Tuesday, June 3, 2014

মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ সম্ভব!

মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ সম্ভব!
বানর স্বাধীনচেতা প্রাণী। তবে বানর যা ইচ্ছা তাই আর করতে পারবে না। বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রোড ব্যবহার করে প্রাইমেট বা বানর জাতীয় প্রাণীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর এ থেকে মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে। কয়েক শ’ বছর ধরে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কি কোন বিকল্প আছে না কি এটা শুধুই বিশাল বিভ্রম! এখন বিজ্ঞানীরা এটা প্রমান করেছে যে, অন্তত বানরদের ক্ষেত্রে স্বাধীন ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ করা সম্ভব। যা পরবর্তীতে মানুষের ক্ষেত্রেও সম্ভব হতে পারে।
সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল ও বেলজিয়ামের লিউভেন ইউনিভার্সিটি প্রমাণ করেছে যে, ম্যাকাকুই প্রজাতির বানরদের স্বাধীন ইচ্ছায় পরিবর্তন আনা সম্ভব। এই বানরদের পুরস্কার ও উদ্বুদ্ধকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চলটি উদ্দীপ্ত করতে ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয়। এই কৌশল ব্যবহার করে বানরদের কিছু ছবি পছন্দ করতে বাধ্য করা হয় । এক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য কাজে লাগিয়ে মানুষের মাদকাসক্তি চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই গবেষণা থেকে মাদকাসক্তি এবং বিষণœতা চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাইমেটদের ইতিবাচক ঘটনার সঙ্গে তাদের মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান সক্রিয়তার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এটা প্রমাণ করা যায়নি যে, মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চল বা ভিটিএ-সক্রিয়তা এই প্রণীদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের বিজ্ঞানী উইম ভ্যানডুফেল তাঁর এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন যা কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে পরিবর্তিত ভিটিএ কার্যক্রম তাদের আচরণকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে। আমাদের বর্তমান গবেষণা ইঁদুর জাতীয় প্রাণী ও প্রাইমেটের (বানরজাতীয় প্রাণী) মধ্যে এ সংক্রান্ত আচরণগত ব্যবধান কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ইব্রাহিম নোমান
সূত্র : কারেন্ট বায়োলজি

No comments:

Post a Comment