ধর্মগুরু আশুতোষের বিতর্কিত মৃত্যু
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন, ২০১৪
ভারতের একজন প্রথিতযশা ধনী ধর্মগুরুকে আজ কয়েক মাস ধরে একটি বাণিজ্যিক ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। তার ভক্তদের দাবি গুরুজি ধ্যানস্থ আছেন, যদিও ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তিনি মারা গেছেন। আশুতোষ মহারাজ নামের এই ধর্মগুরুর ফ্রিজের চারপাশ ঘিরে সারাক্ষণ তার নেতৃস্থানীয় শিষ্যরা নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে অবস্থান করছেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এই ধর্মগুরু সম্পর্কে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেই নিবন্ধে বলা হয়, ভারতীয় একটি বিচারিক আদালত এই মর্মে সমন জারি করেছেন যে আশুতোষ মহারাজ ধ্যানস্থ আছেন নাকি মারা গেছেন তা পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এই সংবাদ পরবর্তীতে আশুতোষের ফ্রিজ ফিরে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে তার ভক্তরা।
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে স্থানীয় একজন চিকিৎসক আশুতোষ মহারাজের শরীর পরীক্ষা করে। ধর্মগুরুর শরীরে ইসিজি করার পর কোনো হৃদকম্পন ধরা পরেনি, এমনকি শরীরে প্রাণ আছে এমন কোনো চিহ্নও পাওয়া যায়নি। মহারাজের চোখের পাতা থেকে শুরু করে পুরো শরীরের কোথাও কোনো প্রাণের লক্ষণ দেখতে পায়নি ডাক্তার। আর এই অবস্থাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ক্লিনিক্যালি ডেড বা মৃত। তবে আশুতোষ মহারাজের ভক্তদের তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ থেকে মহারাজ সমাধিস্থ হয়েছেন। ফেব্র“য়ারি মাসের তিন তারিখ নাগাদ তার শরীরের চামড়ায় কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরপরই মূলত তাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে মহারাজের স্ত্রী এবং সন্তান জানান, জানুয়ারি মাসেই আশুতোষ মহারাজ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ভক্তরা তার সম্পদকে ভোগদখল করতে তাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছে। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭০ মিলিয়ন রুপি। মহারাজের অর্জিত সম্পদ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়েছে। আর এই ঝামেলার সূত্রপাত খোদ মহারাজ নিজেই।
কারণ তিনি তার সম্পদের কোনো উত্তরসূরি ঘোষণা করে যাননি। তার যাবতীয় সম্পদ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে দানছত্র করে দেয়া হয়েছে আগে থেকেই। উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালে ফ্রান্সের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তেরেস ব্রোজ তিরুমালাই কৃষ্ণমাচার্য নামের এক সাধুর ওপর একটি পরীক্ষা চালান।
- See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2014/06/04/107433#sthash.FmbnGHBO.dpufসম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এই ধর্মগুরু সম্পর্কে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেই নিবন্ধে বলা হয়, ভারতীয় একটি বিচারিক আদালত এই মর্মে সমন জারি করেছেন যে আশুতোষ মহারাজ ধ্যানস্থ আছেন নাকি মারা গেছেন তা পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এই সংবাদ পরবর্তীতে আশুতোষের ফ্রিজ ফিরে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে তার ভক্তরা।
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে স্থানীয় একজন চিকিৎসক আশুতোষ মহারাজের শরীর পরীক্ষা করে। ধর্মগুরুর শরীরে ইসিজি করার পর কোনো হৃদকম্পন ধরা পরেনি, এমনকি শরীরে প্রাণ আছে এমন কোনো চিহ্নও পাওয়া যায়নি। মহারাজের চোখের পাতা থেকে শুরু করে পুরো শরীরের কোথাও কোনো প্রাণের লক্ষণ দেখতে পায়নি ডাক্তার। আর এই অবস্থাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ক্লিনিক্যালি ডেড বা মৃত। তবে আশুতোষ মহারাজের ভক্তদের তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ থেকে মহারাজ সমাধিস্থ হয়েছেন। ফেব্র“য়ারি মাসের তিন তারিখ নাগাদ তার শরীরের চামড়ায় কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরপরই মূলত তাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে মহারাজের স্ত্রী এবং সন্তান জানান, জানুয়ারি মাসেই আশুতোষ মহারাজ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ভক্তরা তার সম্পদকে ভোগদখল করতে তাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছে। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭০ মিলিয়ন রুপি। মহারাজের অর্জিত সম্পদ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়েছে। আর এই ঝামেলার সূত্রপাত খোদ মহারাজ নিজেই।
কারণ তিনি তার সম্পদের কোনো উত্তরসূরি ঘোষণা করে যাননি। তার যাবতীয় সম্পদ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে দানছত্র করে দেয়া হয়েছে আগে থেকেই। উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালে ফ্রান্সের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তেরেস ব্রোজ তিরুমালাই কৃষ্ণমাচার্য নামের এক সাধুর ওপর একটি পরীক্ষা চালান।
No comments:
Post a Comment