বদায়ুন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিন্দা
লখনৌ ও নয়াদিল্লি: লখনৌয়ের রাস্তায় জলকামান থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের তীব্র সমালোচনা৷ বদায়ুনের দুই দলিত নাবালিকার গণধর্ষণ ও হত্যাকে কেন্দ্র করে সোমবারও জারি থাকল বিতর্কের ঝড়৷
এ দিন লখনৌয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দপ্তর ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন বিজেপি মহিলা শাখার কর্মীরা৷ শতাধিক বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে জলকামান ছুড়ে তাঁদের নিরস্ত করে পুলিশ৷ পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় কয়েকজনের৷ পরে রাস্তার উপর ধর্নায় বসেন তাঁরা৷ তবে বিজেপি এতেই ক্ষান্ত দিচ্ছে না৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানতে চেয়েছে ঘটনার এফআইআর-এ কেন তফসিলি জাতি/উপজাতি আইনের ধারা প্রয়োগ করা হল না৷ এ দিন বদায়ুনে ওই দুই কিশোরীর পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় খাদ্যবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ও তাঁর পুত্র চিরাগও৷ এর মধ্যেই এ দিন এই ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজ্যপাল বিএল যোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন অখিলেশ যাদব৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও জানিয়েছে, রাজ্যপালের রিপোর্ট দেখে স্থির করা হবে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে কি না৷
অন্য দিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিহতদের পরিবারের জন্য সত্বর ন্যায়ের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কো-অর্ডিনেটর লিজা গ্রান্ডে এ দিন বলেন, 'ওই দুই কিশোরীর পরিবারের জন্য ন্যায় প্রয়োজন, যেমন প্রয়োজন ভারতের গ্রামে সেই সমস্ত নিচু জাতের মহিলা ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের ন্যায়বিচার৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার শুধু মহিলাদের বিষয় নয়, এটা মানবাধিকারের সঙ্গে জড়িত৷' ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রধান বান-কি-মুনও৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, দিল্লি গণধর্ষণের পর ভারতে আইনের যে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তার যথাযথ প্রয়োগ মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেকটই কমিয়ে আনতে সক্ষম৷ গ্রান্ডে এ দিন বলেন, 'এ ক্ষেত্রে বহু সদর্থক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই৷ কিন্ত্ত শুধু আইনে বদল আসাটা সমাধানের একটা অংশমাত্র৷ তাদের কার্যকরী প্রয়োগ এবং তার পাশাপাশি মানসিকতায় বদল আনাটাও সমান জরুরি৷'
পাশাপাশি এ দিনও পুরোদমে চলেছে ঘটনা ঘিরে রাজনীতি৷ প্রথম দু'দিনে রাহুল গান্ধী ও মায়াবতীর সাক্ষাতের পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি গেলেন দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে৷ বদায়ুনে পেঁৗছেই রামবিলাস পাসোয়ানের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি, সেটা খুবই দুঃখজনক৷ কোনও মন্ত্রীও আসেননি৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, হয় তাঁরা জনগণকে ভয় পাচ্ছেন, নয়তো এ বিষয়টা নিয়ে আদৌ চিন্তিতই নন৷' তাঁর পুত্র চিরাগ আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন কিছুদিন আগের এক নির্বাচনী জনসভায় ধর্ষণ সম্পর্কে মুলায়ম সিং যাদবের উক্তি, 'ছেলেরা তো অমন একটু-আধটু করবেই৷' চিরাগের কথায়, 'এমন মন্তব্য থেকেই হয়তো উত্তরপ্রদেশের ছেলেপিলেরা উত্সাহ পায়৷'
সাক্ষাতের রাজনীতিতে অবশ্য বিশ্বাসী নন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও এ দিন তাঁর বক্তব্য, 'দেখা করতে যাওয়ার বদলে বরং সেই সময়টা আমি নিগৃহীতাদের ন্যায় দেওয়ার জন্য যথাযথ পরিকাঠামো তৈরির কাজে ব্যয় করব৷' পরিবারের দাবি মেনে অখিলেশের সিবিআই তদন্তের ঘোষণাও অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি৷ তাঁর মতে এটা অত্যন্ত সোজাসাপ্টা একটা মামলা৷ তবে মামলা ঘিরে বিতর্ক থামছে না৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ দিন বলেছেন, 'তফসিলি জাতি/উপজাতির কোনও মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ হলে তার জন্য আইনে আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেগুলো ব্যবহার করা প্রয়োজন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এগুলি প্রয়োগ করতে বলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে৷'
এ দিন লখনৌয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের দপ্তর ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন বিজেপি মহিলা শাখার কর্মীরা৷ শতাধিক বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে জলকামান ছুড়ে তাঁদের নিরস্ত করে পুলিশ৷ পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় কয়েকজনের৷ পরে রাস্তার উপর ধর্নায় বসেন তাঁরা৷ তবে বিজেপি এতেই ক্ষান্ত দিচ্ছে না৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানতে চেয়েছে ঘটনার এফআইআর-এ কেন তফসিলি জাতি/উপজাতি আইনের ধারা প্রয়োগ করা হল না৷ এ দিন বদায়ুনে ওই দুই কিশোরীর পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় খাদ্যবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ও তাঁর পুত্র চিরাগও৷ এর মধ্যেই এ দিন এই ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজ্যপাল বিএল যোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন অখিলেশ যাদব৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও জানিয়েছে, রাজ্যপালের রিপোর্ট দেখে স্থির করা হবে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে কি না৷
অন্য দিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিহতদের পরিবারের জন্য সত্বর ন্যায়ের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কো-অর্ডিনেটর লিজা গ্রান্ডে এ দিন বলেন, 'ওই দুই কিশোরীর পরিবারের জন্য ন্যায় প্রয়োজন, যেমন প্রয়োজন ভারতের গ্রামে সেই সমস্ত নিচু জাতের মহিলা ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের ন্যায়বিচার৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার শুধু মহিলাদের বিষয় নয়, এটা মানবাধিকারের সঙ্গে জড়িত৷' ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রধান বান-কি-মুনও৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, দিল্লি গণধর্ষণের পর ভারতে আইনের যে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তার যথাযথ প্রয়োগ মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেকটই কমিয়ে আনতে সক্ষম৷ গ্রান্ডে এ দিন বলেন, 'এ ক্ষেত্রে বহু সদর্থক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই৷ কিন্ত্ত শুধু আইনে বদল আসাটা সমাধানের একটা অংশমাত্র৷ তাদের কার্যকরী প্রয়োগ এবং তার পাশাপাশি মানসিকতায় বদল আনাটাও সমান জরুরি৷'
পাশাপাশি এ দিনও পুরোদমে চলেছে ঘটনা ঘিরে রাজনীতি৷ প্রথম দু'দিনে রাহুল গান্ধী ও মায়াবতীর সাক্ষাতের পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি গেলেন দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে৷ বদায়ুনে পেঁৗছেই রামবিলাস পাসোয়ানের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি, সেটা খুবই দুঃখজনক৷ কোনও মন্ত্রীও আসেননি৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, হয় তাঁরা জনগণকে ভয় পাচ্ছেন, নয়তো এ বিষয়টা নিয়ে আদৌ চিন্তিতই নন৷' তাঁর পুত্র চিরাগ আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন কিছুদিন আগের এক নির্বাচনী জনসভায় ধর্ষণ সম্পর্কে মুলায়ম সিং যাদবের উক্তি, 'ছেলেরা তো অমন একটু-আধটু করবেই৷' চিরাগের কথায়, 'এমন মন্তব্য থেকেই হয়তো উত্তরপ্রদেশের ছেলেপিলেরা উত্সাহ পায়৷'
সাক্ষাতের রাজনীতিতে অবশ্য বিশ্বাসী নন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও এ দিন তাঁর বক্তব্য, 'দেখা করতে যাওয়ার বদলে বরং সেই সময়টা আমি নিগৃহীতাদের ন্যায় দেওয়ার জন্য যথাযথ পরিকাঠামো তৈরির কাজে ব্যয় করব৷' পরিবারের দাবি মেনে অখিলেশের সিবিআই তদন্তের ঘোষণাও অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি৷ তাঁর মতে এটা অত্যন্ত সোজাসাপ্টা একটা মামলা৷ তবে মামলা ঘিরে বিতর্ক থামছে না৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ দিন বলেছেন, 'তফসিলি জাতি/উপজাতির কোনও মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ হলে তার জন্য আইনে আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেগুলো ব্যবহার করা প্রয়োজন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এগুলি প্রয়োগ করতে বলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে৷'
No comments:
Post a Comment