আসন্ন বাজেটে কোনরূপ কর বাড়ছে না নাগরিকদের ওপর
এম শাহজাহান ॥ তাসলিমা রুনা বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। রাজধানীর একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবকিছুতে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। কবে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল, আইপিএল-এ বীরের কাছে জারার পরাজয় কিংবা নতুন বাজেটে কোন্ পণ্যের দাম বাড়বে বা কমবে তা জানতেও নিয়মিত তিনি পত্রিকায় চোখ রাখছেন। ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা কত থাকছে কিংবা কোন্ কোন্ পণ্যে নতুন কর ও ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে এসব নিয়েও রুনার আগ্রহের যেন শেষ নেই। কারণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হবে।
তবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুখবর হচ্ছে বাজেটে করহার বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে আসছে বাজেটে বাড়বে না করের বোঝাও। করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। এতে এতদিন যাঁরা কর ফাঁকি দিয়েছেন তাঁরাও চলে আসবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করের তালিকায়। এছাড়া বিত্তশালীদের দিতে হবে সম্পদ কর। যার যতবেশি সম্পদ তাঁকে ততবেশি কর গুনতে হবে। ইটিপি স্থাপন না করে যেসব কারখানা মালিকরা পরিবেশ দূষণ করছেন তাঁদের এবারই প্রথম সবুজ করের আওতায় আনা হচ্ছে। ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা এবারও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বহাল রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্ল্যাট কেনায় কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ নতুন বাজেটেও রাখা হবে।
মোবাইল ফোন সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে গেলে সিমপ্রতি সরকারকে ১০০ টাকা কর দিতে হবে। বর্তমানে মোবাইল সিম সংযোজনের ওপর ৩০০ টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়। নতুন বাজেটে সিমের এই কর অপরিবর্তিত রেখে শুধু রিপ্লেসমেন্ট সিমের জন্য ১০০ টাকা করারোপের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বাড়ির মালিকরা বিপুল অঙ্কের ভাড়া তুলছেন অথচ সরকারের কোষাগারে আয়কর দিচ্ছেন না। এবার এসব বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে আয়কর আদায় করবে এনবিআর। এ জন্য ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করতে হবে। নামী-দামী গাড়ি চালান কিন্তু কর দিচ্ছেন না তাঁদেরও এবার করের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ থাকছে।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে এনবিআর। এতে স্থানীয় পর্যায়ে অবস্থিত মুদি দোকানদার, সেলুন, বিউটি পার্লার, মিষ্টির দোকান এবং রেস্তরাঁ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে খুঁজে বের করা হবে গ্রোথ সেন্টার।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের আয়কর বিভাগের সদস্য সৈয়দ মোঃ আমিনুল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, এবারের বাজেটে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুখবর হচ্ছে তাঁদের ওপর বাড়তি কোন করের বোঝা চাপানো হচ্ছে না। রাজস্ব আদায় বাড়াতে করের নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্র থেকেই কর আদায় বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর প্রদানে সক্ষম কিন্তু তারা এনবিআরের তালিকায় নেই। এদের খুঁজে বের করবে এনবিআর। বিশ্বের সব দেশে সক্ষম ব্যক্তিদের কর দিতে হয়। শুধু এদেশেই কর ফাঁকির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এদের করের আওতায় আনা গেলে নিজস্ব অর্থায়নে সরকার একদিন বাজেট প্রণয়ন করতে পারবে। এ জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য হবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। এ জন্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে নতুন উদ্যোক্তার জন্য থাকবে প্রণোদনা। বিনিয়োগ বাড়াতে কর প্রণোদনাসহ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ঘোষণা থাকছে বাজেটে। কর অবকাশ সুবিধা বৃদ্ধি, শিল্প স্থাপনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাঁচামালের শুল্কহার কমানো, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা থাকছে।
এখন পর্যন্ত আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। আসছে বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এতে এনবিআরের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকার। করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হচ্ছে ৬৭ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। এই ঘাটতি ব্যাংকঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের অর্থে মেটানো হবে। এ জন্য লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে এবার আয়কর আদায়ে বেশি নজর দেয়া হবে। পরোক্ষ কর ও ভ্যাটে বড় ধরনের সংস্কারের ঘোষণা আসছে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার উদ্যোগ থাকবে নতুন বাজেটে। এছাড়া ভ্যাট ফাঁকি রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ঘোষণা থাকবে।
জীপ ও মাইক্রোবাস ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহারও বাড়ছে। সঞ্চয়পত্রের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় কর ছাড় পাবেন। অন্যদিকে ফ্ল্যাট কেনায় কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ নতুন বাজেটেও রাখা হবে। কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে বিদ্যমান কর আইনে যা বলা হয়েছে সেটা বহাল থাকছে আসছে বাজেটে। অধিক সম্পদ আহরণে আগামী বাজেটে আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে নতুন খাত। আরোপ করা হচ্ছে নতুন কর। ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা এবারও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বহাল রাখা হচ্ছে।
ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী যাঁরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে মুনাফা বা সুদ পাবেন, তাঁদের কোন কর দিতে হবে না। এর বেশি হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হবে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের বিধান রয়েছে। তবে যাদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই, তাদের ক্ষেত্রে উৎসে করহার ১৫ শতাংশ। মূলত নির্ধারিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে নতুন বাজেটে কর ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, আসছে বাজেটে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগকে প্রণোদনা দিতে কয়েকটি খাতে বড় ধরনের কর ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার। তার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কর্পোরেট করহার ৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে।
তবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুখবর হচ্ছে বাজেটে করহার বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে আসছে বাজেটে বাড়বে না করের বোঝাও। করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। এতে এতদিন যাঁরা কর ফাঁকি দিয়েছেন তাঁরাও চলে আসবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করের তালিকায়। এছাড়া বিত্তশালীদের দিতে হবে সম্পদ কর। যার যতবেশি সম্পদ তাঁকে ততবেশি কর গুনতে হবে। ইটিপি স্থাপন না করে যেসব কারখানা মালিকরা পরিবেশ দূষণ করছেন তাঁদের এবারই প্রথম সবুজ করের আওতায় আনা হচ্ছে। ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা এবারও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বহাল রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্ল্যাট কেনায় কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ নতুন বাজেটেও রাখা হবে।
মোবাইল ফোন সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে গেলে সিমপ্রতি সরকারকে ১০০ টাকা কর দিতে হবে। বর্তমানে মোবাইল সিম সংযোজনের ওপর ৩০০ টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়। নতুন বাজেটে সিমের এই কর অপরিবর্তিত রেখে শুধু রিপ্লেসমেন্ট সিমের জন্য ১০০ টাকা করারোপের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বাড়ির মালিকরা বিপুল অঙ্কের ভাড়া তুলছেন অথচ সরকারের কোষাগারে আয়কর দিচ্ছেন না। এবার এসব বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে আয়কর আদায় করবে এনবিআর। এ জন্য ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করতে হবে। নামী-দামী গাড়ি চালান কিন্তু কর দিচ্ছেন না তাঁদেরও এবার করের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ থাকছে।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে এনবিআর। এতে স্থানীয় পর্যায়ে অবস্থিত মুদি দোকানদার, সেলুন, বিউটি পার্লার, মিষ্টির দোকান এবং রেস্তরাঁ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে খুঁজে বের করা হবে গ্রোথ সেন্টার।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের আয়কর বিভাগের সদস্য সৈয়দ মোঃ আমিনুল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, এবারের বাজেটে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুখবর হচ্ছে তাঁদের ওপর বাড়তি কোন করের বোঝা চাপানো হচ্ছে না। রাজস্ব আদায় বাড়াতে করের নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্র থেকেই কর আদায় বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর প্রদানে সক্ষম কিন্তু তারা এনবিআরের তালিকায় নেই। এদের খুঁজে বের করবে এনবিআর। বিশ্বের সব দেশে সক্ষম ব্যক্তিদের কর দিতে হয়। শুধু এদেশেই কর ফাঁকির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এদের করের আওতায় আনা গেলে নিজস্ব অর্থায়নে সরকার একদিন বাজেট প্রণয়ন করতে পারবে। এ জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য হবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। এ জন্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে নতুন উদ্যোক্তার জন্য থাকবে প্রণোদনা। বিনিয়োগ বাড়াতে কর প্রণোদনাসহ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ঘোষণা থাকছে বাজেটে। কর অবকাশ সুবিধা বৃদ্ধি, শিল্প স্থাপনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাঁচামালের শুল্কহার কমানো, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা থাকছে।
এখন পর্যন্ত আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। আসছে বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এতে এনবিআরের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকার। করবহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হচ্ছে ৬৭ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। এই ঘাটতি ব্যাংকঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের অর্থে মেটানো হবে। এ জন্য লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে এবার আয়কর আদায়ে বেশি নজর দেয়া হবে। পরোক্ষ কর ও ভ্যাটে বড় ধরনের সংস্কারের ঘোষণা আসছে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার উদ্যোগ থাকবে নতুন বাজেটে। এছাড়া ভ্যাট ফাঁকি রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ঘোষণা থাকবে।
জীপ ও মাইক্রোবাস ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহারও বাড়ছে। সঞ্চয়পত্রের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় কর ছাড় পাবেন। অন্যদিকে ফ্ল্যাট কেনায় কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ নতুন বাজেটেও রাখা হবে। কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে বিদ্যমান কর আইনে যা বলা হয়েছে সেটা বহাল থাকছে আসছে বাজেটে। অধিক সম্পদ আহরণে আগামী বাজেটে আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে নতুন খাত। আরোপ করা হচ্ছে নতুন কর। ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা এবারও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বহাল রাখা হচ্ছে।
ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী যাঁরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে মুনাফা বা সুদ পাবেন, তাঁদের কোন কর দিতে হবে না। এর বেশি হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হবে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের বিধান রয়েছে। তবে যাদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই, তাদের ক্ষেত্রে উৎসে করহার ১৫ শতাংশ। মূলত নির্ধারিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে নতুন বাজেটে কর ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, আসছে বাজেটে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগকে প্রণোদনা দিতে কয়েকটি খাতে বড় ধরনের কর ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার। তার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কর্পোরেট করহার ৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-06-04&ni=174940
No comments:
Post a Comment