বাতিল আরও ১৫০ আসন, শঙ্কায় ২৯৫
অনির্বাণ ঘোষ
এমবিবিএসে আসন সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে৷ লাগাতার কমে চলেছে আসনের সংখ্যা৷ এবার পিজি-তেও ৫০টি আসন হারানোর চিঠি এল৷ ৭৫০ আসনে ছাত্রভর্তির ছাড়পত্র হারানোর পর অনুমোদন খুইয়েছে হলদিয়ার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ১০০ আসনও৷ আশঙ্কা, আরও শ' তিনেক আসনেও একই ভাবে কোপ পড়তে চলেছে৷ ফলে একধাক্কায় চলতি বছরে স্নাতক পর্যায়ে ডাক্তারি আসনের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যেতে চলেছে রাজ্যে৷ স্বাভাবিক ভাবেই এতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আরও সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের৷
গত মাসের শেষেই পরিকাঠামোর অভাব দর্শিয়ে এ রাজ্যের ৭৫০ এমবিবিএস আসনের অনুমোদন কেড়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)৷ সম্প্রতি একই কারণে হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের ১০০টি আসনের পর পিজি-র ৫০টি মিলিয়ে আরও ১৫০ আসন হারাল রাজ্য৷ একে একে ছাড়পত্র খোয়ানোর চিঠি হাতে আসার পর রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যে ধরনের ঘাটতি চিহ্নিত করে এ ভাবে অনুমোদন কাড়ছে এমসিআই, সেই একই কারণে আরও চারটি মেডিক্যাল কলেজের আরও প্রায় ৩০০ আসন হারানোর আশঙ্কা করছি আমরা৷ এমসিআই যে অনর্থক কড়াকড়ি শুরু করেছে, তাতে নতুন এমবিবিএস আসনগুলির হয়তো আর অস্তিত্ব থাকবে না!'
স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কার কারণ--কল্যাণী, কলকাতা মেডিক্যাল, আরজি কর এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে আরও ২৯৫টি এমবিবিএস আসনের বয়স পাঁচ বছরের কম৷ এই নতুন আসনগুলি এখনও এমসিআই-এর কাছে 'স্বীকৃত আসন' হিসেবে নয়, স্রেফ 'অনুমোদিত আসন' হিসেবে চিহ্নিত৷ ফলে মেডিক্যাল পঠনপাঠন বিষয়ে দেশের নিয়ামক সংস্থা এমসিআই সেই আসনগুলিতে ছাত্রভর্তি নিয়ে আপত্তি তুললে, রাজ্যের কিছুই করার নেই৷ আশঙ্কা সত্যি হলে, রাজ্যের ২৪৫০টি এমবিবিএস আসনের মধ্যে এবার ছাত্রভর্তি সম্ভব হবে মাত্র ১২৫০ আসনে৷
এ দিকে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধাতালিকা প্রকাশিত হতে বাকি মোটে আর দিন তিনেক৷ কেন না, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট মেধাতালিকা প্রকাশের দিন বেঁধে দিয়েছে ৫ জুন৷ গত বছর মেডিক্যালের মেধাতালিকায় প্রায় ৬৫ হাজার পড়ুয়ার নাম ছিল৷ আসন ছিল ২৪৫০৷ তাই বহু ছাত্রছাত্রীর কাছেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে বলে প্রমাদ গুনছে স্বাস্থ্যমহল৷ স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁরা হাল ছাড়ছেন না৷ আপাতত যদিও অনুমোদিত আসনগুলিতেই কাউন্সেলিং হবে৷ পরে অনুমোদন হারানো আসনে ছাড়পত্র মিলে গেলে, তখন সেগুলিও যুক্ত হবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে৷
এ দিন রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা শুধু রাজ্যের আসন হারানো নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিরও প্রশ্ন৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি৷ আর তাকিয়ে আছি আগামী বুধবারের দিকে৷ ওই দিনই সংসদের প্রথম অধিবেশন৷ আশা করছি, নয়া সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে৷' পিজি-র অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানান, বুধবার এমসিআই-এর চিঠি পাওয়ার পরই তিনিও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ই-মেলে আবেদন করেছেন এমসিআই-এর কাছে৷ হলদিয়ার আইকেয়ার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যক্ষ বাঁশরি গোস্বামীও বলেন, একই আর্জি জানাতে চলেছেন তাঁরাও৷ অবশ্য তাঁরা এখনও চিঠি পাননি৷ এমসিআই-এর ওয়েবসাইট থেকে জেনেছেন আসন হারানোর খবর৷
হতাশ প্রদীপবাবু বলেন, 'এমসিআই পরিদর্শকরা নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ ও অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং না-থাকা, ছোট লেকচার থিয়েটার ইত্যাদি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন৷ ওঁদের বুঝিয়ে বলেছিলাম যে, এগুলো কখনোই ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর এমবিবিএস পড়ার পথে অন্তরায় হতে পারে না৷ কারণ, প্রেক্ষাগৃহের অভাব মেটায় হাসপাতাল লাগোয়া রবীন্দ্রসদন৷ লেকচার থিয়েটার দেখতে ছোট হলেও সেখানে ১৮০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে৷ অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয় তৈরির কাজও দ্রুত এগোচ্ছে৷ ভেবেছিলাম, ওঁরা বুঝেছেন৷ এখন দেখছি, আমাদের বক্তব্যের কিছুই কানে তোলেননি ওঁরা৷ মনে করেছেন, ১০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ানোর পরিকাঠামো নেই এখানে৷'
এমসিআই-এর জেনারেল বডির এক সদস্য বলেন, সম্প্রতি সুশান্তবাবু দিল্লি গিয়ে তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, শিক্ষক-চিকিত্সকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে রাজ্য শিক্ষক-চিকিত্সকের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলেছে৷ কিন্ত্ত আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি যখন এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে উঠবে, তখন নিশ্চিত ভাবেই সদস্যরা প্রশ্ন তুলবেন, পরিকাঠামো মানে কি শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষক-চিকিত্সক? অপ্রতুল নার্স, অ্যানিম্যাল হাউসে স্টাফ না-থাকা, লাইব্রেরিয়ানের অভাব, হাতেগোনা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ইত্যাদি মিলিয়ে নানা স্তরে যে বিপুল কর্মিসঙ্কট এবং সর্বোপরি নির্মাণকাজে যে ঢিলেমি, সেগুলোও তো অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোর নজির৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, মাঝে তিন বছর এমসিআই-এর কোনও নির্বাচিত কমিটি ছিল না৷ মেডিক্যাল শিক্ষা বিষয়ক দেশের এই সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নীতি-নির্ধারণ করত একটি অস্থায়ী পরিচালন পর্ষদ৷ দেশে চিকিত্সকের সংখ্যা বাড়াতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন মাপকাঠি তারা শিথিল করেছিল৷ এ বছর এমসিআই-এ ফের নির্বাচিত এগজিকিউটিভ কমিটি ও জেনারেল বডি তৈরি হওয়ার পর, নতুন সদস্যরা পরিচালন পর্ষদের সে সব সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন রীতিমতো আতস কাচের নীচে ফেলে৷ স্বাভাবিক ভাবেই এমসিআই-এর বর্তমান কড়াকড়িতে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে দেশের ৫৫টি মেডিক্যাল কলেজ৷ এর মধ্যে এ রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিও রয়েছে, যে কলেজগুলিতে প্রায় ১২০০ আসন বেড়েছিল গত তিন বছরে৷
এমবিবিএসে আসন সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে৷ লাগাতার কমে চলেছে আসনের সংখ্যা৷ এবার পিজি-তেও ৫০টি আসন হারানোর চিঠি এল৷ ৭৫০ আসনে ছাত্রভর্তির ছাড়পত্র হারানোর পর অনুমোদন খুইয়েছে হলদিয়ার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ১০০ আসনও৷ আশঙ্কা, আরও শ' তিনেক আসনেও একই ভাবে কোপ পড়তে চলেছে৷ ফলে একধাক্কায় চলতি বছরে স্নাতক পর্যায়ে ডাক্তারি আসনের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যেতে চলেছে রাজ্যে৷ স্বাভাবিক ভাবেই এতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আরও সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের৷
গত মাসের শেষেই পরিকাঠামোর অভাব দর্শিয়ে এ রাজ্যের ৭৫০ এমবিবিএস আসনের অনুমোদন কেড়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)৷ সম্প্রতি একই কারণে হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের ১০০টি আসনের পর পিজি-র ৫০টি মিলিয়ে আরও ১৫০ আসন হারাল রাজ্য৷ একে একে ছাড়পত্র খোয়ানোর চিঠি হাতে আসার পর রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যে ধরনের ঘাটতি চিহ্নিত করে এ ভাবে অনুমোদন কাড়ছে এমসিআই, সেই একই কারণে আরও চারটি মেডিক্যাল কলেজের আরও প্রায় ৩০০ আসন হারানোর আশঙ্কা করছি আমরা৷ এমসিআই যে অনর্থক কড়াকড়ি শুরু করেছে, তাতে নতুন এমবিবিএস আসনগুলির হয়তো আর অস্তিত্ব থাকবে না!'
স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কার কারণ--কল্যাণী, কলকাতা মেডিক্যাল, আরজি কর এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে আরও ২৯৫টি এমবিবিএস আসনের বয়স পাঁচ বছরের কম৷ এই নতুন আসনগুলি এখনও এমসিআই-এর কাছে 'স্বীকৃত আসন' হিসেবে নয়, স্রেফ 'অনুমোদিত আসন' হিসেবে চিহ্নিত৷ ফলে মেডিক্যাল পঠনপাঠন বিষয়ে দেশের নিয়ামক সংস্থা এমসিআই সেই আসনগুলিতে ছাত্রভর্তি নিয়ে আপত্তি তুললে, রাজ্যের কিছুই করার নেই৷ আশঙ্কা সত্যি হলে, রাজ্যের ২৪৫০টি এমবিবিএস আসনের মধ্যে এবার ছাত্রভর্তি সম্ভব হবে মাত্র ১২৫০ আসনে৷
এ দিকে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধাতালিকা প্রকাশিত হতে বাকি মোটে আর দিন তিনেক৷ কেন না, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট মেধাতালিকা প্রকাশের দিন বেঁধে দিয়েছে ৫ জুন৷ গত বছর মেডিক্যালের মেধাতালিকায় প্রায় ৬৫ হাজার পড়ুয়ার নাম ছিল৷ আসন ছিল ২৪৫০৷ তাই বহু ছাত্রছাত্রীর কাছেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে বলে প্রমাদ গুনছে স্বাস্থ্যমহল৷ স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁরা হাল ছাড়ছেন না৷ আপাতত যদিও অনুমোদিত আসনগুলিতেই কাউন্সেলিং হবে৷ পরে অনুমোদন হারানো আসনে ছাড়পত্র মিলে গেলে, তখন সেগুলিও যুক্ত হবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে৷
এ দিন রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা শুধু রাজ্যের আসন হারানো নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিরও প্রশ্ন৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি৷ আর তাকিয়ে আছি আগামী বুধবারের দিকে৷ ওই দিনই সংসদের প্রথম অধিবেশন৷ আশা করছি, নয়া সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে৷' পিজি-র অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানান, বুধবার এমসিআই-এর চিঠি পাওয়ার পরই তিনিও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ই-মেলে আবেদন করেছেন এমসিআই-এর কাছে৷ হলদিয়ার আইকেয়ার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যক্ষ বাঁশরি গোস্বামীও বলেন, একই আর্জি জানাতে চলেছেন তাঁরাও৷ অবশ্য তাঁরা এখনও চিঠি পাননি৷ এমসিআই-এর ওয়েবসাইট থেকে জেনেছেন আসন হারানোর খবর৷
হতাশ প্রদীপবাবু বলেন, 'এমসিআই পরিদর্শকরা নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ ও অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং না-থাকা, ছোট লেকচার থিয়েটার ইত্যাদি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন৷ ওঁদের বুঝিয়ে বলেছিলাম যে, এগুলো কখনোই ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর এমবিবিএস পড়ার পথে অন্তরায় হতে পারে না৷ কারণ, প্রেক্ষাগৃহের অভাব মেটায় হাসপাতাল লাগোয়া রবীন্দ্রসদন৷ লেকচার থিয়েটার দেখতে ছোট হলেও সেখানে ১৮০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে৷ অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয় তৈরির কাজও দ্রুত এগোচ্ছে৷ ভেবেছিলাম, ওঁরা বুঝেছেন৷ এখন দেখছি, আমাদের বক্তব্যের কিছুই কানে তোলেননি ওঁরা৷ মনে করেছেন, ১০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ানোর পরিকাঠামো নেই এখানে৷'
এমসিআই-এর জেনারেল বডির এক সদস্য বলেন, সম্প্রতি সুশান্তবাবু দিল্লি গিয়ে তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, শিক্ষক-চিকিত্সকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে রাজ্য শিক্ষক-চিকিত্সকের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলেছে৷ কিন্ত্ত আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি যখন এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে উঠবে, তখন নিশ্চিত ভাবেই সদস্যরা প্রশ্ন তুলবেন, পরিকাঠামো মানে কি শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষক-চিকিত্সক? অপ্রতুল নার্স, অ্যানিম্যাল হাউসে স্টাফ না-থাকা, লাইব্রেরিয়ানের অভাব, হাতেগোনা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ইত্যাদি মিলিয়ে নানা স্তরে যে বিপুল কর্মিসঙ্কট এবং সর্বোপরি নির্মাণকাজে যে ঢিলেমি, সেগুলোও তো অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোর নজির৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, মাঝে তিন বছর এমসিআই-এর কোনও নির্বাচিত কমিটি ছিল না৷ মেডিক্যাল শিক্ষা বিষয়ক দেশের এই সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নীতি-নির্ধারণ করত একটি অস্থায়ী পরিচালন পর্ষদ৷ দেশে চিকিত্সকের সংখ্যা বাড়াতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন মাপকাঠি তারা শিথিল করেছিল৷ এ বছর এমসিআই-এ ফের নির্বাচিত এগজিকিউটিভ কমিটি ও জেনারেল বডি তৈরি হওয়ার পর, নতুন সদস্যরা পরিচালন পর্ষদের সে সব সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন রীতিমতো আতস কাচের নীচে ফেলে৷ স্বাভাবিক ভাবেই এমসিআই-এর বর্তমান কড়াকড়িতে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে দেশের ৫৫টি মেডিক্যাল কলেজ৷ এর মধ্যে এ রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিও রয়েছে, যে কলেজগুলিতে প্রায় ১২০০ আসন বেড়েছিল গত তিন বছরে৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/seat-crisis-in-mbbs-course/articleshow/35933414.cms?
No comments:
Post a Comment