্কা সামলে নিয়েছি৷ তবে হ্যাঁ মুখোশটা কাছে রাখব৷ প্রয়োজনে পরতেও পারি৷
প্রশ্ন: ২০০৫ সালে রাশিয়ায় আপনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন টিবিতে আক্রান্ত হয়ে৷ এটা আপনার খেলোয়াড়ি জীবনের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা জাগিয়েছিল৷ সেই খারাপ সময়টার কথা মনে পড়ে? তিয়াগো: ওহ্, বড্ড ভয়াবহ ছিল সে সব দিন৷ মানুষের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া ফিরে আসা কঠিন ছিল৷ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ উনি আবার আমায় মাঠে ফিরিয়ে এনেছেন৷
প্রশ্ন: ২০০৬ সালে ফ্লুমিনেসে খেলার সময়ই দেশের জার্সি পরেছিলেন৷ আজ আপনি দেশের অধিনায়ক৷ মনে পড়ছে পুরোনো ক্লাবের কথা? তিয়াগো: ফ্লুমিনেসের কথা ভোলার নয়৷ ওদের মঞ্চটা না পেলে আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না৷ কে বলতে পারে আমি এই ক্লাবে আর ফিরব না৷
http://eisamay.indiatimes.com/sports/football/Brazil-captain-can-even-visit-Hell-to-win-WC2014/articleshow/35911173.cms
No comments:
Post a Comment