জিয়া হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৪ জুন, ২০১৪
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নতুন করে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, বিএনপির আগের দুই আমলে জিয়া হত্যাকাণ্ডের কিছু তদন্ত হয়েছিল। আবার ক্ষমতায় এলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে।
শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আসামি হতেন- সোমবার প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি এভাবে কথা বলতে অভ্যস্ত। সমগ্র জাতি তার এ মিথ্যা ভাষণ ও বাচনভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের প্রতি ঢিল ছুড়বেন না। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবেন না। যতই মিথ্যাচার করুন লাভ হবে না। জিয়াউর রহমান নিজের কীর্তির জন্য জনগণের কাছে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে সংযোগ আছে বলে বিএনপি মনে করে কি নাÑ জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন ৮১ সালের ১৭ মে আর জিয়াউর রহমান শহীদ হন ৩০ মে। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, শেখ হাসিনাও এই হত্যায় জড়িত ছিলেন কিনা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়ায় যদি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতে পারেন, তাহলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যারা যোগ দিয়েছিলেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের ছিলেন, তারা কেন আসামি হবেন না? শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একে খন্দকার, কেএম শফিউল্লাহকে মন্ত্রী বানালেন। তা হলে কি আমরা বলতে পারি যে, শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত? এটা কোনো যুক্তির কথা নয়। জিয়া নয় আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
জিয়া হত্যার দিন হাসিনা ভারতে পালাচ্ছিলেন : মঙ্গলবার অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ১৩ দিন পর জিয়া মারা গেলেন। আর ওই দিন হাসিনা বোরকা পরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাচ্ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি যদি জিয়ার বিচার করতে চান তবে তার আগে বিচার হওয়া উচিত ছিল তোফায়েল, শফিউল্লাহ ও এইচটি ইমামের। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত অপর আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, দেশব্যাপী অপহরণ, খুন ও গুমের নায়কদের সমর্থন দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুনিদের গ্রেফতার না করে বিদেশে যেতে সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, সহ-সভাপতি মুনীর হোসেন, ইয়াছিন আলী, আলী রেজাউর রহমান রিপন, কামরুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।
প্রেস ক্লাবে অপর এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বলেন, ডেপুটি স্পিকার হত্যা ও সংসদে দাঁড়িয়ে সিরাজ সিকদারকে হত্যার কথা নিজ মুখে স্বীকারোক্তি করার দায়েও তো বিচার হতে পারে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের কটূক্তি ও লাগামহীন অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শাম্মী আখতার, শামীমুর রহমান শামীম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2014/06/04/107368#sthash.xDUYzWUQ.dpufশেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আসামি হতেন- সোমবার প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি এভাবে কথা বলতে অভ্যস্ত। সমগ্র জাতি তার এ মিথ্যা ভাষণ ও বাচনভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের প্রতি ঢিল ছুড়বেন না। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবেন না। যতই মিথ্যাচার করুন লাভ হবে না। জিয়াউর রহমান নিজের কীর্তির জন্য জনগণের কাছে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে সংযোগ আছে বলে বিএনপি মনে করে কি নাÑ জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন ৮১ সালের ১৭ মে আর জিয়াউর রহমান শহীদ হন ৩০ মে। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, শেখ হাসিনাও এই হত্যায় জড়িত ছিলেন কিনা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়ায় যদি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতে পারেন, তাহলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যারা যোগ দিয়েছিলেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের ছিলেন, তারা কেন আসামি হবেন না? শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একে খন্দকার, কেএম শফিউল্লাহকে মন্ত্রী বানালেন। তা হলে কি আমরা বলতে পারি যে, শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত? এটা কোনো যুক্তির কথা নয়। জিয়া নয় আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
জিয়া হত্যার দিন হাসিনা ভারতে পালাচ্ছিলেন : মঙ্গলবার অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ১৩ দিন পর জিয়া মারা গেলেন। আর ওই দিন হাসিনা বোরকা পরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাচ্ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি যদি জিয়ার বিচার করতে চান তবে তার আগে বিচার হওয়া উচিত ছিল তোফায়েল, শফিউল্লাহ ও এইচটি ইমামের। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত অপর আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, দেশব্যাপী অপহরণ, খুন ও গুমের নায়কদের সমর্থন দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুনিদের গ্রেফতার না করে বিদেশে যেতে সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, সহ-সভাপতি মুনীর হোসেন, ইয়াছিন আলী, আলী রেজাউর রহমান রিপন, কামরুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।
প্রেস ক্লাবে অপর এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বলেন, ডেপুটি স্পিকার হত্যা ও সংসদে দাঁড়িয়ে সিরাজ সিকদারকে হত্যার কথা নিজ মুখে স্বীকারোক্তি করার দায়েও তো বিচার হতে পারে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের কটূক্তি ও লাগামহীন অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শাম্মী আখতার, শামীমুর রহমান শামীম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment